কেন্দ্রীয় বরাদ্দ পেয়েও আশানুরূপ কাজ নেই, শৌচালয় তৈরির কাজ একাধিক জেলায় শ্লথ গতিতে এগোচ্ছে, উদ্বিগ্ন নবান্ন

Last Updated:

রাজ্যের আলিপুরদুয়ার ও পুরুলিয়ার মত জেলায় ১০০ শতাংশ শৌচালয় তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। সেখানে মুর্শিদাবাদ, উত্তর চব্বিশ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনার মত জেলাগুলিতে ৫০ শতাংশেরও বেশি কাজ হয়নি। যা নিয়ে নবান্নের ফের কড়া বার্তা জেলাগুলিকে।

কেন্দ্রীয় বরাদ্দ পেয়েও আশানুরূপ কাজ নেই, শৌচালয় তৈরির কাজ একাধিক জেলায় শ্লথ গতিতে এগোচ্ছে
কেন্দ্রীয় বরাদ্দ পেয়েও আশানুরূপ কাজ নেই, শৌচালয় তৈরির কাজ একাধিক জেলায় শ্লথ গতিতে এগোচ্ছে
কলকাতা: ‘স্বচ্ছ ভারত’ গড়ার লক্ষ্যে প্রতিটি বাড়িতে শৌচালয় তৈরি করার কাজ কেন্দ্রীয় বরাদ্দ পেয়েও আশানুরূপ ভাবে এগোচ্ছে না। এই প্রকল্প রূপায়ণে ছয় জেলার শ্লথ গতিতে উদ্বিগ্ন নবান্ন। দেখা গিয়েছে, আলিপুরদুয়ার ও পুরুলিয়ার মতো পশ্চাদপদ জেলায় একশো শতাংশ শৌচালয় তৈরি হয়ে গেলেও, মুর্শিদাবাদে হয়েছে মাত্র ১৫ শতাংশ। শুধু শৌচালয়ই নয়, জঞ্জালমুক্তি-সহ গ্রামকে পরিচ্ছন্ন রাখার ক্ষেত্রেও মুর্শিদাবাদ সারা রাজ্যে সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া জেলা।
কেন্দ্রীয় সরকার জলবাহিত রোগ প্রতিরোধে শৌচালয় তৈরির ওপর গুরুত্ব দেয়। উন্মুক্ত স্থানে মলমূত্র কেউ যাতে ত্যাগ না-করে, সে জন্য প্রতিটি বাড়িতে সরকারি খরচায় শৌচালয় তৈরির জন্য গ্রামাঞ্চলে দশ হাজার টাকা এবং শহরাঞ্চলে ১২ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়। শৌচালয়ের  নকশাও কেন্দ্রীয় সরকার তৈরি করে দিয়েছে। কেন্দ্রীয় পোর্টালে উপভোক্তাদের নাম নথিভুক্ত করতে হয়।
advertisement
advertisement
পঞ্চায়েত দফতরের রিপোর্ট বলছে, বাংলার গ্রামাঞ্চলের জন্য ৪ লক্ষ ৮৭ হাজার ৪৬৫টি শৌচালয় তৈরির লক্ষ্যমাত্রা স্থির হয়েছিল। কিন্তু এখনও পর্যন্ত মাত্র  ২ লক্ষ ৮৪ হাজার ৬৬৫টি শৌচালয় তৈরির কাজ সম্পন্ন হয়েছে। সম্প্রতি রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী পঞ্চায়েত ও গ্রামীণ উন্নয়ন দফতরের সঙ্গে বৈঠকে তথ্যপরিসংখ্যান দেখে উষ্মা প্রকাশ করে জানতে চান, আর কত সময় লাগবে কাজ শেষ করতে? তাঁর নির্দেশ— চলতি আর্থিক বছরেই সব কাজ গুটিয়ে ফেলতে হবে।
advertisement
সরকারি তথ্য বলছে, পূর্ব মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান ও বীরভূম জেলায় ৯৫ থেকে ৯৯ শতাংশ কাজ হলেও কলকাতার একেবারে লাগোয়া উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৫৫ থেকে ৬০ শতাংশের বেশি কাজ এগোয়নি। পশ্চিম মেদিনীপুর, মালদহ, দক্ষিণ দিনাজপুর, ঝাড়গ্রাম এবং শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদ এলাকায় ৩৬ শতাংশ থেকে ৫৩ শতাংশের বেশি কাজ হয়নি। পঞ্চায়েত দফতর মানছে শুধু শৌচালয়ই নয়, গ্রামকে পরিচ্ছন্ন রাখতে জঞ্জাল সাফাই থেকে তরল বর্জ্য নিষ্কাশন ব্যবস্থাপনার কাজের গতিও অনেকটাই শ্লথ। গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় জঞ্জাল সাফাইয়ের প্রকল্প রূপায়িত হয়েছে মাত্র ৫৩ শতাংশ। তরল বর্জ্য নিষ্কাশনের কাজ হয়েছে ৮.৫৮ শতাংশ। কলকাতা লাগোয়া দক্ষিণ ২৪ পরগনায় মাত্র ৩০ শতাংশ কাজ হয়েছে। বীরভূমে ৩৮ শতাংশ ও ঝাড়গ্রামে ৪৪ শতাংশ কাজ হয়েছে।
advertisement
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়
view comments
বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
কেন্দ্রীয় বরাদ্দ পেয়েও আশানুরূপ কাজ নেই, শৌচালয় তৈরির কাজ একাধিক জেলায় শ্লথ গতিতে এগোচ্ছে, উদ্বিগ্ন নবান্ন
Next Article
advertisement
সাউথ ব্লক ছেড়ে নতুন ঠিকানায় প্রধানমন্ত্রীর দফতর! সেন্ট্রাল ভিস্তায় গড়ে উঠল ‘সেবাতীর্থ’ কমপ্লেক্স, অমিত শাহ বললেন 'সোনালি যাত্রাপথ'!
সাউথ ব্লক ছেড়ে নতুন ঠিকানায় প্রধানমন্ত্রীর দফতর! সেন্ট্রাল ভিস্তায় গড়ে উঠল ‘সেবাতীর্থ’
  • প্রধানমন্ত্রীর দফতর সাউথ ব্লক ছেড়ে সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পের নতুন কমপ্লেক্সে যাচ্ছে.

  • সেবাতীর্থ কমপ্লেক্সে থাকবে ক্যাবিনেট সচিবালয় ও NSA অজিত ডোভালের দফতর.

  • সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পের অংশ হিসেবে নতুন প্রশাসনিক পরিকাঠামো গড়ে উঠেছে.

VIEW MORE
advertisement
advertisement