বেঙ্গালুরু : বয়ঃসন্ধি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা সময়। এই সময় শারীরিক এবং মানসিক নানা পরিবর্তন হয়। কৈশোরেই মূলত এই সময়কাল আসে। ফলে সন্তান এবং অভিভাবক উভয়ের জন্যই এই সময়কালটা ভীষণ চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়ায়। ফলে এই চ্যালেঞ্জগুলি যাতে সহজেই সামাল দেওয়া যায়, তার জন্য অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে পরামর্শ দিচ্ছেন বেঙ্গালুরুর রাধাকৃষ্ণ মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতালের মেডিক্যাল ডিরেক্টর ডা. বিদ্যা ভি ভাট।
কৈশোরে সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ হল মানসিক স্বাস্থ্য। আর এর মধ্যে অন্যতম ডিপ্রেশন। যেটা বয়ঃসন্ধি কালে ছেলেমেয়েদের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের অসুখের জন্য দায়ী। আর এই সময় আত্মহত্যার প্রবণতাও বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও আরও নানা ফ্যাক্টর রয়েছে, যা কৈশোরে ছেলে-মেয়েদের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়ায়। এই সময়টায় মনে চলে নানা রকম ওঠা-পড়া। পড়াশোনা নিয়ে চাপ, পারিবারিক সমস্যা ইত্যাদি তো আছেই। এমতাবস্থায় তাই ছেলে-মেয়েদের পাশে থাকা দরকার। যাতে তারা সহজেই এই চ্যালেঞ্জগুলি জয় করতে পারে।
কৈশোরে উদ্বেগের আর একটা বড় বিষয় হল অ্যালকোহল কিংবা মাদক সেবন। এই ধরনের অভ্যেস আত্ম-শৃঙ্খলা বোধ কমিয়ে আনতে পারে। এমনকী ঝুঁকিপ্রবণ অভ্যেস কিংবা আচরণও বৃদ্ধি পেতে থাকে। যেমন - বেপরোয়া ভাবে গাড়ি চালানো অথবা অসুরক্ষিত যৌন সম্পর্ক স্থাপন। আর এর ফলে স্বাস্থ্যজনিত ঝুঁকি তো বাড়েই, এমনকী অকালে ঝরে যাওয়ার আশঙ্কাও কয়েক গুণ বেড়ে যায়। তাই এই সময়টায় তাদের অ্যালকোহল কিংবা মাদক সেবনের ঝুঁকির বিষয়টা বোঝাতে হবে আর সেগুলি এড়িয়ে চলার কৌশলও তাদের সামনে তুলে ধরতে হবে।
ডা. বিদ্যা ভি ভাট, মেডিক্যাল ডিরেক্টর , রাধাকৃষ্ণ মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতাল, বেঙ্গালুরু
আরও পড়ুন : ফোড়নের নাম রাঁধুনি, বাঙালি হেঁসেলের এক ও অদ্বিতীয় এই মশলার অঢেল গুণাগুণ জানুন
এখানেই শেষ নয়, এর পাশাপাশি কৈশোরে শারীরবৃত্তীয় শিক্ষাও অত্যন্ত জরুরি। যাতে এইচআইভি-র মতো যৌনবাহিত সংক্রমণের ঝুঁকি কমানো যায়। ফলে সন্তানদের সঠিক-বেঠিক প্রসঙ্গে বোঝানো উচিত অভিভাবকদের।
আরও পড়ুন : সকালে ঘুম থেকে উঠেই কোষ্ঠকাঠিন্যে জেরবার? মুক্তি পেতে ডায়েটে রাখুন এই খাবারগুলি
কৈশোরে শারীরিক ভাবে সক্রিয় থাকাটাও অত্যন্ত জরুরি। তার জন্য নিয়মিত এক্সারসাইজ করতে হবে। আর এটা শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ফলে যতটা পারা যায়, খেলাধুলো, বিনোদনমূলক কার্যকলাপে ব্যস্ত রাখতে হবে ছেলে-মেয়েদের। এর পাশাপাশি শরীর সুস্থ রাখতে হাইজিন বজায় রাখাও খুবই প্রয়োজনীয়। তবে এই ব্যাপারগুলি কায়দা করে বন্ধুর মতো মিশে সন্তানকে শেখাতে হবে। না হলে কিন্তু তারা বিষয়গুলিকে উল্টো ভাবে নিতে পারে। এভাবেই দায়িত্ব নিয়ে যত্নশীল হয়ে সন্তানের কৈশোরের বয়ঃসন্ধিকালে তাদের ভাল জীবনযাপনের বিষয়ে উৎসাহ দেওয়া সম্ভব।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Adolescence, Puberty