#নয়াদিল্লি: কাপড় কাচতে গিয়ে যে কতরকম বিপত্তির মুখোমুখি হতে হয়! গিন্নির লাল শাড়ির রঙ রাঙিয়ে দিল কর্তার অফিসের সাদা শার্ট। ব্যস, সেই নিয়ে মহাভারত অশুদ্ধ। আবার সাদাকে উজ্জ্বল সাদা করার চেষ্টায় উজালা দিতে গিয়ে সব নীলে নীল। সাদা রুমাল, সাদা স্যান্ডো গেঞ্জি মায় সাদা জামাতে ছোপ ছোপ নীল দাগ। সে এক হরেন্ডাস ব্যাপার। এমন অভিজ্ঞতা মোটামুটি সকলের আছে। আসলে জামাকাপড় কাচতে গিয়ে কমবেশি কয়েকটা ভুল হয়েই যায়। এখানে সেই ভুল এবং ভুল শোধরানোর উপায় নিয়েই রইল টিপস।
লেবেল না পড়া: সাধারণ সুতির টি শার্ট বলে যতই নিশ্চিত হওয়া যাক না কেন, কাচার আগে একবার লেবেলটা পড়ে নিতে হবে।
পরিবর্তে করণীয়: পোশাকের লেবেলগুলো কীভাবে পড়তে হয় এবং তাতে আঁকা প্রতীকগুলোর অর্থ কী, সেটা শিখে নিতে হবে। প্রথমদিকে বিভ্রান্তিকর মনে হলেও আদতে ব্যাপারটা খুবই সোজা।
আরও পড়ুন: মেয়ে, জামাইয়ের জন্য জামাইষষ্ঠীর কেনাকাটা এখনও হয়নি? কী ধরণের পোশাক কিনবেন? রইল টিপস...
উচ্চ তাপমাত্রায় কাচা কিংবা শুকনো: এতে জামা কাপড়ের ফাইবার গলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ফলে কয়েক মাস যেতে না যেতেই নতুন কেনা শার্ট-প্যান্টও ফর্দাফাঁই হয়ে যেতে পারে।
পরিবর্তে করণীয়: বেশিরভাগ পোশাকই ৩০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় কাচা যায়। এতে ফাইবার ভালো থাকে, পোশাক টেকেও দীর্ঘদিন।
দাগ লাগার দীর্ঘ সময় পর ধুতে দেওয়া: দাগ লাগার সঙ্গে সঙ্গে ধুয়ে ফেলাটাই বুদ্ধিমানের কাজ। নাহলে দীর্ঘ সময় ধরে পোশাকের ফাইবারে প্রবেশ করায় সেগুলো তোলা অসাধ্য হয়ে দাঁড়ায়।
পরিবর্তে করণীয়: দাগ লাগলে তৎক্ষণাৎ সেই জায়গাটা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। সাবান জল হলে আরও ভালো। এটাই পূর্ব চিকিৎসা। এরপর কাচার জন্য পাঠাতে হবে লন্ড্রিতে। তবে সিল্কের পোশাক হলে সাবধান। সেই দাগ আর উঠবে না। সেই অংশটা বিবর্ণ হয়ে গিয়ে ধীরে ধীরে হালকা হয়ে যাবে।
খুব জোরে ঘষা: যখন কোনও দাগকে খুব ঘষে তোলার চেষ্টা করা হয় তখন সেই অংশের ফ্যাব্রিকের দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতি হয়ে যায়। রঙ চটে যাওয়ার সম্ভাবনাও থাকে।
পরিবর্তে করণীয়: প্রথমে পোশাকটা ভিজিয়ে রাখতে হবে। তারপর ঠান্ডা জলে রিমুভার দিয়ে আলতো করে ঘষলে বা প্যাট করলেই সমাধান। মাথায় রাখতে হবে, স্টেইন রিমুভারই আসল গেম চেঞ্জার।
আরও পড়ুন: জামাইষষ্ঠীতে হোক নতুন পদ, শাশুড়িরা কম সময়ে বানিয়ে ফেলুন চিংড়ির আম কাসুন্দি
কাচার আগে জিপার খোলা: এই ভুলটা খুব হয়। তবে এতে কাপড়ের ক্ষতি হবে না। কিন্তু খোলা জিপার লেগে ওয়াশার বা ড্রায়ারে ছোট গর্ত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
পরিবর্তে করণীয়: কাচার আগে জিনস, জ্যাকেট, প্যান্ট বা যে কোনও পোশাকের জিপার লাগানো হয়েছে কিনা তা ভালো ভাবে পরীক্ষা করে নিতে হবে। এটাই একমাত্র উপায়।
অত্যধিক ডিটারজেন্ট সরাসরি পোশাকের উপর: অত্যধিক ডিটারজেন্ট ঢাললেই কাপড় বেশি পরিষ্কার হয়ে যাবে না। উল্টে পোশাককে দাগ, ব্লিচ বা বিবর্ণ করতে পারে।
পরিবর্তে করণীয়: বোতলের গায়ে যতটুকু ডিটারজেন্ট ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ততটুকুই ব্যবহার করা উচিত। পাশাপাশি নন বায়ো ডিটারজেন্ট ব্যবহার করলে সবচেয়ে ভালো।
মেশিনে বেশি জামা কাপড় একসঙ্গে নয়: সময় বাঁচাতে অনেকেই ওয়াশিং মেশিনে একসঙ্গে অনেক জামা কাপড় গুঁজে দেন। এর ফলে সব পোশাক ভালো ভাবে পরিষ্কার তো হবেই না, মেশিন খারাপ হওয়ার সম্ভাবনাও রয়ে যায়।
পরিবর্তে করণীয়: খুব সহজ, কম জামাকাপড় দিতে হবে। যাতে দুটি পোশাকের মধ্যে ব্যবধান থাকে।
ঘন ঘন কাচা: অনেকেই খুব ঘন ঘন বা একবার পরার পরেই সেই পোশাকটা কেচে ফেলেন। এতে জামা কাপড় সংকুচিত হয়, আসল আকার হারিয়ে যায়। সঙ্গে হয়ে যায় বিবর্ণ।
পরিবর্তে করণীয়: একবার পরার পর জামা কাপড় ব্রাশ করে নেওয়া সবচেয়ে ভালো।
ওয়াশিং মেশিনের ফিল্টার পরিস্কারে ভুল: এর ফলে মেশিনে ব্যাকটেরিয়া তৈরি হতে পারে। যা জমাকাপড়ে প্রবেশ করবে। সেখান থেকে শরীরে।
পরিবর্তে করণীয়: অধিকাংশ মেশিনেই 'ক্লিন ফ্লাফ' বা 'রিন্স মেশিন' চক্র থাকে। অর্থাৎ একটা বোতাম টিপলেই কাজ হয়ে যায়।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Laundry Mistakes