কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ইডির তল্লাশিতে বিপুল সম্পত্তির ও কোম্পানির হদিস পেল ইডির। ইডি-র দাবি, ৩টি কোম্পানির সঙ্গে কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণর প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ যোগ মিলেছে। ইডি সূত্রে খবর, সুজয়কৃষ্ণের মোট ২০টি সম্পত্তির হদিস পেয়েছে তারা।
সূত্রের খবর, শনিবার ম্যারাথন তল্লাশিতে কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে ইডির হাতে। ইডি-র দাবি, ৩টি কোম্পানির সঙ্গে কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণর প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ যোগ মিলেছে। এই কোম্পানিগুলির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। এভাবেই কালো টাকা সাদা করা হয়েছে বলে অনুমান ইডির আধিকারিকদের।
ইডি সূত্রের খবর, শনিবার ইডির তল্লাশিতে মোট ২০টি জায়গায় সম্পত্তির খোঁজ পেয়েছেন তদন্তকারীরা। ষোলোটি জায়গায় তল্লাশিতে উদ্ধার হয়েছে প্রায় দেড় হাজার পাতার নথি। এই নথিতে রয়েছে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সুজয়কৃষ্ণর ফোন-সহ ১১টি ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এছাড়াও, উদ্ধার হয়েছে প্রচুর হার্ডডিস্ক, পেনড্রাইভ সহ ইলেকট্রনিক এভিডেন্স।
ইডির দাবি, যে বিপুল সম্পত্তি রয়েছে তার উৎস কী? সেই বিষয়ে তাঁদের অনুমান, বেআইনি কালো টাকায় এই সম্পত্তি কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে। এর আগে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের বাড়ি গিয়েছিল সিবিআই৷ সূত্রের খবর, সেখানে অ্যাডমিট কার্ড ও নগদ কিছু টাকা উদ্ধার করেছিলেন তাঁরা।
সুজয় ভদ্রকে নিজাম প্যালেসে তলবও করেছিল সিবিআই। সেখানে সুজয় ভদ্রর বয়ান রেকর্ড করা হয়। এবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডির নজরেও এল কালীঘাটের এই কাকু। শনিবার নিজাম প্যালেসে যখন সিবিআই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করছে, তখন অপরদিকে ইডি সুজয় ভদ্রের বাড়ি, অফিস সহ বিভিন্ন জায়গায় এক যোগে তল্লাশি চালাচ্ছে।
সুজয় ভদ্র শাসকদলের ঘনিষ্ঠ হিসাবেই পরিচিত৷ সিবিআইয়ের হাতে ধৃত তাপস মণ্ডলের মুখে প্রথম শোনা যায় এই ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয় ভদ্রের নাম। তাপস মণ্ডলের দাবি, কুন্তল ঘোষই প্রথম তাঁকে সুজয় ভদ্রের কথা বলেন। নিয়োগ দুর্নীতিতে সুজয় ভদ্রর ভূমিকা ঠিক কী ঠিল সেটাই এখন তদন্ত করে দেখছেন গোয়েন্দারা।
ARPITA HAZRA
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Tet Scam