#কলকাতা: আদিকাল থেকেই রূপচর্চায় প্রাকৃতিক উপাদানের চর্চা। আধুনিক যুগে এসেও এর আবেদন কমেনি, উল্টো দিন দিন এর গ্রহণযোগ্যতা বাড়ছে। তবে পরিবেশবান্ধব এসব উপাদান ত্বকের জন্য উপকারি হলেও অনেক বেশি ব্যবহার করলে হিতে বিপরীতও হতে পারে। তাই প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহারের ক্ষেত্রে সবাইকে একটু সাবধান হতে হবে। না হলে আপনি আপনার ত্বকের জন্য ডেকে আনতে পারেন বিপদ। চলুন জেনে নেওয়া যাক কয়েকটি প্রাকৃতিক উপাদানের ক্ষতিকর দিক যা আমরা প্রায়ই রূপচর্চায় ব্যবহার করি।
অ্যাপল সিডার ভিনেগার
অনেকেই ব্রণ, খুশকি অথবা প্রাকৃতিক ডিওডোরেন্ট হিসেবে অ্যাপল সিডার ভিনেগার ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু এটি অনেক বেশি অ্যাসিডিক হওয়ায়, আপনার ত্বকে মারাত্মক রাসায়নিক প্রতিক্রিয়া হতে পারে। এ ধরনের প্রতিক্রিয়া এড়ানোর জন্য অ্যাপল সিডার ভিনেগার জলে মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।
ডিমের সাদা অংশমুখের ত্বকের কুচকানো ভাব দূর করে টান টান ও মসৃণ করে তুলতে অনেকেই ডিমের সাদা অংশ ব্যবহার করে থাকি। ডিমের মধ্য দিয়ে সেলমোনেলা নামক এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া পেটে গিয়ে খাদ্যে বিষক্রিয়া ঘটাতে পারে। তাই কাঁচা অবস্থায় ডিম মুখের কাছে না নেওয়াই ভালো।
দারুচিনি
আজকাল ব্রণের সমস্যা সমাধানে দারুচিনি খুবই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেছে। অনেকেই মুখের মাস্ক হিসেবে এটি ব্যবহার করছেন। দারুচিনির একটি ক্ষতিকর দিক হচ্ছে এটি চর্মরোগ যা ত্বকে লালচে ভাব, ও জ্বালাভাবের জন্য দায়ী।
চিনি
মুখের ত্বকের জন্য চিনি খুবই উপকারি। কিন্তু বেশি মাত্রায় এটি ব্যবহার করা উচিত না। ত্বক ভালোভাবে স্ক্রাব না করে মরা কোষ দূর করতে চিনি ব্যবহার করেন অনেকে। এটি ত্বকের মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে। চিনি ঘা এর মতো ক্ষত তৈরি করতে পারে যা ত্বককে অনেক বেশি শুষ্ক করে দেয়।
লেবুর রস
লেবুতে অনেক বেশি ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য থাকে। অনেকেই বয়সের ছাপ দূর করতে মুখের ত্বকে এটি ব্যবহার করেন। কিন্তু লেবুর কারণে ত্বকে হাইপারপিগমেন্টেশন ও জ্বালা হতে পারে। তাই লেবুর রস ব্যবহারে সাবধানতা অবলম্বন করা দরকার।
বেকিং সোডা
মানসিক চাপ থেকে শুরু করে বিভিন্ন ব্যাথা থেকে মুক্তি পেতে স্নানের সময় অনেকেই বেকিং সোডা ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু এর ক্ষারীয় মাত্রা আপনার ত্বককে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।