TMC: 'তাতে আপনাদের কী...?' জাতীয় দলের  স্বীকৃতি চলে যাওয়ায় বিরোধীদের কটাক্ষ! সামাল দিতে কী কৌশল তৃণমূলের?  

Last Updated:

TMC: সামাজিক স্কিমে জাতীয় স্বীকৃতির উদাহরণ সামনে আনল তৃণমূল কংগ্রেস। 

নতুন অস্বস্তি তৃণমূলের।
নতুন অস্বস্তি তৃণমূলের।
কলকাতা: জাতীয় দলের স্বীকৃতি চলে যাওয়ায় বিরোধীরা লাগাতার আক্রমণ শানিয়ে চলেছেন তৃণমূল কংগ্রেসকে। এবার এই প্রসঙ্গে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করল তৃণমূল কংগ্রেস। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ,  জানিয়েছেন, "জাতীয় দলের স্তরের স্বীকৃতি নিয়ে কমিশন একটা সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। অবশ্যই দল এটা খতিয়ে দেখছে। প্রয়োজনীয় আইনি লড়াইয়ে যেতে পারে৷ বিরোধীদের বলে রাখি, নির্বাচন কমিশন যাই সিদ্ধান্ত নিক না কেন, তাতে আপনাদের কী? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রকল্পের স্বীকৃতি যখন দেশে প্রথম পুরষ্কার পায়, মানুষ সেটা জীবন দিয়ে অনুভব করেন৷ তৃণমূল কংগ্রেসের দূর্গ হল বাংলা। বাকিদের কী হল? সিপিএম এখানে শূন্য, কংগ্রেস ১ হয়ে রইল। আমরা অবশ্যই পুরো রায়টা দেখব। আমরা সিদ্ধান্তে একমত নই৷ এখনই বলছি না, দলকে বিড়ম্বনায় ফেলা হয়েছে৷ আমরা আইনি লড়াইয়ে অবশ্যই যেতে পারি৷ জাতীয় প্রকল্পের স্বীকৃতি এটাই বড় কথা। ফলে তৃণমূল কংগ্রেস জাতীয় আর আন্তর্জাতিক স্তরে মানুষের কাছে পৌঁছেছে।"
জাতীয় রাজনীতির দল হওয়ার প্রক্রিয়া কী কী?
advertisement
প্রথম শর্ত, লোকসভা নির্বাচনে কোনও দলকে অন্তত তিনটি রাজ্য থেকে ভোটে লড়তে হবে ও দেশের মোট লোকসভা আসনের ২ শতাংশ আসনে জিততে হবে।
দ্বিতীয় শর্ত হল, লোকসভা বা বিধানসভা নির্বাচনে অন্তত ৪টি রাজ্যে ৬ শতাংশ করে ভোট পেতে হবে ও এক বা তার বেশি রাজ্যে ৪টি লোকসভা আসন পেতে হবে।
advertisement
তৃতীয় শর্ত, ৪টি বা তার বেশি রাজ্যে রাজ্যদলের তকমা থাকতে হবে দলের কাছে। এই তিন শর্তের যে কোনও একটি পূরণ করলেই জাতীয় দলের তকমা পাওয়া যায়।
জাতীয় দলের তকমা কেন হারাল তৃণমূল কংগ্রেস?
advertisement
শর্ত ১: ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে বিভিন্ন রাজ্যে বিজেপি বিরোধী দলের প্রচারে গিয়েছিলেন তৃণমূল চেয়ারপার্সন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও কোনও রাজ্য থেকেই প্রার্থী দেয়নি তাঁর দল। শুধুমাত্র সমর্থন জানিয়েছিল অন্য দলকে। সেই হিসেবে তিনটি রাজ্য থেকে ভোটে লড়া হয়নি। তবে দেশের নিরিখে ২ শতাংশের বেশি আসনেই জয়ী হয়েছিল তৃণমূল। ৫৪৩ টি আসনের মধ্যে ২৪ টি আসন রয়েছে তৃণমূলের হাতে।
advertisement
শর্ত ২: পশ্চিমবঙ্গ থেকে ৪-এর বেশি আসন রয়েছে তৃণমূলের হাতে। ২০২৩-এর বিধানসভা নির্বাচনে মেঘালয় থেকে তৃণমূলের ঝুলিতে এসেছে প্রায় ১৪ শতাংশ ভোট আর ত্রিপুরায় পাওয়া ভোট শতাংশ ১-এরও কম (০.৮৮ শতাংশ)। আর ২০২২ সালে গোয়ায় তৃণমূলের ভোট শতাংশ ছিল ৫.২১ শতাংশ অর্থাৎ ৬ শতাংশে কিছুটা কম। জাতীয় দলের তকমা পাওয়ার মতো ভোট শতাংশ আসেনি তৃণমূলের হাতে।
advertisement
শর্ত ৩: রাজ্য দলের তকমা তখনই দেওয়া হয়, যদি সেই দল সংশ্লিষ্ট রাজ্যে অন্তত ২টি বিধানসভা আসন পায় ও কমপক্ষে ৬ শতাংশ ভোট পায়। তৃণমূল বাংলার বাইরে শুধুমাত্র মেঘালয়েই ৫টি আসন পেয়েছে। তাই এই শর্ত পূরণ করতে পারল না তৃণমূল।
২০১৬ সালের ২ সেপ্টেম্বর জাতীয় দল হিসেবে তৃণমূলকে স্বীকৃতি দেয় নির্বাচন কমিশন। ২০১৪-র লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে এই তকমা দেওয়া হয়েছিল। ওই বছর ৫ টি রাজ্যে ৬ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছিল ঘাসফুল শিবির। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও মনিপুর, ত্রিপুরা, ঝাড়খণ্ড ও অসমেও ভোটে লড়েছিল দল। সেবার পশ্চিমবঙ্গে ৪২ টি আসনের মধ্যে ৩৪ টি পেয়েছিল তৃণমূল। তবে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের পর তৃণমূলের সেই তকমা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল।
বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
TMC: 'তাতে আপনাদের কী...?' জাতীয় দলের  স্বীকৃতি চলে যাওয়ায় বিরোধীদের কটাক্ষ! সামাল দিতে কী কৌশল তৃণমূলের?  
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement