Heart Attack: ইসিজি করিয়েই নিশ্চিন্ত? তার পরেও হানা দিতে পারে হার্ট অ্যাটাক, বাঁচতে করান এই কয়েকটি পরীক্ষা
- Published by:Debamoy Ghosh
- news18 bangla
Last Updated:
চিকিৎসকরা বলছেন, হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমাতে সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে কমবয়সিদের হৃদরোগ সম্পর্কে সচেতন হওয়াটা অত্যন্ত জরুরি৷
গত ২৭ জুন আচমকাই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় কাঁটা লাগা গার্ল নামে খ্যাত অভিনেত্রী শেফালি জারিওয়ালার৷ কড়া নিয়মের অনুশাসনে থেকেও মাত্র ৪২ বছর বয়সে তাঁর এই মৃত্যুতে শিউরে উঠেছিল গোটা দেশ৷
প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, খালি পেটে অ্যান্টি এজিং ইঞ্জেকশন নেওয়ার ফলেই রক্তচাপ কমে গিয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন অভিনেত্রী৷ একা শেফালি জারিওয়ালা নয়, কম বয়সিদের মধ্যে হার্ট অ্যাটাক বা হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা দিনে দিনে উদ্বেগজনক ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে৷
চিকিৎসকরা বলছেন, হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমাতে সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে কমবয়সিদের হৃদরোগ সম্পর্কে সচেতন হওয়াটা অত্যন্ত জরুরি৷ কোন কোন উপসর্গ হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ইঙ্গিত দেয়, সেটাও জানা প্রয়োজন৷
advertisement
advertisement
হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিশিষ্ট হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রাজীব বশিষ্ঠ জানিয়েছেন, সবসময় ইসিজি করলেই হৃদযন্ত্রের সব সমস্যা বা হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা ধরা পড়ে না৷ তার জন্য বিশেষ কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা করা প্রয়োজন৷
ওই চিকিৎসকই জানিয়েছেন, শুধুমাত্র ভারতেই সবধরনের মৃত্যুর মধ্যে ২৮ শতাংশই হয় হৃদরোগ সংক্রান্ত সমস্যার কারণে৷ রাজীব বশিষ্ঠের কথায়, হৃদযন্ত্রের প্রাথমিক সমস্যাগুলি চিহ্নিত করার জন্য ইসিজি করা যেতেই পারে৷ হৃদস্পন্দনে কোনও অস্বাভাবিকতা আছে কি না, অতীতে হার্ট অ্যাটাক হয়েছে কি না, ইসিজি-তে তাও ধরা পড়ে৷
advertisement
তবে ওই চিকিৎসক সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ভারতে কমবয়সিদের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার অন্যতম বড় কারণই হল রোগ সম্পর্কে ভুল ধারণা৷ তাঁর কথায়, ইসিজি রিপোর্ট ঠিক এলেই অনেকে নিশ্চিন্ত হয়ে যান৷ তাঁরা আর অন্য পরীক্ষাগুলি করাতে চান না৷ কিন্তু ইসিজি রিপোর্ট ঠিক আসা মানেই হৃদযন্ত্র ঠিকঠাক কাজ করছে, এই ধারণা ভুল৷ কম বয়সি যাঁরা বিভিন্ন ধরনের স্ট্রেস নিয়ে কাজ করেন, জীবনযাপনের ক্ষেত্রে অনিয়ম হয় অথবা হৃদরোগের পারিবারিক ইতিহাস রয়েছে, তাঁদের অবশ্যই হৃদযন্ত্রের প্রয়োজনীয় সব পরীক্ষা করা উচিত৷
advertisement
ওই চিকিৎসক জানিয়েছেন, ইসিজি কখনওই হৃদযন্ত্রের ভিতরে থাকা শিরাগুলির মধ্যে কোনও অস্বাভাবিকতা আছে কি না, অথবা ধমণীগুলিতে কোনও ধরনের ব্লকেজ আছে কি না তা ধরতে পারে না৷ সেই কারণেই ইসিজি বাদে আরও কিছু পরীক্ষা বছরে অন্তত একবার করানো উচিত বলে পরামর্শ দিয়েছেন ওই চিকিৎসক৷ সেগুলি হল-
১. লিপিড প্রোফাইল
২. খালি পেটে ব্লাড সুগার পরীক্ষা অথবা HbA1c
advertisement
৩. রক্তচাপের উপরে নজরদারি
৪. বিএমআই/ওয়েস্ট সার্কামফারেন্স মেজারমেন্ট
৫. এ ছাড়াও ইকোকার্ডিওগ্রাম অথবা স্ট্রেস টেস্ট করা উচিত৷ বিশেষত যাঁদের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার পারিবারিক ইতিহাস রয়েছে অথবা বুকে ব্যথার মতো উপসর্গ রয়েছে, তাঁদের এই পরীক্ষা করা উচিত৷
স্বাস্থ্য এবং লাইফস্টাইলের (Lifestyle News in Bengali)সব খবরের আপডেট পান নিউজ 18 বাংলাতে ৷ যেখানে থাকছে হেলথ টিপস, বিউটি টিপস এবং ফ্যাশন টিপসও ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং টপ হেডলাইনগুলি অনলাইনে নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিতে ৷ এর পাশাপাশি ডাউনলোড করুন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস-এ সব খবরের আপডেট পেতে ! News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে ক্লিক করুন এখানে ৷
Location :
Kolkata,West Bengal
First Published :
July 02, 2025 8:53 PM IST
বাংলা খবর/ খবর/লাইফস্টাইল/
Heart Attack: ইসিজি করিয়েই নিশ্চিন্ত? তার পরেও হানা দিতে পারে হার্ট অ্যাটাক, বাঁচতে করান এই কয়েকটি পরীক্ষা