প্রতিদিনের ব্যস্ততায় খবর কাগজ খুঁটিয়ে পড়া সম্ভব হয় না ৷ অনেক সময় গুরুত্বপূর্ণ খবর চোখ এড়িয়ে যায় ৷ তাছাড়া একাধিক কাগজও পড়ার মতো সময় কারোর হাতেই নেই ৷ তাই আসুন এক নজরে, একজায়গায় দেখে নিন কলকাতার বিভিন্ন কাগজের সেরা খবর গুলি ৷ রবিবারের গুরুত্বপূর্ণ খবরগুলি হল-
১) বিজেপি-র বিরুদ্ধে লড়াই, তবে কেন পরবর্তী রাষ্ট্রপতি পদে আডবাণীরাই পছন্দ?টিভি চ্যানেলে প্রশ্নের জবাবে পরবর্তী রাষ্ট্রপতি পদে প্রণব মুখোপাধ্যায় ছাড়াও আরও তিন পছন্দের নাম বলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই লালকৃষ্ণ আডবাণী, সুমিত্রা মহাজন ও সুষমা স্বরাজ— তিন জনই বিজেপির নেতা-নেত্রী। যিনি বিজেপি-র বিরুদ্ধে এত লড়াইয়ের কথা বলছেন, তিনিই আবার রাষ্ট্রপতি-পদে বিজেপি থেকে এমন প্রার্থীদের নিয়ে আপত্তি না থাকার কথা বলছেন! তা হলে নারদ-কাণ্ডে সিবিআই তদন্ত চলাকালীন এই পছন্দের নামের মধ্যেই কোনও সমঝোতার বার্তা আছে? এই প্রশ্ন তুলে সরব হয়েছে বিরোধীরা। বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী আগের দিনই বলেছেন, ‘‘বিজেপি-র নেতা-নেত্রীদের উনি সমর্থন করবেন? নারদ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরে বলেছিলেন, দরজা খোলা আছে। কোন দরজা খোলা, এখন একটু একটু স্পষ্ট হচ্ছে!’’ একই সুর প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীরও। তিনি শনিবার বলেছেন, রাষ্ট্রপতি-পদে আগাম পছন্দ জানিয়ে নারদ-কাণ্ডে বোঝাপড়ার রাস্তা খুলে রাখতে চাইছেন তৃণমূল নেত্রী।
২)প্রশাসন ও গোরক্ষা বাহিনীর জুলুমে যোগী রাজ্যে বন্ধ পাঁঠা, মুরগিও
কথা হয়েছিল, বন্ধ হবে বেআইনি কসাইখানা। কাজে দেখা যাচ্ছে, যন্ত্রচালিত বৈধ কসাইখানাও যোগী সরকারের কোপে পড়ছে। উত্তরপ্রদেশে সব রকম আমিষ খাবারের বিরুদ্ধেই অঘোষিত যুদ্ধে নেমে পড়েছে যোগী-রাজ্যের প্রশাসন ও গোরক্ষাপন্থী যুবা বাহিনী। দিল্লির লাগোয়া এলাকায় পোস্টার পড়ছে, কাছে মাতাজির মন্দির। বন্ধ করো মাংসের দোকান। মেরঠের মেয়র হরিকান্ত অহলুওয়ালিয়া জেলাশাসকের কাছে দাবি জানিয়ে এসেছেন, বৈধ-অবৈধ প্রশ্ন নয়, মন্দিরের আশপাশে কসাইখানা বন্ধ করতে হবে। লখনউয়ে পুলিশ দোকান থেকে মুরগি তুলে নিয়ে গিয়েছে ব্যবসা ও পরিবেশ সংক্রান্ত ছাড়পত্র না থাকার কথা বলে। কোপ পড়ছে ডিমেও! পরিস্থিতি এমনই যে, অর্নিদিষ্ট কালের জন্য ধর্মঘট ডাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ‘লখনউ মুর্গা মান্ডি সমিতি’ এবং ‘লখনউ মুর্গা বকরা ব্যাপার কল্যাণ সমিতি’। আজ সকাল থেকেই ঝাঁপ বন্ধ ছিল মাংস ও ডিমের দোকানগুলির। মাছ ব্যবসায়ীরাও ধর্মঘটে সামিল হতে পারেন এ বার।৩)‘ট্রাম্প-কেয়ারে’ হোঁচট, ডোনাল্ড দুষলেন ডেমোক্র্যাটদেরইবিল আটকে গেলে তা নিয়ে মাথা ঘামাবেন না বলেছিলেন। কিন্তু পারলেন কই! ‘ট্রাম্প কেয়ার’-এ ধাক্কা খেয়ে ডেমোক্র্যাটদেরই দুষলেন মার্কিন প্রেসি়ডেন্ট। তাঁর কথায়, ‘‘ওদের থেকে একটাও ভোট পেলাম না! লজ্জার ব্যাপার।’’ প্রয়োজনীয় সমর্থনের অভাবে গত কালই ভেস্তে গিয়েছে তাঁর স্বপ্নের স্বাস্থ্য পরিষেবা বিল। কংগ্রেসে ভোটাভুটির আগে ট্রাম্প নিজেই তা ফিরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছেন। কিন্তু কেন এমন হলো? ট্রাম্পের দাবি, ডেমোক্র্যাটরাই ডুবিয়েছে তাঁকে। ন্যান্সি পেলোসি এবং চাক শুমারের মতো বিরোধী এমপি-দের নিশানায় রেখে তিনি বলেন, ‘‘ওবামা কেয়ার টিকিয়ে রাখার পিছনে নিশ্চিত ভাবেই একাংশের স্বার্থ জড়িয়ে রয়েছে।’’ আর ঠিক সেই কারণেই ডেমোক্র্যাট এমপি-রা তাঁর বিকল্প প্রস্তাব ঠেকাতে উঠে-পড়ে লেগেছিলেন বলেন মন্তব্য করেন প্রেসিডেন্ট।
৪)বিপদ না বাড়ে, সতর্ক তৃণমূলস্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে দিয়েছেন, বহিষ্কার করে কোনও লাভ নেই। তাতে কেডি সিংহ সাংসদ থেকে যাবেন। কিন্তু সারদা-কাণ্ডে রাজ্যসভার আর এক দলীয় সাংসদকে যেমন সাসপেন্ড করা হয়েছিল, কেডি-র ক্ষেত্রে তা করতে বাধা কোথায়? এই প্রশ্নেই এখন উত্তাল তৃণমূলের অন্দর মহল!নারদ-কাণ্ডে স্টিং অপারেশনের টাকা কেডি-র সংস্থা মারফত এসেছিল, ম্যাথু স্যামুয়েল সিবিআইয়ের কাছে এই দাবি করার পরেই হইচই পড়েছে রাজ্যসভার ওই তৃণমূল সাংসদকে নিয়ে। তৃণমূল সূত্রের খবর, দলের একাংশ শাস্তির দাবি তুললেও শীর্ষ নেতৃত্ব কেডি-র ব্যাপারে ধীরে চলারই পক্ষপাতী। মমতা ইতিমধ্যে প্রকাশ্যেই বলেছেন, কেডি-র ব্যবসার দৌলতে বিজেপি-র মদত তাঁর পিছনে থাকতে পারে। এখন নারদ-কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের জেরে তৃণমূলই যখন বেকায়দায়, সেই সময়ে কেডি-কে কড়া শাস্তি দিতে গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে! এই আশঙ্কা থেকেই তাঁকে নিয়ে ধীরে চলা হচ্ছে বলে দলের একটি সূত্রের ব্যাখ্যা। তা ছাড়া, কেডি-র সঙ্গে দলের অন্তত দু’জন সর্বভারতীয় নেতার সম্পর্ক বেশ ঘনিষ্ঠ। কেডি-কে নিয়ে টানাটানি হলে অন্যদেরও বিপাকে পড়তে হবে।
১) তিস্তা নিয়ে মমতার সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত, আশ্বাস কেন্দ্রেরতিস্তা জলচুক্তি নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে মমতা সহ সংশ্লিষ্ট সব মহলের সঙ্গে কথা বলা হবে বলে কেন্দ্রীয় সরকার আশ্বাস দিয়েছে। গতকাল কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র গোপাল বাগলে জানিয়েছিলেন, রাজ্য সরকারের সঙ্গে কথা না বলে কোনও সিদ্ধান্তই নেওয়া হবে না। কারণ ভারত সরকার যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর রীতি মেনে কেন্দ্র রাজ্য সম্পর্কের প্রটোকল অনুসরণ করেই এগতে চায়। বিদেশমন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী মাসে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের পর যখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশে যাবেন তার আগেই রাজ্য সরকারের সঙ্গে তিস্তা নিয়ে দীর্ঘ ও বিস্তারিত কথা বলবে কেন্দ্র। শুধু কথাই বলবে না, জানা যাচ্ছে গোটা চুক্তির খসড়া প্ল্যানটির প্রতিপাদ্যও রাজ্যকে পাঠানো হবে।
২) কয়েক মিনিটের ঘূর্ণিঝড়ে লন্ডভন্ড মালদহে মৃত দুইশনিবার ভোরে মাত্র ১০ মিনিটের ঘূর্ণিঝড়ে লন্ডভন্ড হল মালদহের বিস্তীর্ণ এলাকা। ঘরের দেওয়াল চাপা পড়ে এক শিশুসহ দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। জখম হয়েছেন অন্তত ৩০ জন। তাঁদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। ঝড়ের দাপটে বহু কাঁচা বাড়ি, চাষের জমি ও আমবাগান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গৃহহীন হয়ে পড়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। বহু গ্রামে গাছের ডাল ভেঙে পড়ার পাশাপাশি বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে গিয়েছে। এদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত বহু গ্রামে বিদ্যুৎ আসেনি। এদিন ভোরে আচমকা জেলার কিছু এলাকায় ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডব শুরু হয়। সেই সঙ্গে চলে বৃষ্টি। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঝড়ের সময় চাঁচল-২ ব্লকে ঘরের দেওয়াল চাপা পড়ে সাত বছরের শিশু মনিরুল ইসলামের মৃত্যু হয়েছে। ঝড় শুরু হতেই পরিবারের অন্য সদস্যরা হুড়মুড়িয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে গেলেও সে ঘরে থেকে যায়।
৩)রাজ্যে রাজ্যে যোগীকেই প্রচারে চায় বিজেপি, সমর্থকদের স্লোগান, ২০২৪ সালের প্রধানমন্ত্রীগত রবিবার তিনি শপথ নিয়েছিলেন। তার সাতদিনের মধ্যেই গোরক্ষপুর আজ বুঝিয়ে দিল, এমপি থেকে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার মধ্যেই তাঁদের প্রিয় যোগী মহারাজের রাজনৈতিক দৌড় সমাপ্ত হবেনা। তাই মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর এই প্রথম যোগী আদিত্যনাথ নিজের শহরে পা দিয়েই স্লোগান শুনতে পেলেন ‘আজকের মুখ্যমন্ত্রী, ২০২৪ সালের প্রধানমন্ত্রী যোগী...যোগী..!’ হাজার হাজার বিজেপি সমর্থক আর যোগী ভক্তদের হাতে প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল ‘গোরক্ষপুর সে লখনউ, লখনউ সে দিল্লি...।’ অর্থাৎ যোগী আদিত্যনাথকেই নতুন নায়কের স্বীকৃতি দিতে শুরু করে দিয়েছে সাধারণ বিজেপি নেতাকর্মীরা। সাম্প্রতিককালের মধ্যে এহেন উন্মাদনা কোনও মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়েই হয়নি।
৪)এবার গ্রাহকদের আধার ভেরিফিকেশন শুরু করবে টেলিকম সংস্থাগুলিখুব তাড়াতাড়ি গ্রাহকদের আধার ভেরিফিকেশন শুরু করবে টেলিকম অপারেটররা। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের প্রেক্ষিতেই এই কাজ শুরু করবে তারা। গত ৬ ফেব্রুয়ারি শীর্ষ আদালত নির্দেশ দিয়েছিল, ঠিক একবছর অর্থাৎ ২০১৮ সালের ৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এই কাজ শেষ করতে হবে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের এক মাসের মধ্যেই টেলিকমমন্ত্রক এক বিজ্ঞপ্তিতে কোম্পানিগুলিকে জানিয়েছে, এসএমএস ও বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে গ্রাহকদের সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের বিষয়টি অবহিত করাতে হবে। পাশাপাশি ওয়েবসাইটে তাঁদের কাজের বিস্তারিত বিবরণ দিতে হবে। বছর খানেক আগে একইভাবে গ্রাহকদের কাছ থেকে পরিচিতিপত্র ও ঠিকানার প্রমাণাদি চেয়েছিল টেলিকম কোম্পানিগুলি।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Daily News Paper