সোশ্যাল মিডিয়ায় তরুণদের মগজধোলাই, কোড ল্যাঙ্গুয়েজে কথা, IS জঙ্গি সন্দেহে ধৃতদের জেরায় চাঞ্চল্যকর তথ্য

Last Updated:

ধৃতদের ম্যারাথন জেরা করে তদন্তকারীরা জেনেছেন, তারা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে জম্মু ও কাশ্মীর, পাকিস্তান, সিরিয়া, সৌদির আইএস জঙ্গি নেতাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখত। কথা হত কোড ল্যাঙ্গুয়েজে।

#কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গের মাটি থেকে ফের জঙ্গি সন্দেহে ফের গ্রেফতার ২। এবার এক্কেবারে রাজধানী কলকাতার উপকণ্ঠ হাওড়া থেকে। গত শনিবার হাওড়ার টিকিয়াপাড়া থেকে সাদ্দাম ও সৈয়দ আহমেদকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। তারপর থেকে লাগাতার তাঁদের জেরা করেছে চলেছেন তদন্তকারীরা। আর সেই জেরায় উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য়।
সূত্রের খবর, বাড়ি থেকে প্রায় বেরই হত না সৈয়দ-সাদ্দামরা। ঘরে বসেই সোশ্যাল মিডিয়ায় আইএস-এর হয়ে প্রচার চালাত। বিভিন্ন জেলা থেকে চরমপন্থী মনোভাবাপন্ন শিক্ষিত ছাত্রযুবদের আইএস-এর মতো জঙ্গি দলে যোগ দেওয়ানোর জন্য মগজ ধোলাইয়ের কাজ করত সাদ্দামরা।
advertisement
advertisement
এসটিএফ-এর দাবি, নেট দুনিয়ায় অবাধ বিচরণ ছিল সাদ্দামের। ২০টিরও বেশি টেলিগ্রাম চ্যানেলের সঙ্গে সে যুক্ত ছিল। রাজ্যের বিভিন্ন জেলা তো বটেই, দেশেরও বিভিন্ন রাজ্য থেকে যুবকদের নিয়ে গ্রুপ তৈরির প্ল্যান করছিল সাদ্দাম। তার কাজ ছিল, এই ভাবে সদস্য নিয়োগ করে জঙ্গি সংগঠনের বিস্তার ঘটানো।
advertisement
ধৃতদের ম্যারাথন জেরা করে তদন্তকারীরা জেনেছেন, তারা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে জম্মু ও কাশ্মীর, পাকিস্তান, সিরিয়া, সৌদির আইএস জঙ্গি নেতাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখত। কথা হত কোড ল্যাঙ্গুয়েজে।
২০১৬ সালে স্নাতক স্তরের পড়াশোনা শেষ করে সাদ্দাম। পাশ করার পর থেকে আইএস-এর যোগাযোগ গড়ে ওঠে তার। তার পর থেকেই আইএস-এর হয়ে প্রচার শুরু। গোয়েন্দারা জানাচ্ছেন, ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকবার উত্তর ভারতে যাতায়াত করেছিল ধৃতেরা। সংগঠনের অন্য সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্যেই কি যাতায়াত? জানতে চলছে তদন্ত।
advertisement
আরও পড়ুন: জাতীয় পুরস্কারজয়ী বক্সারের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক, মারাত্মক পরিণতি মহিলার! শোরগোল কলকাতায়
ধৃতদের মোবাইল-ল্যাপটপ ঘেঁটে নানা ধরনের হিংসাত্মক ভিডিও ফুটেজ পেয়েছেন গোয়েন্দারা। দেশ তথা রাজ্যে নিজেদের সংগঠনের জাল কতদূর বিস্তার করতে পেরেছিল সাদ্দামরা, তা জানতে তাদের ল্যাপটপ ও মোবাইল ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। এছাড়া, আইএস সংগঠনে কার মাধ্যমে সাদ্দামদের নিয়োগ হয়েছিল, তাদের নেপথ্যে মূল মাথা কে? তার খোঁজ চালাচ্ছে এসটিএফ। সাদ্দামদের ল্যাপটপ ঘেঁটে ইতিমধ্যেই উঠে এসেছে একাধিক নাম।
advertisement
এসটিএফ সূত্রের খবর, ভিনরাজ্যের দুই গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক তথা ধর্মীয় ভাবে গুরুত্বপূর্ণ দুই ব্যক্তিকে এক্ষেত্রে টার্গেট করা হয়েছিল। তাঁদের উপর হামলার জন্য তৈরি হচ্ছিল ব্লু প্রিন্ট। আগামী ২৬ জানুয়ারির আগেই এই হামলা চালানো হত বলে জানা গিয়েছে। হামলার জন্য এরাজ্য থেকে অস্ত্র জোগাড় করছিল সাদ্দাম ও সৈয়দ আহমেদ।
ARPITA HAZRA
বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
সোশ্যাল মিডিয়ায় তরুণদের মগজধোলাই, কোড ল্যাঙ্গুয়েজে কথা, IS জঙ্গি সন্দেহে ধৃতদের জেরায় চাঞ্চল্যকর তথ্য
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement