Jhargram Tourism: পর্যটনের খনি, অল্প খরচেই চোখের সামনে জ্বলজ্বল করবে ইতিহাস! আগাছা-অযত্নে ভগ্ন দশায় দুই শতাব্দী প্রাচীন শিলদার রাসমঞ্চ

Last Updated:

রানি কিশোরমণির স্মৃতি বিজড়িত ঐতিহাসিক রাসমঞ্চ ধ্বংসের প্রহর গুনছে। চূড়া' শৈলীর এমন রাসমঞ্চ খুবই কম দেখা যায়। সংরক্ষণ করলে বাড়তে পারে পর্যটক, দাবি স্থানীয়দের। 

+
ঝোপঝাড়ে

ঝোপঝাড়ে ভর্তি রাসমঞ্চ 

বেলপাহাড়ি: চূড়ায় আগাছা, অযত্নে দু’শো পার হওয়া রাসমঞ্চ। যেন ধ্বংসের অপেক্ষায় দিন গুনছে শিলদার ঐতিহ্যবাহী প্রত্ন-কীর্তি রাসমঞ্চ! যাঁর রাজত্বকালে তৈরি হয়েছিল তিনি রানি কিশোরমণি। ঐতিহাসিক সেই রানীর স্মৃতিবিজড়িত রাসমঞ্চ ধ্বংসের প্রহর গুনছে। শিলদার কিংবদন্তি রানী ছিলেন রানী কিশোরমণি। তাঁর আমলে তৈরি রাসমঞ্চটি রয়েছে ঝাড়গ্রামের বেলপাহাড়ি ব্লকের শিলদা এলাকার নাদ পাড়ায়। সরু রাস্তার ধারে। ঝামা পাথরের তৈরি ‘নবরত্ন’ রাসমঞ্চটির ন’টি চূড়া বট, অশ্বত্থ গাছ আর আগাছায় ভরেছে। রাসমঞ্চটির প্রতিটি স্তম্ভের গায়ে রয়েছে নানা কারুকাজ। সংস্কারের অভাবে পড়ে পড়ে নষ্ট হচ্ছে প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী রাসমঞ্চ।
চূড়া শৈলীর এমন রাসমঞ্চ খুবই কম দেখা যায়। কিশোরমণির স্মৃতি বিজড়িত এই সৌধ সংরক্ষণের দাবি তুলেছিলেন জেলার গবেষকরা। কিন্তু আজ পর্যন্ত প্রশাসনিক উদ্যোগ দেখা যায়নি। শিলদার নতুন প্রজন্মের অনেকেরই এই রাসমঞ্চের ইতিহাস অজানা। বর্তমানে রাসমঞ্চের ভিতরেও আগাছা ও আবর্জনায় ভরে গিয়েছে। শিলদার তরুণ সংঘের সম্পাদক নিমাই চন্দ্র নাদ বলছেন, “রাসমঞ্চ, হাতিদুয়ার, সংস্কার প্রয়োজন। ঐতিহ্য হারিয়ে যেতে বসেছে। সংস্কার হলে পর্যটকদের অন্যতম স্থান হয়ে উঠবে।”
advertisement
“আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন”
advertisement
প্রাসাদ চত্বরে রাধা-কৃষ্ণের মন্দির এবং বাইরে রাসমঞ্চ তৈরি করান রানি। কিশোরমণির মৃত্যুর পরে প্রাসাদ চত্বরটি মেদিনীপুর জমিদারি কোম্পানির হাতে চলে যায়। চুরি যায় বিগ্রহগুলি। বাম আমলে প্রাসাদ চত্বরের একাংশ জমি খাস হয়ে যায়। এখন প্রাসাদের অস্তিত্ব নেই। তবে প্রাসাদের প্রধান তোরণ ‘হাতিদুয়ার’টি রয়েছে।
advertisement
বছর দশেক আগে প্রাসাদ চত্বরের জমিতে তৈরি হয়েছে বেলপাহাড়ি ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার (বিএলআরও) অফিস। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, “রাসমঞ্চ সংস্কার করা খুবই প্রয়োজন। সংস্কার না হলে ঐতিহাসিক রাসমঞ্চ ধ্বংস হয়ে যাবে।” বেলপাহাড়ির বিডিও সুমন ঘোষ বলেন, “বিষয়টি স্থানীয়রা জানিয়েছে। খোঁজ নিয়ে দেখছি, কীভাবে সংরক্ষণ করা যায়, তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
advertisement
১৭৯৯ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশ বিরোধী চুয়াড় বিদ্রোহের আগুন জ্বলে উঠেছিল অবিভক্ত মেদিনীপুরে। শিলদা অঞ্চলে তখন রাজত্ব করছিলেন রাজা মানগোবিন্দ রায়। ১৮০৬ সালে মানগোবিন্দের মৃত্যুর পরে শিলদা পরগনার অধীশ্বরী হন তাঁর রানি কিশোরমণি। চুয়াড় বিদ্রোহের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছিলেন তিনিও। ১৮৪৮ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত কিশোরমণি রাজত্ব করেন। তিনি প্রাসাদের মূল ফটকের বাইরে রাসমঞ্চ তৈরি করিয়ে ছিলেন। প্রাসাদের ভিতরে ছিল কিশোর-কিশোরী ও পার্শ্বদেবতার মন্দির। রাস উৎসবের সময় মন্দিরের বিগ্রহদের নিয়ে আসা হত রাসমঞ্চে। সে সব এখন অতীত।
advertisement
তন্ময় নন্দী
view comments
বাংলা খবর/ খবর/লাইফস্টাইল/
Jhargram Tourism: পর্যটনের খনি, অল্প খরচেই চোখের সামনে জ্বলজ্বল করবে ইতিহাস! আগাছা-অযত্নে ভগ্ন দশায় দুই শতাব্দী প্রাচীন শিলদার রাসমঞ্চ
Next Article
advertisement
সাউথ ব্লক ছেড়ে নতুন ঠিকানায় প্রধানমন্ত্রীর দফতর! সেন্ট্রাল ভিস্তায় গড়ে উঠল ‘সেবাতীর্থ’ কমপ্লেক্স, অমিত শাহ বললেন 'সোনালি যাত্রাপথ'!
সাউথ ব্লক ছেড়ে নতুন ঠিকানায় প্রধানমন্ত্রীর দফতর! সেন্ট্রাল ভিস্তায় গড়ে উঠল ‘সেবাতীর্থ’
  • প্রধানমন্ত্রীর দফতর সাউথ ব্লক ছেড়ে সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পের নতুন কমপ্লেক্সে যাচ্ছে.

  • সেবাতীর্থ কমপ্লেক্সে থাকবে ক্যাবিনেট সচিবালয় ও NSA অজিত ডোভালের দফতর.

  • সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পের অংশ হিসেবে নতুন প্রশাসনিক পরিকাঠামো গড়ে উঠেছে.

VIEW MORE
advertisement
advertisement