#কলকাতা: যাদবপুর কেন্দ্রে সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়কে হারিয়ে সাংসদ হয়েছিলেন। তারপরে কমবেশি তিন দশক পেরিয়ে গিয়েছে। তার পরে একে নানা পরিবর্তন হয়েছে। বিরোধী দলনেত্রী থেকে মুখ্যমন্ত্রীর গদিতে বসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু কিছু নিয়ম অপরিবর্তিতই রয়ে গিয়েছে। তাঁর বাড়ির কালীপুজো আজ মেগা ইভেন্টে পরিণত হয়েছে। তবে অনেকেই জানেন না সেই মৃণ্ময়ীমূর্তিটি তৈরি করেন কে? কার হাতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা হয় কালীর?
খোঁজ নিয়ে জানা গেল এই গুরুদায়িত্ব অর্পিত হয় কালীঘাটের পটুয়াপাড়ার মৃৎশিল্পী বরুণ পালের কাছে। বরুণ পেশায় রেলকর্মী। কিন্তু পুজোর আগে কয়েকদিন ছুটি নিয়ে নেন এই কাজের জন্যে। তাঁকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন ভাই অরুণ।
পটুয়াপাড়ায় তিন প্রজন্মের ব্যবসা এই পাল পরিবারের। ব্যবসা শুরু করেন ফকিরচন্দ্র পাল। কারখানার অদূরেই কালীঘাট মিলনসংঘের পুজো। সেই পুজোর প্রতিমা দিয়ে শুরু। ফকিরচন্দ্র থেকে বংশানুক্রমে দায়িত্ব গড়ায় অমরনাথের হাতে। ক্রমে সাড়ে তিন দশক আগে বন্দ্যোপাধ্যায় বাড়ির প্রতিমা গড়ার দায়িত্ব নেন ওঁরা। সেই প্রথা আজও চলছে।
অমরনাথের তিন ছেলে। অরুন, বরুণ, জগদীশ। এখন এই বরুণবাবুই সামলান। সাহায্য করেন দাদা অরুণ। শোনা যায়, আগে নিজে পুঙ্খানুপুঙ্খ মূর্তির কাজ দেখতেন মুখ্যমন্ত্রী। এখন আর ততটা সময় পান না। তবে এখনও কাজ হওয়ার পর সবটা একবার দেখে নেন তিনি।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Diwali-feature-2020