SREEPARNA DASGUPTA
#কলকাতা: কেউ জানেনা এর শেষ কোথায়।এই মহামারী যে শুধু মানুষকে প্রাণে মারবে তাই নয়, ভাতেও মারবে। ইতিমধ্যেই করোনা থাবায় জর্জরিত গোটা বিশ্ব। অর্থনৈতিক পরিকাঠামো ধুঁকছে। এই যুদ্ধের পুরিস্থিতিতে আগামী দিনে কার কপালে কী আছে বলা খুবই কঠিন। সব ইন্ডাস্ট্রির মত করোনা থাবা বসিয়েছে ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রির ওপরেও। এই মুহুর্তে কোথায় দাঁড়িয়ে রয়েছে এই ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রি? কথা বলেছিলাম ডিজাইনার অভিষেক দত্ত'র সঙ্গে। কী বলছেন তিনি? তাঁ কথায়, "এই মুহূর্তে আমরা যেখানে দাঁড়িয়ে রয়েছি, এরপরে লাক্সারি ফ্যাশনের দিকে কতজন ঝুঁকবেন সেটা একটা বড় প্রশ্ন। ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রি কতদিনে চাঙ্গা হবে সেটাও বোঝা কঠিন । কারণ এখন যে রকম আমার ফ্যাক্টরি বন্ধ, সেরকম অনেকেরই একই অবস্থা। মানুষের হাতে টাকা না থাকলে তখন কতজন বিলাসিতায় খরচ করবেন? সেটা তো সম্ভব নয়। সুতরাং আমার মনে হয় ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য স্ট্র্যাটেজি বদলানো খুবই দরকার"।
কিন্তু ঠিক কী রকম ভাবে এই স্ট্র্যাটেজি বদলানো সম্ভব বলে মনে করেন অভিষেক? তার মতে, "এবারে বেশি করে 'রেডি টু ওয়্যার'-এর দিকে শিফ্ট করতে হবে। বিলাসিতার বাইরেও পোশাক বানাতে হবে যেটা অনেকেরই সাধ্যের মধ্যে থাকবে। ফাস্ট ফ্যাশন থেকে এবারে স্লো ফ্যাশনের দিকে ঝুঁকতে হবে। অর্থাৎ হাতে সময় নিয়ে নতুন ফ্যাশন মার্কেটে আনতে হবে। আগের ফ্যাশন থেকে ডেড স্টক যাতে খুব বেশি পরে না থাকে, বরং বিক্রি হয়ে যায়। তাতে রিস্ক ফ্যাক্টর কমে আর দামও নাগালের মধ্যে থাকবে। তা না হলেই পরের ফ্যাশন লাইনে গিয়ে দাম বাড়াতে বাধ্য হবেন ডিজাইনাররা। সংখ্যায় পোশাক অনেক কম বানাতে হবে। এ ছাড়াও এই অবস্থাতেও ডিজাইনারদের দোকানের ভাড়া গুনতে হচ্ছে। সামনের দিনে এই সব কিছু অনলাইনে শিফ্ট করতে পারে বলে ধারণা আমার।"নিজের মত যতটা সম্ভব তাঁর কাছে মজুত থাকা ফ্যাশন ফ্যাব্রিক দিয়েই প্রচুর মাস্ক বানিয়ে ইতিমধ্যেই দুঃস্থ মানুষদের হাতে তুলে দিয়েছেন অভিষেক। এখনও পর্যন্ত নিজের ফ্যাক্টরির কর্মচারীদের সবরকম ভাবে সাহায্য করে চলেছেন তিনি। তবে করোনার কারণে এই সাহায্যই বা কতদিন টানতে পারবেন, তা জানা নেই অভিষেকের।