পোস্তা উড়ালপুলের ভবিষ্যৎ কী? চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে রাজ্য সরকার
- Published by:Pooja Basu
- news18 bangla
Last Updated:
গত ৪ বছরের বেশি সময় ধরে চলছে পোস্তা উড়ালপুল নিয়ে টানাপোড়েন।
#কলকাতা: পোস্তা উড়ালপুলের ভবিষ্যৎ কী? দূর্ঘটনাগ্রস্ত উড়ালপুলের বাকি অংশ ভেঙে ফেলা নাকি মেরামত করে ছোট গাড়ি চালানো। এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে সেতু বিশেষজ্ঞ ভি কে রায়নার সাহায্য নিল রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই কে এম ডি এ, রাইটস'র ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে নিয়ে সেতু পরিদর্শন করেছেন বিখ্যাত সেতু বিশেষজ্ঞ ভি কে রায়না। প্রসঙ্গত, রায়নার রিপোর্টের ওপর নির্ভর করেই টালা সেতু ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য। তাই বিবেকানন্দ উড়ালপুল নিয়ে রায়নার রিপোর্টের দিকেই চেয়ে আছে রাজ্য সরকার। তবে স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারদের একটা বড় অংশের মতে রেখে দেওয়া উচিত এই সেতু। সেতু যথাযথ ভাবে সংষ্কার করে এক মুখী ছোট গাড়ি চলাচল করানো হোক। যাতে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের ওপরে কমবে চাপ। কলকাতার রাস্তায় বাড়বে গতি।
২০১৬ সালের ৩১ মার্চ আচমকাই ভেঙে পড়ে বিবেকানন্দ উড়ালপুল। ভেঙে পড়ার সময়ে নির্মাণ কাজ শেষ হয়নি পোস্তা উড়ালপুলের। সেতু ভেঙে পড়ার ঘটনায় মৃত্যু হয় ২৬ জনের। সেতু ভেঙে পড়ার কারণ অনুসন্ধানে নেমে যানা যায় একদিকে খারাপ মানের সামগ্রী ব্যবহার। অন্যদিকে সেতুর নকশায় গলদ। আর এই দুইয়ের মিশেলেই ভেঙে পড়ে নির্মীয়মাণ এই সেতু। সেতুর নির্মাণ সংস্থার এক আধিকারিক জানিয়েছিলেন, তিনি তাদের উচ্চ আধিকারিকদের এই বিষয়ে আগে থেকেই সেতুর নানা সমস্যার কথা জানিয়েছিলেন। যদিও তাদের কথায় কেউ কর্ণপাত করেনি। পরে অবশ্য নির্মাণ সংস্থা এই ধরণের চিঠির বিষয় অস্বীকার করে।
advertisement
গত ৪ বছরের বেশি সময় ধরে চলছে পোস্তা উড়ালপুল নিয়ে টানাপোড়েন। নিয়োগ করা হয় খড়গপুর আই আই টি সহ একাধিক সেতু বিশেষজ্ঞদের। যদিও সেতু নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো যায়নি। কেন্দ্রীয় বিশেষজ্ঞ সংস্থা রাইটস রিপোর্ট ছিল সেতু ভেঙে ফেলা হোক। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্যে রাজ্য সরকারের মুখ্য সচিবের নেতৃত্বে একটা কমিটি গঠন করা হয়। তারাও একাধিকবার বৈঠক করেন। তবে সেতুর ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা জারি থাকে। এবার সেই জট কাটাতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে রাজ্য সরকার।
advertisement
advertisement
তাই দায়িত্ব দেওয়া হল সেতু বিশেষজ্ঞ ভি কে রায়না'কে। আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যেই তিনি রাজ্যকে রিপোর্ট জমা দেবেন। যার ওপর নির্ভর করে আছে এই সেতুর ভবিষ্যৎ। যদিও সেতু ভেঙে ফেলার পক্ষে সায় নেই একাধিক স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারদের৷ অন্যতম স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ার বিশ্বজিৎ সোমের বক্তব্য, "গড়ার চেয়ে ভাঙার খরচ অনেক বেশি। তাছাড়া পরিবেশগত দূষণ এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। আশঙ্কা থেকেই যায় সেতু ভাঙার সময়ে ফের দূর্ঘটনা ঘটার।" এক্ষেত্রে তার সাজেশন সেতু রেখে দেওয়া হোক। সেতু রক্ষণাবেক্ষণের পরে ছোট গাড়ি চলাচলের জন্যে খুলে দেওয়া হোক। কারণ হিসেবে তিনি বলছেন, সেতুর নকশা করা হয় ১০ টনের গাড়ির ওজন ধরে। এক্ষেত্রে ছোট গাড়ি চললে কোনও অসুবিধা হবার কথাই নয়৷ তাই না ভেঙে সংষ্কারের বিবেচনা করা হোক।
কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গের সব লেটেস্ট ব্রেকিং নিউজ পাবেন নিউজ 18 বাংলায় ৷ থাকছে দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের খবরও ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং সব গুরুত্বপূর্ণ খবর নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ এর পাশাপাশি সব খবরের আপডেট পেতে ডাউনলোড করতে পারেন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ ৷ News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে ক্লিক করুন এখানে ৷
Location :
First Published :
September 16, 2020 9:47 AM IST