Durable Home : বাড়িকে আরও টেকসই বানাতে মেনে চলতে হবে এই উপায়গুলো, খরচেও হবে অনেকটা সাশ্রয়

Last Updated:

বাড়ির স্থায়িত্ব (Sustainability) বাড়ানোর এবং খরচ সাশ্রয় করার সেই উপায়গুলি!

Dদিনের শেষে প্রতিটা মানুষই নিজের ঘরে ফিরতে চায়। আসলে নিজের বাড়িতে (Home) ফেরার টানটাই আলাদা! তাই বাড়ি ছোট হলেও এমন হতে হবে, যেখানে বারবার ফিরে আসতে মন চাইবে। আর বাড়ি যাতে টেকসই হয়, সব সময় সে দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। নিজের বাড়ির খরচ সাশ্রয় করার বেশ কিছু উপায়ও রয়েছে। কারণ এমনিতে বাড়ি বানানোর খরচের বিশাল বহর তো আছেই! তার উপর বাড়ি তৈরি হয়ে গেলে আবার বছর বছর বাড়ি ও তার যন্ত্রপাতি মেরামতির খরচটাও লেগেই থাকবে। তাই খরচের বহর কমাতে এবং নিজের বাড়ি আরও টেকসই করার জন্য কয়েকটি উপায় মেনে চলতে হবে। আসুন জেনে নিই, বাড়ির স্থায়িত্ব (Sustainability) বাড়ানোর এবং খরচ সাশ্রয় করার সেই উপায়গুলি!
সৌর প্যানেল:
বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে বাড়িতে সৌর প্যানেল (Solar Panel) লাগানো যেতে পারে। সৌর প্যানেলের মাধ্যমে সূর্যরশ্মি থেকেই বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব। আর এ ভাবে বাড়ির আনাচে-কানাচে বিশেষ করে বসার ঘরে বা লিভিং রুমে অপ্রচলিত শক্তির মাধ্যমে উৎপন্ন বিদ্যুৎ ব্যবহার করা যেতে পারে। এর ফলে বিদ্যুতের খরচেও খানিক সাশ্রয় হবে।
advertisement
advertisement
সাশ্রয়ী যন্ত্রপাতি:
বাড়ির জন্য সব সময় শক্তি সাশ্রয়ী যন্ত্রপাতি (Energy Efficient Appliances) ব্যবহার করা উচিত। ফ্রিজ, এসি, মাইক্রোওয়েভ-এর মতো আরও অন্যান্য গৃহস্থালির যন্ত্রপাতি চালাতে বিদ্যুতের প্রয়োজন হয়। তাই এই সব যন্ত্রপাতি আদৌ শক্তি সাশ্রয়ী কি না, সেটা জেনে তবেই কেনা উচিত। আসলে শক্তি সাশ্রয়ী যন্ত্রপাতিগুলিতে এক ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়, যা কম বিদ্যুতেই ভাল কাজ করতে পারে। তাতে বিদ্যুতের খরচ অনেকাংশে কমানো সম্ভব হয়ে থাকে।
advertisement
ঘরের দেওয়াল রং করতে পরিবেশ-বান্ধব রঙ (Eco-friendly Paint) ব্যবহার করা যেতে পারে। কারণ অন্যান্য রঙের তুলনায় এই ধরনের রঙে বিষাক্ত রাসায়নিকের উপস্থিতি অনেকটাই কম হয়। আর এই পরিবেশ-বান্ধব রঙ বায়ুদূষণ কমাতেও সক্ষম।
advertisement
ঠাণ্ডা ছাদ:
বাড়ি বানানোর সময় ‘কুল রুফ’ (Cool Roof) প্ল্যানের মাধ্যমে ছাদ বানাতে হবে। ‘কুল রুফ’ আসলে সূর্যরশ্মি শোষণ করে না। তার বদলে এই ধরনের ছাদ সূর্যরশ্মি প্রতিফলিত করে দেয়। এর ফলে ছাদ ঠাণ্ডা থাকে এবং ঘরকেও ঠাণ্ডা করে। আর ঘরে এসি-র প্রয়োজন হয় না। তাই সে ক্ষেত্রে বিদ্যুতের খরচ অনেকটাই সাশ্রয় হয়।
advertisement
পরিবেশ-বান্ধব দ্রব্য:
ঘরের জন্য সব সময় পরিবেশ-বান্ধব (Eco-friendly) জিনিসপত্র কেনার চেষ্টা করতে হবে। অর্থাৎ পরিবেশের ক্ষতি করে, এমন জিনিস না কেনাই উচিত। আর আমাদের একটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে-- রিডিউস, রিইউজ আর রিসাইকল। রিডিউসের অর্থ হল, পরিবেশের জন্য যা ক্ষতিকর, তা ব্যবহারে রাশ টানতে হবে। আবার রিইউজ বলতে বোঝায়, এমন জিনিস ব্যবহার করতে হবে, যা পুনর্ব্যবহারও করা যেতে পারে। আর সব শেষে রিসাইকলের অর্থ হল, কোনও জিনিস ভেঙে অথবা ছিঁড়ে গেলে সেটা ফেলে না দিয়ে তা থেকে অন্য জিনিস বানিয়ে আবার ব্যবহার করা যেতে পারে।
advertisement
ইনস্যুলেশন হল এমন একটি বস্তু, যা তাপ এবং শব্দ চলাচল রোধ করতে সক্ষম। তাই বাড়ি বানানোর সময় ইনস্যুলেশন ব্যবহারের উপর জোর দিতে হবে। এর ফলে খরচে অনেক সাশ্রয় হবে।
সাফাই:
বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির পাইপ নিয়মিত সাফাই করতে হবে। আসলে কোনও যন্ত্রের পাইপে নোংরা ও ধুলো জমলে তা বেশি শক্তি খরচ করে। তাই নিয়মিত সাফাই হলে ওই যন্ত্র সচল থাকার জন্য বেশি পরিমাণ শক্তি খরচ হবে না।
advertisement
ঘরের আলো:
বাড়িতে ফ্লুওরোসেন্ট আলোর পরিবর্তে LED আলো ব্যবহার করতে হবে। কারণ এই ধরনের আলো অনেকটাই বিদ্যুৎ সাশ্রয় করে।
বৃষ্টির জল:
রোজ গাছে জল দিতে হয়। তাই বাগানে এমন ব্যবস্থা রাখতে হবে, যাতে বৃষ্টির জল ধরে রাখা যায় এবং সেটাকেই গাছে জল দেওয়ার কাজে লাগানো যেতে পারে। এতে জলের খরচেও অনেকটাই সাশ্রয় হবে।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/লাইফস্টাইল/
Durable Home : বাড়িকে আরও টেকসই বানাতে মেনে চলতে হবে এই উপায়গুলো, খরচেও হবে অনেকটা সাশ্রয়
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement