Heart Attack Prevention: ৪০ বছরের কম বয়সে হার্ট অ্যাটাক! সুস্থ থাকতে তরুণ তরুণীদের করতে হবে এই কাজ! জেনে নিন কী বলছেন বিশেষজ্ঞ

Last Updated:

Heart Attack Prevention: দীর্ঘ সময় ধরে কর্মক্ষেত্রে ব্যস্ত থাকা, দীর্ঘস্থায়ী মানসিক চাপ, ব্যায়ামের অভাব, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, ধূমপান, অ্যালকোহল এবং এমনকি বিনোদনমূলক ওষুধও হৃদপিণ্ডকে চরম সীমার দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

প্রতীকী ছবি৷
প্রতীকী ছবি৷
মধুবালা পৃথিবী ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন ৩৬ বছর বয়সে। তাঁর অবশ্য ছোট থেকেই হৃদপিণ্ডে সমস্যা ছিল। হৃদপিণ্ডের স্বাস্থ্য আর এই সময়ের কথা যদি ওঠে, তাহলে তিনটে নাম নেওয়া যেতে পারে- সিদ্ধার্থ শুক্লা, শেফালি জরিওয়ালা, চিরঞ্জীবী শারজা। সিদ্ধার্থ শুক্লা মারা যান ২০২১ সালে ৪০ বছর বয়সে, শেফালি জরিওয়ালা চলে গেলেন চলতি বছরেই ৪২ বছর বয়সে। দক্ষিণ ভারতীয় অভিনেতা চিরঞ্জীবী শারজা ২০২০ সালে ইহলোক ত্যাগ করেন ৩৫ বছর বয়সে। সব ক্ষেত্রেই মৃত্যুর কারণ হার্ট অ্যাটাক!
একটা সময় ছিল যখন হার্ট অ্যাটাককে বার্ধক্যজনিত সমস্যা হিসেবে দেখা হত। তবে, আজকাল আমরা ৩০ বছর বয়সীদের, এমনকি ২০ বছরেরও কম বয়সীদের প্রাণঘাতী হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে এমার্জেন্সি রুমে ভর্তি হতে দেখছি। এটি এখন আর ব্যতিক্রম নয়; এটি একটি প্রবণতা হয়ে উঠছে। এটি আমাদের সকলের জন্য উদ্বেগ হয়ে ওঠা উচিত। এই বিষয়ে আলোকপাত করছেন কলকাতার আনন্দপুর ফর্টিস হাসপাতালের কার্ডিও থোরাসিক ভাস্কুলার সার্জারির ডিরেক্টর ডা. কায়াপন্ডা মুথানা মান্দানা।
advertisement
আরও পড়ুনঃ জাতীয় পুরষ্কার শাহরুখের! কত প্রাইজ ‘মানি’ পেলেন বাদশা? শুনলে অবাক হবেন
কেন এটি ঘটছে? উত্তরের একটি অংশ জেনেটিক্সে নিহিত। যদি পরিবারে হৃদরোগ থাকে, তাহলে ঝুঁকি বেশি, সে ব্যক্তি যত ছোটই হন না কেন। কিন্তু জীবনধারা আরও বড় ভূমিকা পালন করে। দীর্ঘ সময় ধরে কর্মক্ষেত্রে ব্যস্ত থাকা, দীর্ঘস্থায়ী মানসিক চাপ, ব্যায়ামের অভাব, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, ধূমপান, অ্যালকোহল এবং এমনকি বিনোদনমূলক ওষুধও হৃদপিণ্ডকে চরম সীমার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এর সঙ্গে যোগ করতে হবে তরুণদের মধ্যে স্থূলতা, ডায়াবেটিস এবং উচ্চ কোলেস্টেরলের নীরব বৃদ্ধি, যা প্রায়শই নির্ণয় করা হয় না, এগুলোকেই প্রাথমিক হার্ট অ্যাটাকের জন্য নিখুঁত কারণ বলা চলে।
advertisement
advertisement
Dr. Kayapanda Muthana Mandana
Dr. Kayapanda Muthana Mandana
পরিস্থিতি আরও খারাপ করে তোলে যখ অনেক তরুণ-তরুণী সতর্কতামূলক লক্ষণগুলিকে উপেক্ষা করেন: বুকে অস্বস্তি, শ্বাসকষ্ট, চাপা ক্লান্তি, বুক ধড়ফড় করা। তাঁরা ধরে নেন- “এটা আমার সঙ্গে হতে পারে না।” যখন তাঁরা সাহায্য চান, তখন প্রায়শই অনেক দেরি হয়ে যায়।
advertisement
আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন প্রয়োজন। ৫০ বছর বয়সের পরে হৃদপিণ্ডের স্বাস্থ্য নিয়ে ভাবার কিছু নেই। তখন এটা এমন এক বিষয় যা রক্ষা করতে হবে। নিয়মিত চেক-আপ, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, ধূমপান ত্যাগ, মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ এবং ব্যায়ামের জন্য সময় বের করা জীবনের এই পর্যায়ে আর বিলাসিতা নয়- এগুলোই বেঁচে থাকার কৌশল।
সত্যিটা হল, ভারত প্রতিরোধযোগ্য হৃদরোগে তার তরুণ কর্মীদের হারানোর ভার বহনের ক্ষমতা রাখে না। এই বিশ্ব হার্ট দিবস এবং তার পরেও তাই বার্তাটি খুবই সহজ: হৃদপিণ্ডকে গুরুত্ব সহকারে নিতে হবে, আক্রান্ত করার আগেই!
view comments
বাংলা খবর/ খবর/লাইফস্টাইল/
Heart Attack Prevention: ৪০ বছরের কম বয়সে হার্ট অ্যাটাক! সুস্থ থাকতে তরুণ তরুণীদের করতে হবে এই কাজ! জেনে নিন কী বলছেন বিশেষজ্ঞ
Next Article
advertisement
SIR Update: কবে বাড়িতে আসবেন বিএলও, কীভাবে জানবেন ভোটার? বাড়িতে না থাকলে কি SIR-এ নাম কাটা যাবে? জবাব দিল কমিশ
কবে বাড়িতে আসবেন বিএলও, কীভাবে জানবেন ভোটার? বাড়িতে না থাকলে কি নাম কাটা যাবে? জেনে নিন
  • এসআইআর নিয়ে আশ্বস্ত করল নির্বাচন কমিশন৷

  • কবে বাড়িতে আসবেন বিএলও?

  • নাম কাটা যাওয়ার ভয় দূর করলেন রাজ্যের সিইও৷

VIEW MORE
advertisement
advertisement