#কলকাতা: ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটিয়েছেন ওঁরা। নিজেদের বদলি রুখতে বিক্ষোভে নেমে নিজেরাই অরগানোফসফরাস জাতীয় বিষ খেয়ে নিয়েছেন প্রকাশ্যে। যে বিষ এক শিশি পেটে গেলে মৃত্যু অনিবার্য। প্রশ্ন উঠছে কেন, কার মদতে এতটা জঙ্গি মনোভাবাপন্ন হয়ে উঠলেন ওই শিক্ষিকারা!
সূত্রের খবর, এই শিক্ষিকাদের এই ধরনের আন্দেলনের পরিকল্পনা ছিল এক সপ্তাহ ধরেই। সোমবার সকাল ১১টা নাগাদ লেকটাউন শিক্ষামন্ত্রীর বাড়ির বাইরে এমনটা করার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের। কিন্তু আগের রাতে পুলিশ সূত্র মারফত তা আন্দাজ করে, আগেই আটক করা হয়। তাই পরিকল্পনা বদলে মঙ্গলবার বিকাশ ভবনের বাইরে আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন ওঁরা। ১৭ জনের বদলির প্রতিবাদে এমন অভিনব আন্দোলন কি কাকতালীয়? প্রেক্ষাপট বলছে, প্রথম থেকেই এই আন্দোলনকারীরা চাইছেন সরকারের ঘুম কাড়তে। ফলে প্রতিটি সিদ্ধান্তাই দৃষ্টি আকর্ষণকারী, ঝুঁকিপূর্ণ। তবে কালকের ঘটনা অতীতের সব প্রতিবাদের পন্থাকেই ছাড়িয়ে গিয়েছে।
এর আগে শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চের তরফে আন্দোলনকারীরা বিক্ষোভ দেখাতে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির পাশে আদি গঙ্গায় নেমে পড়েন পোস্টার হাতে। ভোটের আগে, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি নামখানায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সভায় কালো পতাকা নিয়ে গো-ব্যাক স্রোগান তুলতে দেখা গিয়েছে তাঁদের। বিধানসভার উত্তর গেটে চড়ে পোস্টার সেঁটে প্রতিবাদও করেছেন ওঁরা। গত সপ্তাহেই নবান্নে প্রতিবাদ করতে পৌঁছে গিয়েছিলেন ওঁরা, গিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর বাড়ির সামনেও । কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করারও পরিকল্পনা ছিল ওঁদের। দেখা তারপরই আজকের ঘটনা। শিক্ষক ঐক্য মুক্তমঞ্চের অন্যতম নেতা মইদুল ইসলাম, এক সময়ে সুজন চক্রবর্তী ঘনিষ্ঠ ছিলেন বলে চাউর । দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে তাঁকে বদলি করা হয়েছে কোচবিহার মেখলিগঞ্জ এলাকায়।
উল্লেখ্য বদলির পাশাপাশি এই শিক্ষকরা চাইছেন স্থায়ীকরণ। প্রশ্ন উঠছে চাকরির প্রাথমিক শর্তে স্থায়ীকরণের বিষয়টি ছিল না, তাহলে এখন তাঁরা এই দাবি করছেন কেন! এদিকে শিক্ষক ঐক্য মঞ্চ মনে করছে বারংবার বিক্ষোভ দেখানোর কারণেই প্রতিনিধিদের দূরদূরান্তে বদলি করা হচ্ছে। অভিযোগ তাদের নাকি মামলা করতেও বাধা দেওয়া হয়েছে ।সেই কারণে প্রতিবাদের এমন অভাবনীয় পথ বেছে নেন তাঁরা।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।