Abhishek Banerjee: তৃণমূল জনগণের দল... যারা জনতার পাশে দাঁড়াবেন না, তাঁদের পদ ধরে রাখার কোনও অধিকার নেই! SIR আবহে স্পষ্ট বার্তা অভিষেকের
- Reported by:ABIR GHOSHAL
- news18 bangla
- Published by:Soumendu Chakraborty
Last Updated:
শনিবার একটি সাংবাদিক বৈঠকে আগামী ৩১ ডিসেম্বর দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমারের সঙ্গে দেখা করার কথা জানিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের পরে সাধারণ মানুষ ও SIR-এর কাজে নিযুক্ত আধিকারিকদের হয়রানির মধ্যে পড়তে হচ্ছে বলে দাবি করেছিলেন তিনি। একইসঙ্গে রবিবার বিএলএ-২-দের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকের পরেই একটি সাংবাদিক বৈঠকে তিনি রাজ্যের বিএলওদের এসআইআরের কাজের জন্য ধন্যবাদ জানান।
কলকাতা: শনিবার একটি সাংবাদিক বৈঠকে আগামী ৩১ ডিসেম্বর দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমারের সঙ্গে দেখা করার কথা জানিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের পরে সাধারণ মানুষ ও SIR-এর কাজে নিযুক্ত আধিকারিকদের হয়রানির মধ্যে পড়তে হচ্ছে বলে দাবি করেছিলেন তিনি। একইসঙ্গে রবিবার বিএলএ-২-দের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকের পরেই একটি সাংবাদিক বৈঠকে তিনি রাজ্যের বিএলওদের এসআইআরের কাজের জন্য ধন্যবাদ জানান।
এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “অতন্দ্র প্রহরীর মতো দিবারাত্রি পরিশ্রম করে SIR এর কাজ করেছেন তাঁরা। তাঁদের ধন্যবাদ জানাই। আপনাদের সকলের নাম ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।”
এরপরেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দেগে তিনি বলেন, “যেদিন থেকে SIR শুরু হয়েছে বাংলায় সেদিন থেকে যুদ্ধ শুরু হয়েছে। প্রায় ৬ সপ্তাহ এখনও এই লড়াই চালাতে হবে আমাদের।”
advertisement
advertisement
শনিবারের ঘোষণা মত তিনি বলেন,”আগামী ৩১ তারিখ আমি নির্বাচন কমিশন যাব সঙ্গে ১০ সাংসদ ও মন্ত্রী সহ প্রতিনিধি দল দিল্লির কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনে যাব। আমাদের তালিকা চাই।আমরা জানি কমিশনের কাছে কোন তালিকা নেই।”
এরপরেই তিনি বলেন “তৃণমূল হল জনগণের দল, জনগণের জন্য, জনগণের সঙ্গে। যদি কোনো নেতা জনগণের পাশে দাঁড়াতে না পারেন, তবে কোনো পদ ধরে রাখার অধিকার তাদের নেই।”
advertisement
তিনি আরও জানান, এসইআআরের জন্য পৌরসভা এলাকার ক্ষেত্রে পৌর প্রধানের কাছে যদি কেউ গিয়ে রেসিডেনসিয়াল সার্টিফিকেট চায় অবশ্যই সহায়তা করতে হবে। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমাদের সরকার বদ্ধপরিকর মানুষের পাশে থাকার জন্য। যে পঞ্চায়েত সমিতির প্রধান, পুর প্রধান মানুষের পাশে থাকবেন না তাদের পদে থাকার অধিকার নেই। কোন ভাবে সাধারণ মানুষের যাতে হয়রানি না হয়। এসডিও অফিসে গিয়ে যখন সেই নথি ব্যক্তি জমা দেবেন তখন নজর রাখতে হবে সব ঠিকমতো করছেন কি না।শুনানিতে যাতে কোন অসুবিধে না হয় সেটা সুনিশ্চিত করতে হবে।”
advertisement
একই সঙ্গে পরিযায়ী শ্রমিকদের নাম বাদ যাওয়া নিয়েও সরব হয়েছেন অভিষেক। তিনি বলেন, “বিজেপি দিল্লি ও হরিয়ানায় এই খেলা খেলেছে। দিল্লিতে একজন মন্ত্রীর বাড়িতে একাধিক ভোটারের নাম নথিভুক্ত ছিল। এমন কোনো নিয়ম নেই যে পরিযায়ী শ্রমিকদের শুনানির সময় উপস্থিত থাকতে হবে। নিয়ম অনুযায়ী, ১৮ বছরের বেশি বয়সী যে কেউ – আত্মীয়, বাবা-মা বা বিবাহিত হলে স্ত্রী – এনুমারেশন ফর্ম জমা দিতে পারেন। এখন মৌখিকভাবে তাঁরা বলছে যে পরিযায়ী শ্রমিকদের উপস্থিত থাকতে হবে। আগে তারা বিজ্ঞপ্তিটি দেখাক, আমরা আইনগতভাবে বিষয়টি দেখব।
advertisement
পরিযায়ী শ্রমিকদের শুনানিও কেন ভার্চুয়াল হবে না সেই প্রশ্ন তোলেন তিনি। তিনি বলেন,
“সুপ্রিম কোর্টে ভার্চুয়াল শুনানি হলে,প্রধানমন্ত্রী বাংলায় এসে ভার্চুয়াল জনসভা করছে পরিযায়ী শ্রমিকদের ক্ষেত্রে কেন হবে না ভার্চুয়াল শুনানি?? যদি আসতে হয় পরিযায়ী শ্রমিকদের তাহলে যাতায়াতের টিকিট কেটে দিল নির্বাচন কমিশন।”
একইসঙ্গে শুনানির নামে প্রবীণ নাগিরকদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয় সেই বিষয়টিও কমিশনকে বুঝতে হবে বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, “শুনানির নামে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক প্রবীণ নাগরিকদের হয়রানির বিষয়টি উত্থাপন করতে হবে। (তারকেশ্বর, বাঁকুড়া এবং পূর্ব বর্ধমানের উদাহরণ তুলে ধরেন।) যদি আপনি সিনিয়র সিটিজেনদের ভোট পোষ্টাল ব্যালটে নেন তাহলে তাদের শুনানি করতে কেন যেতে হবে অন্যত্র। আমাদের এক প্রতিনিধি দল শুধু এই বিষয়ে কথা বলতে যাবে নির্বাচন কমিশনের দফতরে।”
advertisement
বিজেপিকে এইদিন আক্রমণ করে বলেন, “বিজেপি দুর্নীতিবাজদের পুরস্কৃত করেছে, আমরা বর্জন করেছি। যাদেরকে ক্যামেরার সামনে টাকা নিতে দেখা গেছে। তাকে মোদীর মঞ্চে পুরষ্কৃত করা হচ্ছে।
তারা দেশের ডিএনএ পরিবর্তন করতে চায়। তারা বিভেদ ও হিংসা বাধিয়ে ক্ষমতায় এসেছে। তারা বাংলার ডিএনএ পরিবর্তন করতে পারবে না।”
এসআইআরের শুনানিতে তৃণমূল যে সম্পূর্ণ মানুষের পাশে থেকে লড়াই করবে। এদিনের বার্তায় স্পষ্ট করে দেন অভিষেক। তিনি বলেন, “আগামী কাল সকাল ৯ টা থেকে সহায়তা কেন্দ্র শুরু করতে হবে। কে এল, কে এল না সেটা চিহ্নিত করুন। যে এল না, বাড়ি গিয়ে গাড়ি করে নিয়ে আসতে হবে।বাংলার ডি এন এ পরিবর্তন করতে চায়।শেষ রক্ত দিয়ে সেটা রক্ষা করতে হবে। মানুষ বুঝুক তৃণমূল আমাদের পাশে ছিল। ভোটার নাম বাদ দিতে দেয়নি।শেষ পর্যন্ত পাশে ছিল।আর বিজেপি চেয়েছিল নাম বাদ দিতে। ভালোবাসার পুঁজি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আছে।”
কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গের সব লেটেস্ট ব্রেকিং নিউজ পাবেন নিউজ 18 বাংলায় ৷ থাকছে দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের খবরও ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং সব গুরুত্বপূর্ণ খবর নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ এর পাশাপাশি সব খবরের আপডেট পেতে ডাউনলোড করতে পারেন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ ৷ News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে ক্লিক করুন এখানে ৷
Location :
Kolkata [Calcutta],Kolkata,West Bengal
First Published :
Dec 28, 2025 7:25 PM IST









