Viral Fever in Bengal: প্রায় গোটা বঙ্গেই ভাইরাল ফিভারের হানা! জেলাভিত্তিক পরিসংখ্যান রীতিমতো আতঙ্কের

Last Updated:

Viral Fever in Bengal: রাজ্য জুড়ে প্রায় হাজার শিশু আক্রান্ত এই ভাইরাল জ্বরে। শুধু জ্বর নয়, শিশুদের মধ্যে রয়েছে শ্বাসকষ্ট, খিঁচুনি, বুকে ব্যথার মতো উপসর্গও।

আতঙ্কের জ্বর
আতঙ্কের জ্বর
#কলকাতা: এখনও অনিয়ন্ত্রিত ভাইরাল ফিভারের সংক্রমণ (Viral Fever in North Bengal)। বিগত ২ সপ্তাহ ধরে উত্তরবঙ্গে এক অজানা জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে শয়ে-শয়ে শিশু। উত্তরবঙ্গের গণ্ডি ছাড়িয়ে এখন ভাইরাল ফিভার হানা বসিয়েছে প্রায় গোটা বঙ্গেই। উত্তরবঙ্গে এরই মধ্যে থাবা বসিয়েছে ডেঙ্গি ও স্ক্রাব টাইফাসও। রাজ্য জুড়ে প্রায় হাজার শিশু আক্রান্ত এই ভাইরাল জ্বরে। শুধু জ্বর নয়, শিশুদের মধ্যে রয়েছে শ্বাসকষ্ট, খিঁচুনি, বুকে ব্যথার মতো উপসর্গও। আর যেভাবে তা উত্তোরত্তর বাড়ছে, তাতে চিন্তিত স্বাস্থ্য দফতর।
এই পরিস্থিতিতে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতাল এবং উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ (North Bengal Medical College) ও হাসপাতালে বাড়ছে শিশু রোগীর চাপ। যা সামলাতে হিমসিম খেতে হচ্ছে স্বাস্থ্য কর্তাদের। বেডের সংখ্যা কম হওয়ায় অনেক ক্ষেত্রে মেঝেতেই চলছে চিকিৎসা। একে গরম, তার উপর ভাইরাল ফিভার, দুইয়ে মিলে বাড়ছে দুশ্চিন্তা। সেইসঙ্গে দোসর ডেঙ্গি ও স্ক্রাব টাইফাস। স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের অবশ্য দাবি, প্রতি বছরই এই সময়ে শিশুরা ভাইরাল ফিভারে আক্রান্ত হয়ে থাকে। দ্রুত চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে।
advertisement
সবচেয়ে চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে, যেভাবে একের পর এক জেলায় প্রবলভাবে ছড়িয়ে পড়েছে এই জ্বর। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক, কোন জেলায় কত শিশু আক্রান্ত এই মুহূর্তে...
advertisement
জলপাইগুড়ি- ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা ৯২।
আলিপুরদুয়ার- ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা ১১২।
কোচবিহার- বুধবার পর্যন্ত ১১৩ জন শিশু আক্রান্ত।
advertisement
কালিম্পং- ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা ৫।
দার্জিলিং- বুধবার পর্যন্ত আক্রান্ত ৮৬ জন শিশু।
মালদা- ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা ১৯৬।
উত্তর দিনাজপুর- বুধবার পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৬৪ জন।
দক্ষিণ দিনাজপুর- বুধবার পর্যন্ত আক্রান্ত ৯২।
আসানসোল --বুধবার পর্যন্ত ১৪৮ জন শিশু।
দুর্গাপুর---৮০ জন শিশু।
মুর্শিদাবাদ--১৫২ জন শিশু।
advertisement
উত্তর দিনাজপুর- ১৭ জন শিশু।
পূর্ব মেদিনীপুর -- ৩০ জন শিশু।
তবে, চিকিৎসকদের একাংশ বলছেন, যে জ্বরকে এতদিন অজানা বলে মনে করা হচ্ছিল, নমুনা পরীক্ষা করতেই সেই অজানা তকমাটা ক্রমেই মিটে যাচ্ছে। সামনে আসছে জ্বরের একাধিক কারণ। মূলত RS ভাইরাস এবং ভাইরাল নিউমোনিয়ার আক্রমণেই জ্বরের প্রকোপ বলে দাবি করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তবে বিভিন্ন ধরনের ইনফ্লুয়েঞ্জা, ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া এবং স্ক্রাব টাইফাসেরও সন্ধান মিলেছে। রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী বলেছেন, “প্রতি বছর এই সময় শিশুদের মধ্যে ভাইরাসের প্রকোপ দেখা যায়। এটা আশ্চর্যের কিছু নয়। কিন্তু এ বছর সংখ্যাটা বেড়ে গিয়েছে।' একইসঙ্গে তাঁর সংযোজন, 'রোগ যখন হচ্ছে। শিশুদের আইসিইউয়ে ভর্তি যখন করতে হচ্ছে, তখন কিছু একটা কারণ‌ও নিশ্চিত রয়েছে।”
advertisement
উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতি সরজমিনে খতিয়ে দেখতে শুক্রবারই উত্তরবঙ্গে যাচ্ছে স্বাস্থ্য দফতরের বিশেষজ্ঞ দল। ওই টিমের সদস্যরা প্রথমে যাবেন উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে, এরপর তাঁদের শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতাল এবং জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে যাওয়ার কথা রয়েছে। অপরদিকে, রাজ্য স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে খবর, জ্বরের আসল কারণ খুঁজতে স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিন এবং উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে ভাইরাস প্যানেলে নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। পাশাপাশি, উপসর্গের নিরিখে কী ধরনের চিকিৎসা করা প্রয়োজন, তা নিয়েও প্রোটোকল বিশেষজ্ঞ কমিটি তৈরি করছে।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
Viral Fever in Bengal: প্রায় গোটা বঙ্গেই ভাইরাল ফিভারের হানা! জেলাভিত্তিক পরিসংখ্যান রীতিমতো আতঙ্কের
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement