হোম /খবর /লাইফস্টাইল /
বন্দী কবেই খালাস পেয়েছে, জেলের রেডিওয় বাজছে তার পছন্দের গান!

বন্দী কবেই খালাস পেয়েছে কারাবাসের মেয়াদ থেকে, জেলের রেডিওয় বাজছে তার পছন্দের গান!

prisoner requested song playing after his release complaint box judge poojappura- Photo Courtesy- Youtube/ Video Grab

prisoner requested song playing after his release complaint box judge poojappura- Photo Courtesy- Youtube/ Video Grab

বন্দীর পছন্দের এই গানটি পরিবেশন হয়েছে, শনিবার সন্ধ্যায় কারাগারের রেডিও স্টেশনে, তার নাম ফ্রিডম সিম্ফনি (Freedom symphony)।

  • Share this:

#তিরুবনন্তপুরম: কেরলের পূজাপ্পুরা কেন্দ্রীয় কারাগারে (Poojappura Jail) বিচারকের নির্দেশে বেজে উঠল বন্দীর পছন্দের গান। জেলা আদালতের বিচারক জনপ্রিয় মলয়ালম অভিনেতা জয়ন (Jayan) অভিনীত অঙ্গারি (Angadi) সিনেমার কান্নুম কান্নুম তাম্মিল তাম্মিল (Kannum Kannum Thammil Thammil) গানটির মাধ্যমে কারাগারের এক বন্দীর অনুরোধ রাখলেন। যদিও চান্নাকারার বাসিন্দা সেই বন্দী সেই সময়ে কারাগারে ছিলেন না। আবগারি কেসে কারাগারে আসা সেই বন্দী ইতিমধ্যেই পূজাপুরা জেল থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন।

জেলা আদালতের বিচারকের এই কাজে সকলেই মুগ্ধ। বন্দীর পছন্দের এই গানটি পরিবেশন হয়েছে, শনিবার সন্ধ্যায় কারাগারের রেডিও স্টেশনে, তার নাম ফ্রিডম সিম্ফনি (Freedom symphony)। নিয়ম অনুসারে ফ্রিডম সিম্ফনির অনুষ্ঠানে কী গান বাজবে, সেই বিষয়ে বন্দীরা তাঁদের অনুরোধ জমা দিতে পারেন পূজাপুরা জেলে। এই বন্দীও এক মাস আগে এই গানটির অনুরোধ করে রাখলেও, আসল সময়ে রেডিও স্টেশনে গানটি বাজানোর মুহূর্তে তিনি সেখানে উপস্থিত ছিলেন না। কারণ তিনি এখন কারাগার থেকে মুক্ত। সঙ্গত কারণেই প্রশ্ন ওঠে- অনুরোধ যখন রাখা হল-ই, তখন তাতে এই বিলম্বের কারণ কী?

জানা গিয়েছে যে ফ্রিডম সিম্ফনি চালু হয় তিন মাস আগে। এর মাধ্যমে কারাগারের বন্দীরা তাঁদের পছন্দ অনুযায়ী সিনেমার গান বাজানোর জন্য লিখিত ভাবে অনুরোধ জমা করতে পারেন। প্রত্যেকটি বন্দীর লিখিত অনুরোধ কারাগারে জমা হতে থাকে। কিন্তু সেই বন্দী তাঁর পছন্দের গানের লিখিত অনুরোধ কারাগারের অভিযোগ জানানোর বক্সে জমা করেছিলেন ভুল করে।

কারাগারের সেই অভিযোগের নির্দিষ্ট বাক্সটি প্রতি মাসের ৭ তারিখে আদালতে খোলা হয়। কিন্তু সেই সময়ে সেই বন্দি ইতিমধ্যেই কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন। বিচারক বন্দীর সেই লিখিত অনুরোধ জেলের সুপারের হাতে তুলে দেন এবং তাঁকে অনুরোধ করেন যে, সেই বন্দী জেলে উপস্থিত না থাকলেও তাঁর অনুরোধের গানটি যেন বাজানো হয়। বিচারকের এই সিদ্ধান্ত স্থাপন করেছে মানবিকতার এক নতুন দৃষ্টান্ত।

কারাগারের বন্দীদের মনোরঞ্জন করার জন্য, তাঁদের একাকিত্ব দূর করার জন্য চালু হওয়া রেডিও স্টেশন জন্ম দিয়েছে এক নতুন মানবতার। কেরলের পূজাপ্পুরা কেন্দ্রীয় কারাগারের অভূতপূর্ব এই ঘটনা এখন সকলের চর্চার বিষয়। জেলা আদালতের সেই বিচারকের দূরদর্শিতা ও বন্দীদের প্রতি তাঁর বিচারের মনোভাবকে তাই কুর্নিশ জানাতেই হয়!

Published by:Debalina Datta
First published:

Tags: Kerala, Prison, Songs