Love Story: স্বামীর চোখে নেই আলো, অসাড় পা নিয়ে স্ত্রী চলেন দু’ হাতে ভর দিয়ে...বার্ধক্যে একে অন্যের অবলম্বন হয়ে ভালবাসার গল্প লিখছেন ভিক্ষাজীবী দম্পতি

Last Updated:

Love Story: বৃদ্ধার হাত কাঁপে, তবু তিনি বৃদ্ধের হাত ধরে হাঁটেন। বৃদ্ধ কিছুই দেখতে পান না, তবু পথ দেখাতে ভোলেন না তাঁর ভালোবাসার মানুষটিকে। দুটো শরীর এবং অভিন্ন হৃদয়ে তাদের প্রতিদিনের দিন যাপন।

+
একে

একে অপরের প্রতি প্রেম এবং তাঁদের প্রতিদিনের দিন যাপন সমাজের কাছে দৃষ্টান্ত

রঞ্জন চন্দ, পশ্চিম মেদিনীপুর: শুধু আনন্দের সময়ে নয়, দুঃখ, বেদনা কিংবা কষ্টেও পাশে থাকার নাম ভালবাসা। মানুষ বিয়ের পর দায়িত্ব নেয় একে অপরের। সেই দায়িত্বটা থাকে মৃত্যুর আগের মুহূর্ত পর্যন্ত। প্রায় দু’বছর ধরে এক ভিক্ষাজীবী দম্পতির ভালবাসা, একে অপরের প্রতি প্রেম এবং তাঁদের প্রতিদিনের দিন যাপন সমাজের কাছে দৃষ্টান্ত। দম্পতির মধ্যে স্বামী অন্ধ, স্ত্রীর হাঁটা চলার ক্ষমতা নেই, স্বামীর পায়েও তেমন জোর নেই। কোমরে জোর না থাকায় নুইয়ে পড়েছেন তিনি। তবুও প্রতিদিন ভিক্ষা করে যে সামান্য রোজগার হয়, তা দিয়ে চলে স্বামী-স্ত্রীর সংসার। বেশ কয়েক বছর ধরে পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরার বিভিন্ন এলাকায় দেখা যায় তাঁদের।
ভিক্ষে করে যেটুকু পাওয়া যায় তাতেই চলে সংসার। এই দম্পতির একে অপরের পাশে থাকা এবং তাঁদের নিখাদ ভালবাসাকে কুর্নিশ জানিয়েছেন সকলে। পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরার সত্যপুর অঞ্চলের ইটাই গ্রামের এই দম্পতি মনে করিয়ে দেন ভালবাসা মানে শুধু হৃদয়ের বাঁধন নয়, বরং তার মানে জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত একে অপরের অবিচ্ছেদ্য সঙ্গী হয়ে থাকার অঙ্গীকার। ৭০ পেরিয়ে যাওয়া এক বৃদ্ধ, যাঁর চোখে আর আলো নেই। আর তাঁর পাশে ছায়া হয়ে থাকা এক বৃদ্ধা, যাঁর পা চলে না তবু দু’হাতে ভর দিয়ে পথ হাঁটেন।
advertisement
আরও পড়ুন : রোজ সকালে এই চায়ে চুমুক দিলেই কেল্লা ফতে! গুঁড়ো গুঁড়ো হয়ে বেরিয়ে যাবে কিডনির পাথর! ব্লাড সুগারেরও যম
দুজনেই একে অপরের অসম্পূর্ণতা পূর্ণ করে আজও একসঙ্গে বাঁচার চেষ্টা করেন। সংসার নেই, রোজগার নেই, সন্তান-সন্ততি নেই পাশে—আছে শুধু একে অপরের হাত। প্রতিদিন তাঁরা বের হন ভিক্ষে করতে। ঘষতে ঘষতে অনেকটা সময় তাঁরা যান এক দোকান থেকে আর এক দোকান। দিন আনি দিন খাই-উপার্জনের টাকায় চলে স্বামী-স্ত্রীর পেট।
advertisement
advertisement
বৃদ্ধার হাত কাঁপে, তবু তিনি বৃদ্ধের হাত ধরে হাঁটেন। বৃদ্ধ কিছুই দেখতে পান না, তবু পথ দেখাতে ভোলেন না তাঁর ভালবাসার মানুষটিকে। দু’টো শরীর এবং অভিন্ন হৃদয়ে তাঁদের প্রতিদিনের দিন যাপন চলে। তাঁদের দেখে বাজারে থাকা মানুষ থমকে দাঁড়ান। কেউ এগিয়ে দেন এক মুঠো চাল, কেউ কিছু টাকা। তাঁরা কৃতজ্ঞ চোখে তাকান ওদের দিকে। শুধুই বলেন, “ভাল থাকো বাবা।”
advertisement
এই গল্প কেবল দারিদ্র্রের নয়, এই গল্প এক জীবন্ত ভালবাসার, যেখানে সবকিছু হারিয়ে ফেলার পরেও, একে অপরকে হারাননি তাঁরা। তাঁদের এই প্রতিদিনের কষ্টের দিন যাপনকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সকলে।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/লাইফস্টাইল/
Love Story: স্বামীর চোখে নেই আলো, অসাড় পা নিয়ে স্ত্রী চলেন দু’ হাতে ভর দিয়ে...বার্ধক্যে একে অন্যের অবলম্বন হয়ে ভালবাসার গল্প লিখছেন ভিক্ষাজীবী দম্পতি
Next Article
advertisement
'কেন Gen Z তাঁর কথা শুনবে...?' বিহারের যুবসমাজের উপর রাহুলের প্রভাব, নস্যাৎ করলেন প্রশান্ত কিশোর
'কেন Gen Z তাঁর কথা শুনবে...?' বিহারের যুবসমাজের উপর রাহুলের প্রভাব নস্যাৎ করলেন পিকে
  • 'যখন বিহারের মানুষই রাহুল গান্ধির কথা শুনছেন না, তখন Gen Z -রা কেন তার কথা শুনবেন?' বিহার নির্বাচনী আবহে রবিবার লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধিকে তীব্র আক্রমণ করলেন প্রশান্ত কিশোর

VIEW MORE
advertisement
advertisement