নতুন বছরেও করোনা ভয়, কতটা প্রাণঘাতী করোনার নতুন অবতার? জেনে নিন চিকিৎসকের মতামত

Last Updated:

ভারতে ফের বাড়ছে করোনার ভয়। নতুন বছরেও কী মহামারির রূপ নেবে এই ভয়ঙ্কর ভাইরাস? সেক্ষেত্রে ভ্যাকসিনই কী যথেষ্ট? না মানতে হবে আরও নতুন কোনও নিয়ম সেই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিলেন চিকিৎসক কাজল কৃষ্ণ বণিক। কথা বললেন অনুলেখা কর।

#কলকাতা: ভারতে ফের বাড়ছে করোনার ভয়। নতুন বছরেও কী মহামারির রূপ নেবে এই ভয়ঙ্কর ভাইরাস? সেক্ষেত্রে ভ্যাকসিনই কী যথেষ্ট? না মানতে হবে আরও নতুন কোনও নিয়ম সেই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিলেন চিকিৎসক কাজল কৃষ্ণ বণিক। কথা বললেন অনুলেখা কর।
প্রশ্ন: করোনা আবার ফিরছে। কীভাবে নিজেকে সুস্থ রাখতে হবে?
ড. বণিক:   প্রথম কথা হল, করোনা কোনও দিনও যায়নি। করোনা তো ছিলই। করোনা দীর্ঘদিনই আমাদের সঙ্গে আছে। মনে রাখতে হবে এখন শীতকাল,  কিন্তু অন্যান্য বছর যেমন ঠান্ডা পড়ে তেমন পড়েনি অর্থাৎ প্রকৃতির খামখেয়ালিপনা চলছে। এদিকে বাতাস দূষিত। তাই এমনিতেই শ্বাসনালীর সংক্রমণ হওয়ার ক্ষেত্র প্রস্তুত হয়েই আছে। তারমধ্যে করোনা এমন এক ভাইরাস যা খুব তাড়াতাড়ি ছড়িয়ে পড়তে পারে তবে অত্যন্ত সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। যে সাবধানতার কথা গত ৩ বছর ধরে মানতে হয়েছে।
advertisement
advertisement
ভাল কোয়ালিটির মাস্ক ব্যবহার করতে হবে । এবং নিয়মিত মাস্ক বদলাতে হবে। একই মাস্ক দিনের পর দিন ব্যবহার করার প্রবণতা ছাড়তে হবে। মাস্ক সঠিক ভাবে পড়তে হবে নাক মুখ ঢেকে। কারণ বেশির ভাগ সংক্রমণ নাক ও মুখের মাধ্যমেই হয়। বারবার সাবান জল বা স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে। নিজেকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। পরিষ্কার জামা কাপড় পড়তে হবে , ব্যবহারের জিনিস সব সময় পরিষ্কার রাখতে হবে। এবং চেষ্টা করতে হবে খোলামেলা জায়গায় থাকার কারণ আজ কোভিড আছে কাল অন্য কোনও ভাইরাস আসতেই পারে।
advertisement
আমরা এক কথায় বলি, 'কোভিড অ্যাপ্রোপ্রিয়েট বিহেভিয়ার'। অকারণে বাইরে নাইবা গেলাম! বাজার হাট একটু কম করলাম। এসি হল, এসি গাড়ি এগুলো এড়িয়ে চলাইতো ভাল। জনবহুল এলাকা থেকে দূরে থাকতে হবে।
প্রশ্ন: কোন কোন লক্ষণ দেখে বুঝতে পারবেন তিনি করোনা আক্রান্ত?
advertisement
ড. বণিক: কোভিডের উপসর্গ যেমন ছিল তেমনই আছে। কোনওটা কম কোনওটা বেশি । প্রধান উপসর্গ হল কাশি। কাশির মাধ্যমেই আমরা জানতে পারি যে শরীরে এমন কিছু ঢুকতে চলেছে যা আমাদের শরীর নিচ্ছে না। তাই কাশির মাধ্যমেই সবার আগে সংক্রমণ হয়েছে তা বোঝা যেতে পারে। ইনফেকশন হওয়া মানেই জ্বর হওয়া, গলা ব্যাথা হওয়া বমি হতে পারে মাথা যন্ত্রণা হতে পারে দূর্বলতা থাকতে পারে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে স্বাদ চলে যাওয়া, গন্ধ না পাওয়া আবার ২০২২ সালে অনেক রোগীই এসেছেন পেটে ব্যথা নিয়ে । তাই উপসর্গ প্রায় আগের মতই আছে। তাই যে বিধি নিষেধ আগে মেনেছি তাই আরও জোড়দার করে মানতে হবে। অযথা কোভিড নিয়ে আতঙ্কে না ভোগাই ভাল।
advertisement
প্রশ্ন: এই নতুন ভেরিয়েন্ট কতটা সংক্রামক? 
ড. বণিক: যে নতুন ভেরিয়েন্টের কথা আমরা শুনছি যা কি না চিন থেকে আমেরিকা, দক্ষিণ কোরিয়া, ব্রাজিল হয়ে আমাদের দেশে উঁকি মারছে এটা কী? এটা হল আমাদের দেশে আসা সবথেকে কম ক্ষতিকর ওমিক্রনের একটি সাব ভেরিয়েন্ট। এখন প্রশ্ন হচ্ছে এই ভেরিয়েন্টের ক্ষেত্রে আমাদের প্রচলিত ভ্যকসিন আদেও কী কার্যকর? তবে বলতে হচ্ছে হ্যাঁ অবশ্যই । নতুন ভেরিয়েন্টের ক্ষেত্রেও প্রচলিত ভ্যাকসিন কার্যকর। যারা বুস্টার নিয়েছেন  তাদের জন্য ভাল যারা নেননি তাদের বিলম্বে হলেও অবশ্যই নিতে হবে।
advertisement
কোনও কোনও মহলে আবার দ্বিতীয় বুস্টার ডোজও নিতে বলা হচ্ছে।
আসলে বুস্টার কাজে লাগে আমাদের যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হচ্ছে তাকে সুসংগত ও প্রতিষ্টিত করতে। আর ভারতবর্ষে নেজাল ভ্যাকসিন বুস্টার হিসেবে অনুমোদন পেয়েছে সেটাও নিতে পারেন।
প্রশ্ন: ফের করোনা আতঙ্ক গ্রাস করছে। সেটা আদৌ কতটা ভয় পাওয়ার মতো ?
advertisement
ড. বণিক: বিএফ ডট ৭ নামে করোনার এই নতুন অবতারকে নিয়ে আতঙ্কের খুব একটা কারণ নেই। ভারতবর্ষে গত ২ বছরে বহু মানুষ একাধিক বার করোনা আক্রান্ত হয়েছেন এবং ভ্যাকসিন নিয়েছেন তাই বলতে গেলে ভারতে হার্ড ইমিউনিটি তৈরি হয়ে গিয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। তাই এই নতুন অবতার আমাদের দেশকে খুব একটা কাবু করতে পারবে না বলেই মত চিকিৎসকদের।
প্রশ্ন: নতুন ভেরিয়েন্টে মৃত্যু নিয়ে কতটা আশঙ্কা থাকছে?
ড. বণিক:  বিএফ ডট ৭ সারা পৃথিবী থেকে যা খবর আসছে চিন ছাড়া অন্য কোনও দেশে এর প্রভাব খুব একটা পড়েনি। তাই বৈজ্ঞানিক তথ্যর উপরে ভিত্তি করে এই কথা বলা যায় যে বিফ ডট ৭-এর মানুষকে মেরে ফেলার ক্ষমতা অত্যন্ত কম। চিনের যে খবর আসছে তা বেসরকারি মাধ্যম থেকে ছড়িয়েছে তাই এর সত্যতা সম্পর্কে যথেষ্ট সন্দেহ আছে। সরকারি ভাবে কোনও খবর এখনও চিন থেকে আসেনি।
তবে এটাও সত্যি আমাদের নজরদাড়ির কাজ চালাতে হবে। যথেষ্ট পরিমান সচেতনতা অবলম্বন করতে হবে। কোথায় কী ধরণের ভাইরাস দেখা দিতে পারে সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। মানুষের সচেতনতা প্রয়োজন । সামান্য শরীর খারাপ লাগলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এবং কোভিডের মত উপসর্গ দেখা দিলেই টেস্ট করাতে হবে। কোভিড আক্রান্ত হলে অবশ্যই  নিজেকে অন্তরালে রাখতে হবে । ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে দেওয়া যাবে না।
কোভিডের কোনও চিকিৎসা হয়না উপসর্গ ভিত্তিক চিকিৎসা করতে হয়। তাই অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এবং ভাইরাস যাতে ছড়িয়ে যেতে না পরে সেদিকে নজর রাখতে হবে।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/লাইফস্টাইল/
নতুন বছরেও করোনা ভয়, কতটা প্রাণঘাতী করোনার নতুন অবতার? জেনে নিন চিকিৎসকের মতামত
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement