#কলকাতা: একা বাঁচতে শেখা থেকে নিজের কাজ নিজে করা, রান্না থেকে কাছের মানুষের যত্ন নেওয়া, শারীরিকভাবে নিজের যত্ন নেওয়া থেকে মানসিকভাবে নিজেকে শক্ত রাখা, করোনা পরিস্থিতি আমাদের অনেক কিছু শিখিয়েছে গত দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে। আজ সকলেই অনেক বেশি ভালোভাবে বাঁচতে শিখেছে। ভালোভাবে নিজেকে তৈরি করতে শিখেছে। এত কিছুর মাঝেই মানুষের মনে করোনা নিয়ে ভয় থেকেই গিয়েছে কারণ করোনা ব্যাকফুটে যায়নি এখনও।
আরও পড়ুন: Skin Care: ত্বকের র্যাশ নিয়ে আর চিন্তায় ভুগবেন না! এসেনসিয়াল অয়েলেই আছে এর সমাধান
গোটা বিশ্বে যেখানে একের পর গবেষণার পর করোনার টিকা বের করার চেষ্টা চলেছে তখন এই ভাইরাস নিজের রূপ পাল্টেছে একাধিকবার। যার ফল করোনার দ্বিতীয় ওয়েভ এবং প্যানডেমিকের এক ভয়ঙ্কর দিক। বর্তমানে সেই আতঙ্ক ও ভয় কাটিয়ে করোনার টিকা নিয়ে স্বাভাবিক ছন্দে ফেরার চেষ্টায় সকলে। মাস্ক পরে, শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে ফের আগের মতো সব কিছু শুরু করলেও বাধ সাধছে করোনার নতুন স্ট্রেইন।
করোনার কিছু নির্দিষ্ট উপসর্গ থাকলেও একেক জনের শরীরে এটি একেক রকম প্রভাব ফেলে। কারও অনেক বেশি সমস্যা হয় বা উপসর্গ দেখা দেয় কারও আবার কোনও উপসর্গই থাকে না। ৮০ শতাংশ মানুষের সামান্য জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট ও সর্দি থাকলেও ২০ শতাংশ মানুষ বিছানায় পড়ে যায়। পোস্ট কোভিড সমস্যাও অনেকের অনেক বেশি থাকে। বিশেষ করে যারা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত, অন্যান্য ক্রনিক ডিজিস আছে বা আগে থেকেই ফুসফুসে সমস্যা থাকে।
এই সব মানুষদের বাড়তি সচেতনতা অবলম্বন করতে হয়। কারণ তারা হাই রিস্ক জোনে থাকেন।
দেখাশোনার দায়িত্ব যার থাকে তাকে বেশি সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়করোনা পরিস্থিতিতে যারা দেখাশোনা করে, তাদের গুরুত্ব অপরিসীম। কেউ অসুস্থ হলে এক্ষেত্রে তারা যখন কারও পরিচর্যা করবে তখন যেন সঠিকভাবে করেন, নিয়ম মেনে করেন। এর জন্য তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া প্রয়োজন। WHO-র নির্দিষ্ট কিছু গাইডলাইন আছে সেটা মানতে হবে। তারাও যেন করোনা বিধি মেনে চলেন, তা নিশ্চিত করতে হবে।
আরও পড়ুন: Good Health Tips: প্রয়োজন নেই দৌড়ঝাঁপের, বাড়িতেই অনায়াসে পেয়ে যান স্পায়ের আরাম! জেনে নিন কী ভাবে!
এছাড়াও স্বাস্থ্যকর্মী ও পরিচারিকাদের নিজেদেরও খুব বেশি সতর্ক থাকতে হবে। অনেক বেশি সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে কারণ তারাও রিস্ক জোনেই থাকেন।
প্ল্যান B থাকা প্রয়োজন
যারা বাড়ির বড়দের বা অসুস্থ মানুষজনের দেখভাল করেন, বাড়ির অন্যান্য দায়িত্বও তাঁর কাঁধে থাকে, তাঁদের সমস্ত কিছু খুব ভালোভাবে ম্যানেজ করতে হয়। বিশেষ করে, যাঁরা আগে থেকেই অসুস্থ তাদের যত্ন নেওয়ার জন্য বেশি সময় দিতে হয়। এই কাজ করতে করতে যাদের বাইরের অফিস বা অন্যান্য কাজও সামলাতে হয় এবং তাদের যদি করোনায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, তা হলে অবশ্যই আগে থেকে প্ল্যান B তৈরি রাখতে হবে। যাতে স্বাভাবিক ছন্দে চলা জীবেন ছন্দপতন না হয়। তাই বিশ্বাসযোগ্য কাউকে এই ধরনের দায়িত্ব দেওয়ার কথা ভেবে রাখতে হবে এবং তাকে সমস্তটা বুঝিয়ে দিতে হবে।
প্রিয়জনের থেকে দূরত্ব বজায় রাখা
যদি কোনওভাবে আক্রান্ত হন, তা হলে অবশ্যই প্রিয়জনের থেকে দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। নিজে কাছে থেকেও তাদের জন্য কিছু না করতে পারার যন্ত্রণা থাকবে কিন্তু মনে রাখতে হবে, এই যন্ত্রণার চেয়ে হারিয়ে ফেলার যন্ত্রণা অনেক বেশি। ফলে তা মাথায় রেখে চলতে হবে। দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। নিজের মনকে বোঝাতে হবে এবং তাদেরও বোঝাতে হবে। সংক্রমণের চেইন না ভাঙলে অনেক বেশি বিপদ।
শারীরিক অন্যান্য সমস্যার দিকে নজর দেওয়া
করোনার জেরে, করোনা থেকে বাঁচার ও সুস্থ থাকার তাগিদে শরীরে থাকা অন্যান্য সমস্যা অনেকেই এড়িয়ে যায়।
বিশেষ করে এই সময়ে করোনা নিয়ে এত চারিদিকে খবর, সমস্যা শোনার পর করোনা থেকে বাঁচার চেষ্টাই সকলে করছে। কিন্তু মাথায় রাখতে হবে, শরীরে থাকা অন্যান্য সমস্যা করোনা টেনে আনতে হবে ফলে সেগুলির দিকে তাকানোও দরকার এবং সেগুলি সারিয়ে তুলতে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সময়মতো করা দরকার।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Coronavirus, COVID-19