World Bank to West Bengal Government: রাজ্যকে বিপুল আর্থিক অনুদান বিশ্বব্যাঙ্কের ! পঞ্চায়েত ভোটের পরেই বিশ্বব্যাঙ্কের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হবে রাজ্য

Last Updated:

মূলত ক্ষুদ্র সেচের পরিকাঠামো গড়ে তোলার জন্যই এই ঋণ দিতে সম্মত হয়েছে বিশ্ব ব্যাঙ্ক। যার মূল লক্ষ্য হল বৃষ্টি ও ভূগর্ভের জল সংরক্ষণ এবং কম জলে চাষকে উৎসাহিত করা।

রাজ্যকে বিপুল আর্থিক অনুদান বিশ্বব্যাঙ্কের ! পঞ্চায়েত ভোটের পরেই বিশ্বব্যাঙ্কের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হবে রাজ্য
রাজ্যকে বিপুল আর্থিক অনুদান বিশ্বব্যাঙ্কের ! পঞ্চায়েত ভোটের পরেই বিশ্বব্যাঙ্কের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হবে রাজ্য
কলকাতা: উষ্ণায়নের হাত ধরে অনাবৃষ্টির হাত থেকে চাষকে বাঁচাতে বিশ্ব ব্যাঙ্ক ক্ষুদ্র সেচের পরিকাঠামো গড়ে তোলার দেড় হাজার কোটি টাকা ঋণ দিতে সম্মত হল। যার মূল লক্ষ্যই হল, পাহাড় থেকে সুন্দরবন-সহ দক্ষিবঙ্গের ‘সুখা’ এলাকার বৃষ্টি ও ভূগর্ভের জল সংরক্ষণ এবং কম জলে চাষকে উৎসাহিত করা। পঞ্চায়েত ভোটের পরই এই ঋণ নিয়ে রাজ্যের সঙ্গে বিশ্বব্যাঙ্ক চুক্তিবদ্ধ হতে চলেছে।
স্যাটেলাইট চিত্রকে সামনে রেখেই এই প্রকল্পের রূপরেখা তৈরি করা হয়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে, পশ্চিমাঞ্চলের ছ’টি জেলা পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূমের  একটা অংশ, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম মূলত খরা প্রবন। সেচের উপযুক্ত পরিকাঠামো নেই। প্রত্যন্ত এলাকায় অবস্থিত। ফলে জলের অভাবে এখানে অংশ এক ফসলি জমি হিসেবে চিহ্নিত।
advertisement
advertisement
এই সব এলাকায় চাষের সুযোগ বাড়াতেই বিশ্ব ব্যাঙ্ক আগ্রহী হয়েছে ঋণ দিতে। এছাড়াও সুন্দরবন ও পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি মহকুমায় চাষের বড় প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়েছে লবনাক্ত জল। দার্জিলিং ও কালিম্পংয়েও ঝোড়াগুলি সংস্কারের অভাবে জল ধারন ক্ষমতা হারিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে চাষ। এছাড়াও মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, উত্তর ২৪ পরগনার মতো একাধিক জেলা রয়েছে যেখানে সেচের জলের অভাব নেই। সেখানে ওয়াটার ম্যানেজমেন্টের প্রয়োজন রয়েছে। যাতে চাষের নামে অপচয় বন্ধ করে নানান পদ্ধতিকে কম জলে চাষ করার জন্য চাষিদের উৎসাহিত করতে হবে। কারণ আগামী দিন জলই একটা বড় সঙ্কট তৈরি করবে বলে মনে করছে বিজ্ঞানী মহল।
advertisement
রাজ্যের সেচ ও জলসম্পদ অনুসন্ধান দফতরের আধিকারিকদের কথায়, পশ্চিমাঞ্চলের ছয় জেলায় মূলত পুকুর খনন করে বৃষ্টির জল সংরক্ষণ করা হবে। এছাড়াও যেখানে ভূগর্ভে জল পাওয়া যাবে সেখানে বিশেষ টিউবওয়েল বসিয়ে সেচের জলের ব্যবস্থা করা হবে। লবণাক্ত এলাকায় খাল কেটে মিষ্টি জলের ব্যবস্থা করা হবে সেচের জন্য। এ ছাড়া পাহাড়ে ঝোরাগুলি সংস্কার করা হবে। যাতে জলধারন করার ক্ষমতা বাড়ে। আগামী ছ’বছরে ধরে বিশ্বব্যাঙ্কের এই প্রকল্প চলবে। শুধু জলের ব্যবস্থাই নয়, কম জলে কীভাবে চাষ সম্ভব সেই প্রযুক্তির উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে চাষিদের। এক ফসলি জমিতে যাতে এই প্রক্রিয়া অবলম্বন করে একাধিক চাষের সুযোগ করে দেওয়া যায় তাও রয়েছে পরিকল্পনায়।
advertisement
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়
বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
World Bank to West Bengal Government: রাজ্যকে বিপুল আর্থিক অনুদান বিশ্বব্যাঙ্কের ! পঞ্চায়েত ভোটের পরেই বিশ্বব্যাঙ্কের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হবে রাজ্য
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement