Ancient Temple Tourism:পর্বতমালার মাঝে সবুজ উপত্যকায় অপরূপ ভাস্কর্য! হাজার বছরেরও প্রাচীন এই শিব মন্দিরকে বলা হয় ‘ছত্তীসগঢ়ের খাজুরাহো'

Last Updated:

Ancient Temple Tourism:এই মন্দিরটি খাজুরাহো এবং কোণার্কের সূর্যমন্দিরের মতো, তাই এটিকে 'ছত্তীসগঢ়ের খাজুরাহো'-ও বলা হয়। একাদশ শতাব্দীতে, নাগবংশীয় রাজা গোপালদেব ভগবান শিবের উপাসনার জন্য এই মন্দিরটি নির্মাণ করেছিলেন।

কাওয়ার্ধায় অবস্থিত ভোরামদেব মন্দির।
কাওয়ার্ধায় অবস্থিত ভোরামদেব মন্দির।
ছত্তীসগঢ়: ভারতীয় সংস্কৃতি, শিল্প এবং পর্যটনের সঙ্গে অতীব নিবিড়ভাবে জড়িয়ে রয়েছে অপরূপ সব মন্দির। বৌদ্ধ এবং জৈনদের গুহামন্দির, বাংলার পোড়ামাটির মন্দির, বিশেষ করে দক্ষিণ ভারতের পাথরের মন্দির, রূপ তার শত শত। ভারতের এই সব বিখ্যাত মন্দিরের কথা উঠলে অনেকেরই সবার আগে খাজুরাহোর কথা মনে পড়ে যেতে পারে, যা মধ্যপ্রদেশে অবস্থিত।
তবে, মূলত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য সুপরিচিত হলেও ছত্তীসগঢ়েও অনেক ঐতিহাসিক ও প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী স্থান অবস্থিত। এর মধ্যে একটি হল কাওয়ার্ধায় অবস্থিত ভোরামদেব মন্দির। মাইকাল পর্বতমালার মাঝখানে একটি সবুজ উপত্যকায় নির্মিত, এই মন্দিরটি খাজুরাহো এবং কোণার্কের সূর্যমন্দিরের মতো, তাই এটিকে ‘ছত্তীসগঢ়ের খাজুরাহো’-ও বলা হয়। একাদশ শতাব্দীতে, নাগবংশীয় রাজা গোপালদেব ভগবান শিবের উপাসনার জন্য এই মন্দিরটি নির্মাণ করেছিলেন।
advertisement
advertisement
শান্ত পরিবেশের মাঝে অবস্থিত ভোরামদেব মন্দির পর্যটকদের শান্তি এবং বিশ্বাস উভয়েরই অনুভূতি দেয়। এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ভক্তদের এক ভিন্ন আধ্যাত্মিক শক্তি প্রদান করে। সেইসঙ্গে শিল্পবোধকে তৃপ্ত করে অপরূপ ভাস্কর্য। মন্দিরের দেওয়ালে খোদাই করা ভাস্কর্যগুলি মধ্যপ্রদেশের খাজুরাহো মন্দিরের বিশেষ বৈশিষ্ট্য। এই কারণে একে ‘ছত্তীসগঢ়ের খাজুরাহো’ বলা হয়ে থাকে।
advertisement
মূল মন্দির বা ভোরামদেবের গর্ভগৃহে স্থাপিত প্রাচীন কালো পাথরের শিবলিঙ্গ এই স্থানের পবিত্রতা এবং ঐতিহাসিকতা প্রতিফলিত করে। প্রতিদিন শত শত ভক্ত এখানে শিবের পূজা করতে আসেন। প্রায় ৫ ফুট উঁচু বেদির উপর নির্মিত এই মন্দিরটি ৬০ ফুট লম্বা এবং ৪০ ফুট প্রস্থের। মণ্ডপের মাঝখানে চারটি এবং পাশে ১২টি স্তম্ভ স্থাপত্যের ভারসাম্য এবং শক্তির প্রতীক।
advertisement
মন্দিরের কাছে অবস্থিত প্রাচীন পুকুরটিও এই স্থানের ঐতিহাসিক গুরুত্বকে আরও বাড়িয়ে তোলে। জনশ্রুতি আছে যে এর নীচে আরও একটি মন্দির রয়েছে, যা আজও রহস্যময়। পর্যটকদের জন্য পুকুরে নৌকাবিহারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখানে পরিবার এবং বন্ধুদের সঙ্গে একটি সুন্দর সময় কাটানো যেতে পারে, যা স্মরণীয় হয়ে থাকবে আজীবন। এই জায়গাটি পিকনিকের জন্যও আদর্শ।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/লাইফস্টাইল/
Ancient Temple Tourism:পর্বতমালার মাঝে সবুজ উপত্যকায় অপরূপ ভাস্কর্য! হাজার বছরেরও প্রাচীন এই শিব মন্দিরকে বলা হয় ‘ছত্তীসগঢ়ের খাজুরাহো'
Next Article
advertisement
Nandigram: 'নন্দীগ্রামে জিতে দেখাক, দল ছেড়ে দেব!' শুভেন্দুকে চ্যালেঞ্জ অখিল পুত্র সুপ্রকাশের
'নন্দীগ্রামে জিতে দেখাক, দল ছেড়ে দেব!' শুভেন্দুকে চ্যালেঞ্জ অখিল পুত্র সুপ্রকাশের
  • নন্দীগ্রাম নিয়ে শুভেন্দুকে চ্যালেঞ্জ তৃণমূল নেতার৷

  • নন্দীগ্রামে শুভেন্দু জিতলে দল ছেড়ে দেবেন৷

  • ঘোষণা তৃণমূল নেতা সুপ্রকাশ গিরির৷

VIEW MORE
advertisement
advertisement