#কলকাতা: 'ভারতীয় জনতা পার্টির পক্ষ থেকে আমি বলতে পারি, ভোট হলে বিজেপি জিতবে, তৃণমূল পর্যুদস্ত হবে।' শুক্রবার মুখ ফসকে এমন কথাই বলে ফেলেছিলেন মুকুল রায়। এই ঘটনা সামনে আসতেই ব্যাপক শোরগোল রাজনৈতিক মহলে। স্বাভাবিক ভাবেই অস্বস্তি এড়াতে পারছে না তৃণমূল। সঙ্গত কারণেই বহু জায়গা থেকে প্রশ্ন আসছে, কেন এমন বললেন মুকুল! তবে মুকুল রায়ের ঘনিষ্ঠ মহল মনে করছে, এই অসংলগ্নতা আসলে জানান দিচ্ছে তিনি বৃদ্ধ হলেন।
মুকুল পুত্র শুভ্রাংশুর কথায়, "শরীরে-মনে ধ্বস্ত মুকুল রায় এই সামগ্রিক চাপটা নিতে পারছেন না। মুকুল পুত্র এদিন বলেন, বাবার অনেক কথাই মনে থাকছে না। পুরনো কথা মনে করতে পারছেন। কিন্তু সাম্প্রতিক বেশ কিছু কথা হঠাৎ হঠাৎ ভুলে যাচ্ছেন। তৎক্ষণাৎ আবার সম্বিৎ ফিরে আসছে।"
কিন্তু এত ধুরন্ধর রাজনীতিবিদ, যার প্রতিটা কথাই মাপা, তিনি কেন এতটা ব্যাকফুটে চলে গেলেন হঠাৎ! মুকুল পুত্র শুভ্রাংশুর কথায়, "মা চলে যাওয়ার ধাক্কাটা বাবা সামলাতে পারেনি। ফলে বাবার কোনো কথাই এখন ধরা। উচিত না। সোডিয়াম পটাশিয়ামেরও সমস্যা রয়েছে। চিকিৎসকরা দেখছেন বাবাকে। আশা করি বাবার অনুরাগীরা এই কঠিন সময় বাবার পাশেই থাকবেন।"
গত কয়েক মাসে মুকুল রায়ের জীবনে নাটকীয় রদবদল হয়েছে। করোনার ধাক্কায় হাসপাতাল যেতে হয়েছে। দীর্ঘদিনের ছায়াসঙ্গী স্ত্রী কৃষ্ণা রায়কে লম্বা সময় লড়াই করেও ঘরে ফেরানো যায়নি। জীবনসঙ্গীনীর এভাবে চলে তুমুল ধাক্কা দিয়েছে মুকুল রায়কে। এরই মাঝে আবার বিজেপিতে ক্রমাগত কোণঠাসা মুকুল রায়কে কাছে টেনে নিয়েছেন তাঁর প্রিয় নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাজনৈতিক মহলের মত, তৃণমূল স্রেফ মুকুল রায়কে নয় পেতে চেয়েছে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি পদাধিকারিকে। তৃণমূলের আসার পরও অস্বস্তি পিছু ছাড়েনি মুকুল রায়ের। তাঁকে পিএসসি চেয়ারম্যান পদে বসানো নিয়ে সাঁড়াশি চাপ তৈরি করেছে বিজেপি। এই দৈনন্দিনের চাপটাই এখন নিতে পারছেন না মুকুল রায়, এমনটাই মত ঘনিষ্ঠজনদের। এ কথা মাথায় রেখেই আগামীদিনে মুকুলকে সংবাদমাধ্যমের সামনে কম আনতে পারে দল, এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।