মিছরির ছুরি, কাজের জায়গায় সহকর্মীর পলিটিক্সে নাজেহাল , শিখে নিন বাঁচার উপায়

Last Updated:

সহকর্মীর পলিটিকসে নাজেহাল? এই ১০ উপায়েই কাজ হবে মন্ত্রের মতো!

#কলকাতা: কোনও কূটনৈতিক মানুষের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করা শুধু কঠিনই নয়, অস্বস্তিকরও বটে। আর সেই মানুষটি যদি আপনার সহকর্মী হন, তাহলে তো আর কোনও কথাই নেই। কারণ কর্মস্থলে আক্রমণাত্মক মানুষের মোকাবিলা করা আরও জটিল হয়ে যায়। এক্ষেত্রে আপনাকে পেশাদার ভঙ্গিমায় সুকৌশলে সেই ব্যক্তির পলিটিকসের মুখোমুখি হতে হবে। আপনি যদি এই ধরনের পরিস্থিতিতে কী করবেন বুঝতে না পারেন, তাহলে আপনার জন্য কিছু পরামর্শ রইল।
নিজের দাবিতে দৃঢ় থাকুন
মনে রাখবেন আক্রমণাত্মক মানুষদের সহিষ্ণু মানুষদের বোকা বানানোর অথবা তাদের উপর কর্তৃত্ব করার প্রবণতা থাকে। তাই আপনি আক্রমণাত্মক সহকর্মীর সঙ্গে কথা বলার সময় কখনও আত্মবিশ্বাস হারাবেন না। নিজের বক্তব্যে স্থির থাকার চেষ্টা করুন। যদি আপনি অন্যদের সঙ্গে এইভাবে কথা বলে না-ও থাকেন, তাহলেও ওই ঝগড়ুটে সহকর্মীর সঙ্গে দৃঢ় ভাবে কথা বলুন।
advertisement
advertisement
অভিযোগ দাখিল করুন
আপনার সহকর্মীর ব্যবহার কি আপনার কাজের মানে প্রভাব ফেলছে? যদি তাই হয়, তাহলে আপনার হিউম্যান রিসোর্স বিভাগে একটি অফিসিয়াল অভিযোগ দাখিল করা উচিত। কারণ আপনার কাজ অন্য কোনও কর্মীর জন্য খারাপ হতে পারে না। এবং যদি পরিস্থিতি এতটাই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় তাহলে HR বিভাগকে অবশ্যই জানিয়ে রাখুন।
advertisement
দূরত্ব বজায় রাখুন
শুধুমাত্র একই কোম্পানিতে কাজ করেন বলে আপনাকে সব সময় যে সেই ব্যক্তির কাছাকাছি থাকতে হবে এমনটাও নয়। যদি ওই সহকর্মী আপনার টিমের সদস্য না হন তাহলে ইচ্ছাকৃত ভাবেই দূরত্ব বজায় রাখুন। এতে আপনার মনের শান্তিও ঠিক থাকবে৷ তাছাড়া যোগাযোগ কম হলে সেই ব্যক্তির কোনএ আচরণই আপনাকে বিরক্ত করবে না।
advertisement
আপনার প্রত্যাশা ঠিক রাখুন
আপনাকে মনে রাখতে হবে যে আপনি যা প্রত্যাশা করবেন তা সব সময় না-ও হতে পারে। এমনকি আপনি ভালো ব্যবহার করলেই যে সেই ব্যক্তির স্বভাব পরিবর্তিত হয়ে যাবে, এমনটাও নয়। তাই পরিবর্তনের প্রত্যাশা করবেন না। বরং নিজের খেয়াল রাখুন।
ব্যক্তিগত ভাবে নেবেন না
কোনও কূটনৈতিক সহকর্মীর সঙ্গে থাকতে হলে সেই ব্যক্তির কোনও কিছুই ব্যক্তিগত ভাবে নিলে চলবে না, বিশেষত যখন সেই ব্যক্তি রেগে গিয়ে কিছু বলেন৷ আপনাকে মনে রাখতে হবে সেই ব্যক্তির সঙ্গে আপনাকে কাজ করতে হবে, তাই তার কথায় কিছু মনে করে থাকলে চলবে না। রাগের মাথায় তার বলা জঘন্য কথায় মনে আঘাত পাবেন না।
advertisement
হাস্যরসে উড়িয়ে দিন
ব্যক্তিগতভাবে না নিয়ে বরং কৌতুকের সঙ্গে মিশুন। আপনাকে বেদনাদায়ক কোনও কিছু বললেও হাসির ছলে উড়িয়ে দিন। খারাপ ব্যবহার নিয়ে বেশি ভাববেন না, বরং হেসে ভুলে যান।
আপনার সহকর্মীদের মধ্যে জোট খুঁজুন
ওই আক্রমাণাত্মক ব্যক্তির বিরুদ্ধে যাওয়ার জন্য নয়, বরং আপনাকে যাতে অন্যরা বিশ্বাস করে এবং আপনিও যাতে কথা বলে শান্তি পান, সেই জন্যই অন্যান্য সহকর্মীদের সঙ্গে একজোট হন। এতে কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতিতে আপনার কিছুটা হলেও ভালো লাগবে।
advertisement
হয় তো শুধু আপনি একা নন
যদি আপনি লক্ষ্য করে দেখেন যে ওই ব্যক্তির এটাই স্বাভাবিক আচরণ তাহলে বুঝতে হবে যে শুধু আপনি নন, অনেকেই সেই ব্যক্তির খারাপ আচরণের শিকার হয়েছেন। তাই এই ধরনের নেগেটিভ মানুষদের ব্যবহারে আঘাত না পাওয়াই শ্রেয়।
এটা শুধুমাত্র আপনার কর্মক্ষেত্র
মনে রাখবেন, আপনাকে শুধুমাত্র আপনার কর্মস্থলেই সেই ব্যক্তির মুখোমুখি হতে হচ্ছে। তাই বেশি সংবেদনশীল না হওয়ার চেষ্টা করুন। বরং দিনের কিছুটা সময়ের জন্যেই সেই ব্যক্তির আচরণ সহ্য করতে হবে বলে মনকে শান্ত করুন।
advertisement
মোকাবিলা করুন
যা যা বলা হচ্ছে, তার মানে এই নয় যে আপনি একবারে পদক্ষেপ নেবেন না। বরং পরিস্থিতি আপনার নাগালের বাইরে চলে গেলে অবশ্যই নড়েচড়ে বসুন৷ আর যদি আপনি এই ধরনের পরিস্থিতি সামলাতে পারেন তাহলে অবশ্যই তার মোকাবিলা করুন।
বাংলা খবর/ খবর/লাইফস্টাইল/
মিছরির ছুরি, কাজের জায়গায় সহকর্মীর পলিটিক্সে নাজেহাল , শিখে নিন বাঁচার উপায়
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement