আপনার সন্তান কি একাকিত্বে ভুগছে ? আপনাদের জন্য থাকল কিছু পেরেন্টিং টিপস

Last Updated:

সন্তান একাকীত্বের মধ্যে দিয়ে যাক সেটা কোনো বাবা মায় চায়না , তারা সবসময় তাদের সঙ্গে থাকতে চায় ,কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে তা কঠিন হয়ে ওঠে। parenting tips to beat kids loneliness

আজকাল প্রায়ই একাকিত্বের সমস্যা শিশুদের মধ্যে দেখা যায়। অনেক সময় ছোট ছেলেমেয়েদের মনে হয় যে তারা কারো সঙ্গে নিজেকে খাপ খাওয়াতে পারছেনা কিংবা হয়তো তাদের কেউ ঠিকমতো বুঝে উঠতে পারছেনা। সঠিক বন্ধুত্বের অভাবে শিশুদের মনে বিষন্নতা জাগে , তারা একাকী বোধ করে।  এমন নয় যে তাদের কোন বন্ধুই নেয় , কারণ অনেক ক্ষেত্রে দেখা গেছে বন্ধুর সংখ্যা বেশি হলে কিংবা বড় সোশ্যাল নেটওয়ার্ক থাকলেও তারা নিজেদের একা অনুভব করে।  তাই একজনের কতগুলো বন্ধু আছে তার ওপর একাকীত্বতা নির্ভর করে না। এর কারণ যাই হোক না কেন শিশুদের মধ্যে একাকীত্বতা তাদের পছন্দের জিনিসে ইন্টারেস্ট নষ্ট করে দেয় , শুধু তাই না তাদের মধ্যে অহেতুক বিরক্তিবোধ জন্মায় যা তাদের বাকিদের থেকে আলাদা করে রাখে।
বাবা মা হিসাবে আপনার উচিত এই সময়ে তাদের ওপর পুরো নজর রাখা। কারণ এই ক্ষেত্রে রাতে ঘুমানোর সময় বাচ্চাদের সমস্যা হতে পারে। শুধু তাই না একাকীত্বতা তাদের দিয়ে ভুল কাজ করাতে পারে।  শিশুদের এই অনুভূতি থেকে রেহাই দিতে এখানে বিশেষ কিছু উপায় দেওয়া হল।
আসুন জেনে নেওয়া যাক -
advertisement
আরো যত্ন নিন :
আমরা সবাই নিজের নিজের জীবনে খবুই ব্যস্ত থাকার দরুন আমাদের সন্তানদের ঠিক মতো সময় দিতে পারি না। খেয়াল করে দেখবেন আপনি যদি আপনার সন্তানের প্রতি মনোযোগ দেন, তাহলে ৩-৪ বছর বয়সী শিশুরা তাদের বয়সী অন্য বাচ্চাদের সঙ্গে মিশতে বাঁধা দেয়না।  তাই এটা খুবই জরুরি যে আপনি আপনার ব্যস্ত রুটিন থেকে কিছু সময় বের করে বাচ্চাদের সঙ্গে কোয়ালিটি টাইম কাটান। এই বয়সে তাদের প্রতি অনেক বেশি মনোযোগ দেওয়া দরকার।  চেষ্টা করুন কোন ভুল করলে তাদের না বকে বরং ভালোবাসা দিয়ে কমুনিকেশনের মাধ্যমে পরিস্থিতিকে বোঝাতে। ভালোবাসা, প্রশংসা এবং উৎসাহ দিয়ে তাদের ছোট্ট শিশু মনকে ভরিয়ে তুলুন।
advertisement
তাদের ভালোবাসা দিন  :
বাবামায়ের সঙ্গে সন্তানের সম্পর্কটা খুবই সুন্দর। জেনে রাখবেন স্পর্শ এমন একটা জিনিস যা মানুষকে শান্ত করে এবং তার সঙ্গে আপনার সম্পর্ককে গভীর বানায়।  শিশুদের ক্ষেত্রেও ঠিক তাই।  তাদের মধ্যে কেউ জড়িয়ে ধরা পছন্দ করে, কেউ আবার ভালোবেসে শান্তনা দিয়ে পিঠ চাপড়ানো পছন্দ করে। এতে শিশুরা অনেকটা ভালো বোধ করে। তাই অভিভাবক হিসাবে তাদের ভালোবাসা দিয়ে ভরিয়ে দিন যাতে তারা বোঝে যে তারা সবার খুব প্রিয়।
advertisement
শিশুদের সামাজিক হতে সাহায্য করুন :
একটা শিশুর জন্য সামাজিক হওয়াটা খুব জরুরি। তাই আপনার বাচ্চাকে তাদের বন্ধুদের সঙ্গে বাইরে খেলতে এবং তাদের সঙ্গে সময় কাটাতে পাঠান । শিশুদের পার্কে নিয়ে যান এবং অন্য বাচ্চাদের সঙ্গে তাদের আলাপ পরিচয় করিয়ে দিন । কোনো সময় বন্ধুদের ঘরের সামনে চকলেট ,ফ্রেশ কুকিজ রেখে তাদের চমকে দিতে উৎসাহ দিন। দেখবেন এতে তাদের মধ্যে অনেক পরিবর্তন আসবে।
advertisement
তাদের সঙ্গে থাকুন :
আপনার উচিত তাদেরকে সময় দেওয়া , তাদের সঙ্গে খেলা করা, কখনো বা সময় বের করে ঘুরতে যাওয়া। বাচ্চারা এতে খুব খুশি হয় এবং এটাও বুঝতে শেখে যে আপনারা তাকে কত ভালোবাসেন। বাচ্চাদের বলুন তাদের অনুভূতি , মনের কথা আপনার সঙ্গে শেয়ার করতে তা সে যে কোনো ভাবে হোক।  এতে বাবামায়ের সঙ্গে শিশুদের সম্পর্ক অনেক বেশি ঘনিষ্ঠ এবং মজবুত হয়।
advertisement
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/লাইফস্টাইল/
আপনার সন্তান কি একাকিত্বে ভুগছে ? আপনাদের জন্য থাকল কিছু পেরেন্টিং টিপস
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement