Ankylosing Spondylitis: অ্যাঙ্কিলুজিং স্পন্ডিলাইটিস নিয়ে কী বলছেন চিকিৎসকেরা? কীভাবে যত্ন নেবেন নিজের?

Last Updated:

Raising above Ankylosing Spondylitis: দুর্ভাগ্যবশত এ ধরনের স্পন্ডিলাইটিসে চব্বিশ ঘণ্টাই ব্যথা অনুভূত হতে পারে।

Living with Ankylosing Spondylitis
Living with Ankylosing Spondylitis
#কলকাতা: অ্যাঙ্কিলুজিং স্পন্ডিলাইটিস (Ankylosing Spondylitis), বা AS, একটি জয়েন্টের প্রদাহ যা সাধারণত আমাদের পিঠ, হাত, কনুই, হাঁটু এবং গোড়ালিতে মারাত্মক ব্যথা সৃষ্টি করে। দুর্ভাগ্যবশত এ ধরনের স্পন্ডিলাইটিসে চব্বিশ ঘণ্টাই ব্যথা অনুভূত হতে পারে। এটি জীবনযাত্রার মানকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে, কারণ যন্ত্রণাদায়ক শারীরিক ব্যথা প্রায়শই মানসিক, সামাজিক এবং অর্থনৈতিক প্রভাবের সঙ্গে যুক্ত থাকে (Raising above Ankylosing Spondylitis)।
রিউমাটোলজিস্ট, অ্যাপোলো মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতাল, কলকাতার (Apollo Multispecialty Hospitals, Kolkata) ডা. শ্যামাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Dr. Syamasis Bandyopadhyay) মতে, “যেহেতু অ্যাঙ্কিলুজিং স্পন্ডিলাইটিস এমন একটি অবস্থা যেখানে মেরুদণ্ডের হাড়গুলি একত্রিত হয়, তাই দৈনন্দিন কাজের ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে। তাই, অ্যালকোহল এড়িয়ে চলা, গাড়িতে চড়ার সময় সিট বেল্ট পরা ইত্যাদির মতো ছোট ছোট জীবনধারায় পরিবর্তন জরুরি।"
advertisement
advertisement
জীবনযাত্রার অবস্থার এই জটিলতা সত্ত্বেও, কেউ যদি ভালভাবে নিজেকে পরিচালনা করতে পারেন, তবে খুব একটা অসুবিধে হওয়ার কথা নয়। এখানে কিছু টিপস শেয়ার করা হল যা সংশ্লিষ্ট রোগীদের অ্যাঙ্কিলুজিং স্পন্ডিলাইটিসের সমস্যা কাটিয়ে উঠতে সহায়ক হবে (Living with Ankylosing Spondylitis)।
advertisement
১. ডায়েট নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা- স্বাস্থ্যকর খাদ্যের অভ্যাস তৈরি করা উচিত। কোন ধরনের খাবার শরীরে প্রদাহ সৃষ্টি করে তা লক্ষ্য রাখতে হবে এবং এড়িয়ে চলতে হবে।
"একটি সুষম খাদ্যতালিকা বজায় রাখা এই অবস্থায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পাশাপাশি, ১৮.৫-২৪.৯ BMI-এ শরীরের ওজন ধরে রাখার চেষ্টা করতে হবে। চর্বিযুক্ত খাবার, অ্যালকোহল, ধূমপান এড়িয়ে চলা উপকারী প্রমাণিত হতে পারে, সঙ্গে ভিটামিন ডি এবং ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার হাড়কে শক্তিশালী রাখতে সাহায্য করবে। হালকা খেলাধুলো, নিয়মিত ব্যায়াম, সাঁতার কাটা ইত্যাদির অভ্যাস রাখতে হবে’’, বলছেন ডা. বন্দ্যোপাধ্যায়।
advertisement
২. সাপোর্ট গ্রুপের সঙ্গে সংযোগ রাখা- এমন লোকেদের সঙ্গে সংযুক্ত থাকতে হবে যাঁরা আমাদের অবস্থা বুঝতে সহায়ক। ভুক্তভোগী ছাড়া এটি অন্যদের কাছে ততটা গুরুত্বপূর্ণ না-ও হয়ে উঠতে পারে। এই কারণেই অ্যাঙ্কিলুজিং স্পন্ডিলাইটিসের সঙ্গে লড়াইয়ে শারীরিক এবং মানসিকভাবে সুস্থ থাকার জন্য সাপোর্টিং গ্রুপ জরুরি।
advertisement
৩. চিকিৎসার সঠিক সময় নির্বাচন করা- অ্যাঙ্কিলুজিং স্পন্ডিলাইটিসের দীর্ঘস্থায়ী অবস্থার মোকাবিলার জন্য সঠিক চিকিৎসার সুপারিশ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চিকিৎসার মূল লক্ষ্য হল মেরুদণ্ডের বিকৃতি প্রতিরোধ করা। রোগের অপরিবর্তনীয় ক্ষতি হওয়ার আগে অ্যাঙ্কিলুজিং স্পন্ডিলাইটিসের চিকিসা সবচেয়ে সফলদায়ক।
ডা. বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে, অ্যাঙ্কিলুজিং স্পন্ডিলাইটিসের চিকিৎসার জন্য খুবই সতর্কতার সঙ্গে দেখাশোনা প্রয়োজন। উচ্চ মাত্রার ক্লিনিকাল সাপোর্ট, রিউমাটোলজিস্টের পরামর্শ নেওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কেন না, ভুল ওষুধ গ্রহণ বা বিলম্বে চিকিৎসা শুরু জীবনের পরবর্তী পর্যায়ে কিডনি ফেলিওরের মতো পরিস্থিতির দিকে নিয়ে যেতে পারে।
বাংলা খবর/ খবর/লাইফস্টাইল/
Ankylosing Spondylitis: অ্যাঙ্কিলুজিং স্পন্ডিলাইটিস নিয়ে কী বলছেন চিকিৎসকেরা? কীভাবে যত্ন নেবেন নিজের?
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement