Edible Gold : ক্লিওপেট্রার স্নান থেকে ফেসমাস্ক, খাঁটি সোনা রান্নারও উপকরণ

Last Updated:

ভক্ষণযোগ্য সোনা বা এডিবেল গোল্ড (Edible Gold)৷ খাদ্য ও পানীয়র দুনিয়ায় লেটেস্ট ট্রেন্ড একে ঘিরেই ৷

কলকাতা : ভক্ষণযোগ্য সোনা বা এডিবেল গোল্ড  (Edible Gold)৷ খাদ্য ও পানীয়র দুনিয়ায় লেটেস্ট ট্রেন্ড একে ঘিরেই ৷ গুরুগ্রাম ও লখনউয়ের একটি রেস্তরাঁ তো এই স্বর্ণউপাদানে তৈরি খাবারে রীতিমতো তাক লাগিয়ে দিচ্ছে ৷
তারা মিষ্টিমুখের আয়োজনে রেখেছে এমন একটি ডিশ, যাকে দেখতে অবিকল সোনার বিস্কুটের মতো ৷ নাম, ‘৯৯৯.৯ ফাইন গোল্ড ব্রিক’৷ উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, এ আসলে ম্যাঙ্গো চিজ কেক ৷ যার উপরে আছে ২৪ ক্যারেট এডিবল গোল্ডের প্রলেপ ৷ যদিও বেসটি হোয়াইট চকোলেট ব্রাউনি ৷ সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন রেস্তরাঁর প্রধান শেফ আনাস কুরেশি ৷
advertisement
‘সোনার বিস্কুট’-এর প্রধান উপকরণ ফিলাডেলফিয়া ক্রিম চিজ, এডিবল গোল্ড, ম্যাঙ্গো পিউরি, চিনি ও ক্রিম ৷ সম্পূর্ণ তৈরি করতে সময় লাগে অন্তত ৪৫ মিনিট ৷
advertisement
কিন্তু কী এই ভক্ষণযোগ্য স্বর্ণ বা এডিবল গোল্ড? ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এবং আমেরিকা একে শিলমোহর দিয়েছে ‘ফুড অ্যাডিটিভ’ হিসেবে ৷ অর্থাৎ কোনও খাবারের রূপ রস বর্ণ গন্ধ বা গুণ বাড়ানোর জন্য এই উপাদান ব্যবহার করা যাবে ৷ ‘ই ১৭৫’ কোডের এই উপাদান মূলত ব্যবহৃত হয় কুকি, ওয়াইন ও সুশি সাজাতে ৷ কখনও কখনও ছড়িয়ে দেওয়া হয় আইসক্রিমের উপরও ৷
advertisement
তবে যে কোনও সোনাকেই খবারের উপাদান হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না ৷ নির্দিষ্ট গুণমান ও নির্দেশ অনুসরণ করেই তৈরি করতে হবে ভক্ষণীয় স্বর্ণ ৷ প্রথম শর্ত হল, শরীরে সংক্রমণ এড়াতে একে বিশুদ্ধ হতে হবে ৷ অর্থাৎ গয়না তৈরির সোনায় যে খাদ মেশানো হয়, তা এখানে চলবে না ৷ খাবারের সোনা হতে হবে নিখাদ ৷ পাত বা চূর্ণ বা ফ্লেক, যে কোনও রূপেই একে ব্যবহার করা যায় ৷
advertisement
খাবারে সোনা ব্যবহার নতুন নয়  ৷বরং, কয়েক হাজার বছরের পুরনো ৷ এখনও অবধি আদিতম নিদর্শন পাওয়া গিয়েছে ৫০০০ বছর আগে মিশরীয় সভ্যতায় ৷ সোনার আধ্যাত্মিক গুরুত্বে বিশ্বাসী ছিল মিশরীয়রা ৷ বলা হয়, সম্রাজ্ঞী ক্লিওপেট্রার স্নানের জলে নাকি মেশানো হত স্বর্ণচূর্ণ ৷ এমনকি, তাঁর রূপচর্চায় ফেসমাস্কও ছিল খাঁটি সোনায় তৈরি ৷ পরবর্তীতে চিন, জাপান ও ভারতীয় সভ্যতাতেও সোনা দিয়ে ওষুধ তৈরি করতেন রাজবৈদ্যরা ৷ নবজাগরণের সময় এই ধারা পৌঁছে গিয়েছিল ইউরোপেও ৷ মানবদেহে কোনও সংক্রমণ বা বিরূপ প্রভাব তৈরি করে না হলে এডিবল গোল্ডকে ছাড়পত্র দিয়েছে ইএফএসএ বা ইউরোপিয়ান ফুড অ্যান্ড সেফটি অথরিটি ৷
advertisement
ইটালি, ইংল্যান্ড, জাপান, জার্মানি, আমেরিকার মতো দেশে একাধিক সংস্থা এডিবল গোল্ড তৈরি করে ৷ আন্তর্জাতিক মহলে মূলত খাবারের সাজসজ্জা বা ফুড গার্নিশিংয়ের জন্যই এর ব্যবহার ৷ অনলাইনেও কিনতে পাওয়া যায় খাওয়ার সোনার পাত, ফ্লেক বা গুঁড়ো ৷ পাশ্চাত্যের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ভারতেও ক্রমশ জনপ্রিয় হচ্ছে এডিবল গোল্ড বা খাওয়ার সোনা ৷
বাংলা খবর/ খবর/লাইফস্টাইল/
Edible Gold : ক্লিওপেট্রার স্নান থেকে ফেসমাস্ক, খাঁটি সোনা রান্নারও উপকরণ
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement