যে কোনও সম্পর্কের ভিত্তিই হল বিশ্বাস। কারণ সম্পর্কে ভালোবাসা থাকলেও, বিশ্বাসে ঘাটতি পড়লে সেই সম্পর্ক দীর্ঘমেয়াদী হয় না। বিশ্বাসঘাতকতা একটি সম্পর্কে শুধু ব্যবধানই তৈরি করে না, তা একজন সঙ্গীকে মানসিকভাবে বিধ্বস্ত ও হতাশাগ্রস্ত করে তোলে। এক্ষেত্রে স্ত্রী প্রতারণা করছেন কি না, তা এই ৭ লক্ষণ থেকে বুঝে নেওয়া যায়!
ছোট ছোট বিষয়ে নজর না দেওয়া
জীবনের ছোট ছোট আবেগপ্রবণ কাজগুলি একটি সুস্থ সম্পর্কের আসল রসদ। যেমন, একে অপরের জন্য চা বানিয়ে দেওয়া, কাজে বেরোনোর আগে গুডবাই কিস কিংবা একে অপরকে প্রশংসা কিংবা উৎসাহ জোগানো একটি দীর্ঘস্থায়ী এবং সুখী সম্পর্কের চাবিকাঠি। সেক্ষেত্রে স্ত্রী এই ছোট ছোট কাজগুলি বন্ধ করে দিলে সেটি তাঁর প্রতারণার লক্ষণ হতে পারে। এমনকি, তিনি যদি তিনি প্রতারণা না-ও করেন, অন্তত এই সম্পর্কে সুখী নন লক্ষণগুলি তারই ইঙ্গিত দেয়।
গোপনীয়তা বেড়ে যাওয়া
যদি আচমকাই স্ত্রী মোবাইল কিংবা ল্যাপটপের মতো রোজকার ব্যবহৃত যন্ত্রগুলো নিয়ে খুব বেশি গোপনীয়তা বজায় রাখতে শুরু করেন, তাহলে প্রতারণার সম্ভাবনা থাকে। মহিলাদের বিশ্বাসঘাতকতার লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে ফোন করার সময়ে ঘর থেকে বেরিয়ে আলাদাভাবে কথা বলা, নিজের ফোন নিয়ে অত্যধিক অধিকারবোধ থাকা এবং ঘন ঘন ফোন কিংবা ল্যাপটপে কোনও পুরোনো তথ্য মুছে ফেলা। তাই স্ত্রী যদি তাঁর ডিভাইজগুলির বিষয়ে খুব বেশি খোলাখুলি কথা না বলেন, তাহলে হতে পারে যে তিনি স্বামীর কাছ থেকে কিছু গোপন করছেন।
একসঙ্গে কম সময় কাটানো
একসঙ্গে সময় কাটানো অবশ্যই যে কোনও দাম্পত্যের সম্পর্কের বন্ধন অটুট রাখে। সে ডেট নাইট হোক বা কোনও কমন বন্ধুর সঙ্গে আড্ডা, দু'জনের একসঙ্গে কোয়ালিটি সময় কাটানোই সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তাই যদি স্ত্রী আগের চেয়ে কম সময় কাটান, তাহলে এটি প্রতারণার ইঙ্গিত হতে পারে। হয় স্ত্রী স্বামীকে আর পছন্দ করছেন না, নয় তো তিনি অন্য কারও প্রতি আকৃষ্ট হয়েছেন৷
হঠাৎ কাজে অনেক সময় দেওয়া
স্ত্রী যখন হঠাৎ অফিসে অনেকক্ষণ থাকতে শুরু করেন তখন বুঝতে হবে হয় তিনি কাজের প্রতি খুবই মনোযোগী অথবা তিনি অন্য কারও প্রতি অত্যন্ত প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সমস্যা আরও গভীর হতে পারে যদি সপ্তাহান্তে বা সারা রাত ধরে তিনি কাজের জন্য বাইরে থাকতে শুরু করেন।
নতুন বন্ধু হওয়া
নতুন পরিচিতি এবং সামাজিক চেনাশোনা বেড়ে ওঠা মানে এই নয় যে স্ত্রী প্রতারণা করছেন। কিন্তু এই নতুন বন্ধুদের প্রতি স্ত্রীর আচরণ প্রতারণার ইঙ্গিত দিতে পারে। যেমন তিনি নতুন বন্ধুদের সঙ্গে বেশি সময় কাটালেও স্বামীর সঙ্গে তাঁদের পরিচয় করিয়ে দিতে চান না।
সাজের ধরনে পরিবর্তন
যদি স্ত্রী আচমকাই এক্সারসাইজ করতে এবং স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে শুরু করেন, তাহলে হতে পারে তিনি কারও কাছে বেশি আকর্ষণীয় হয়ে ওঠার চেষ্টা করছেন। বিশেষত যদি কাজ অথবা নির্দিষ্ট কোনও সামাজিক অনুষ্ঠানের জন্য তিনি নিজের সাজের পরিবর্তন করেন, তাহলে তা প্রতারণার আভাস হতে পারে।
সঙ্গমে অনিচ্ছা
স্বামীর সঙ্গে সঙ্গমে আগ্রহী না হওয়া মহিলাদের বিশ্বাসঘাতকতার বড় লক্ষণ। তাই স্ত্রী যৌনজীবনে আগ্রহ বা উৎসাহ হারিয়ে ফেললে সম্ভাবনা থাকে যে তিনি অন্য কোনও সম্পর্কে নিজেকে আবদ্ধ করেছেন!
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Cheating, Relationship