ভেঙ্কটেশ্বর লাহিড়ী, কলকাতা- অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নবজোয়ার কর্মসূচিতে গাড়ি থামিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আরএসএস কর্মীর নালিশ জানানো প্রসঙ্গে জোর শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সন্দেহ প্রকাশ করে আগেই বলেছিলেন, ‘‘এটা সাজানো নাটক। স্বয়ংসেবক হলে সে জানত কীভাবে ইউনিফর্ম পড়তে হয়। টুপিটাও ঠিক করে পরতে পারেনি। যারা সঙ্ঘ স্বয়ংসেবক তাঁরা জানেন দুপুর বেলায় কেউ ওই গণবেশ পরে ঘুরে বেড়ায় না।’’
আর এবার সোমবার রাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের একটি পোস্টকে কেন্দ্র করে ফের সরগরম রাজ্য রাজনীতি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে বঙ্গ পদ্ম সেনাপতি সুকান্তর প্রশ্ন, ‘‘পলিটিক্যাল স্টান্টবাজিতে ন্যূনতম সত্যতা থাকা উচিত। আর কতদিন এইভাবে মানুষকে বোকা বানাবেন?’’
দুর্বল চিত্রনাট্যেরও অভিযোগে সরব হন সুকান্ত মজুমদার। পূর্ব বর্ধমানের রায়নার তৃণমূলের বুথ কমিটির সদস্য উজ্জ্বল খাঁকে গণবেশ পরিয়ে একটা সস্তার নাটক করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, বলেও দাবি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় শাসক দলকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ শানান সুকান্ত মজুমদার। এবার শাসক দল তথা মমতা ও অভিষেককে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করে সুকান্ত মজুমদারের প্রশ্ন, আর কতদিন মানুষকে এভাবে বোকা বানাবেন?
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর আগে পূর্ব বর্ধমানের সভায় বলেছিলেন, ‘‘এমন রাজনীতিই চাই। বিজেপির কার্যকর্তা তিনি সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারী, অমিত শাহকে না বলে আরএসএস-এর শাখা সংগঠনের ওই কর্মী আমার কাছে সমস্যার কথা জানাল। কারণ সে জানে তৃণমূল সরকারই কাজ করে’। অভিষেকের এই বক্তব্য নিয়ে শুরু হয় রাজনৈতিক তরজা।’’
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।