Pardhanmanti Awas Yojona: যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ নেই তাঁদের কেন টাকা আটকে রাখা হচ্ছে? আবাস যোজনা নিয়ে ফের রাজ্যের চিঠি

Last Updated:

Pardhanmanti Awas Yojona: সোমবারই কেন্দ্রীয় গ্রামান্নোয়ন মন্ত্রকের কাছে দেওয়া ১৫ পাতার চিঠিতে রাজ্য সরকারের পরিষ্কার বক্তব্য অযথা সময় নষ্ট না করে যে সমস্ত উপভোক্তাদের নিয়ে কোনও অভিযোগ নেই তাঁদের জন্য বরাদ্দ টাকা মানববিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে এখনই বরাদ্দ করা দরকার।

কলকাতা: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় উপভোক্তা নির্বাচন নিয়ে কোনও দুর্নীতি হয়নি বলে কেন্দ্রীয় গ্রামান্নোয়ন মন্ত্রককে চিঠির উত্তরে পরিষ্কার জানিয়ে দিল রাজ্য সরকার। তালিকাভুক্তদের যাদি কোনও ত্রুটি থেকে থাকে তাদের বাদ দিয়ে বাকিদের টাকা অবিলম্বে বরাদ্দ করার দাবি জানানো হয়েছে চিঠিতে। বেনিয়ম বলে যা বলা হয়েছে, সেগুলি কোনওটাই পুরো সত্যি নয়।
সোমবারই কেন্দ্রীয় গ্রামান্নোয়ন মন্ত্রকের কাছে দেওয়া ১৫ পাতার চিঠিতে রাজ্য সরকারের পরিষ্কার বক্তব্য অযথা সময় নষ্ট না করে যে সমস্ত উপভোক্তাদের নিয়ে কোনও অভিযোগ নেই তাঁদের জন্য বরাদ্দ টাকা মানববিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে এখনই বরাদ্দ করা দরকার। কারণ মনে রাখতে হবে, গরিব মানুষ এই প্রকল্পের সুবিধা পেয়ে থাকে। উপভোক্তাদের নামের তালিকা তৈরি করতে গিয়ে ১৭ লক্ষ নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। তারপরও কোথাও কোনও ত্রুটি থাকলে তা সংশোধন করা নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু যাদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই তাঁদের টাকা কেনও অকারণে আটকে রাখা হবে? কেন্দ্রীয় সরকার এই প্রকল্পের উপভোক্তা নির্বাচন করা নিয়ে বড় কোনও গরমিল পায়নি বলে স্বীকার করে নিয়েছে কেন্দ্রীয় গ্রামান্নোয়ন মন্ত্রক।
advertisement
advertisement
প্রসঙ্গত, ন্যাশানাল লেভেল মনিটারিং এজেন্সি (এনএলএমএ) রাজ্যের দশ জেলার মধ্যে ৭ জেলায় উপভোক্তা তালিকা নিয়ে অভিযোগ পেয়েছে। আবাস প্লাস সমীক্ষা যথাযথভাবে করা হয়নি। অযোগ্যদের নাম ছিল তালিকায়। উপভোক্তাদের জমি নিয়েও অভিযোগ তুলেছে এনএলএমএ। এজন্য কেন্দ্রীয় গ্রামান্নোয়ন মন্ত্রক অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা এবং আধিকারিকদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণের সুপারিশ করে। রাজ্যকে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ১১ লক্ষ ৩৬ হাজার ৪৮৮ টি বাড়ি  তৈরির কোটা দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে এই তালিকা তৈরি করতে বলা হয়েছে। রাজ্য ঝাড়াই বাছাই করে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এই প্রকল্পের জন্য ১০ লক্ষ ১৯ হাজার ৭৯৫ জন যোগ্য উপভোক্তাদের তালিকা চূড়ান্ত করে। পরে কেন্দ্রীয় সরকার আর এক মাস সময় বাড়িয়ে ৩১  জানুয়ারি করে। ফলে রাজ্য সরকার কোটা মতো উপভোক্তাদের নাম চূড়ান্ত করে। প্রতিটি বাড়ি তৈরির খরচ ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা।
advertisement
যার ৬০ শতাংশ কেন্দ্রীয় সরকার দেবে। বাকি টাকা দেবে রাজ্য সরকার। সেই মতো কেন্দ্রীয় সরকার এই প্রকল্প অনুমোদনের সময় ৮ হাজার ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দের কথা জানিয়ে দেয়। ৩১ মার্চের মধ্যে এই প্রকল্প রূপায়ণের কাজ শেষ করতে হবে। দ্রুত গতিতে প্রকল্প রূপায়ণের রূপরেখা রাজ সরকার যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শেষ করার রূপরেখা তৈরি করে ফেলে।বছর শেষ হতে চললেও কেন্দ্রের কাছ থেকে এই প্রকল্পের জন্য এক পয়সাও পায়নি রাজ্য। বরং নানা কৌশলে উপভোক্তাদের তালিকা তৈরিতে ‘দুর্নীতি’ বলে অভিযোগ তুলে  কেন্দ্রীয় সরকার প্রকল্পের টাকা আটকে রেখেছে। যার পক্ষে জোরালো কোনও প্রমান নেই বলে মনে করে রাজ্য। এটা রাজ্যের মানুষের প্রতি বঞ্চনার সামিল।
advertisement
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়
Click here to add News18 as your preferred news source on Google.
কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গের সব লেটেস্ট ব্রেকিং নিউজ পাবেন নিউজ 18 বাংলায় ৷ থাকছে দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের খবরও ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং সব গুরুত্বপূর্ণ খবর নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ এর পাশাপাশি সব খবরের আপডেট পেতে ডাউনলোড করতে পারেন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ ৷  News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে  ক্লিক করুন এখানে ৷ 
view comments
বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
Pardhanmanti Awas Yojona: যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ নেই তাঁদের কেন টাকা আটকে রাখা হচ্ছে? আবাস যোজনা নিয়ে ফের রাজ্যের চিঠি
Next Article
advertisement
MGNREGA: মনরেগাকে ধ্বংস করেছে মোদি সরকার! কোটি কোটি কৃষক শ্রমিকদের স্বার্থে আঘাত, কেন্দ্রের নয়া ‘কালো আইনের’ বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ডাক সনিয়ার
মনরেগাকে ধ্বংস করেছে মোদি সরকার! ‘কালো আইনের’ বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ডাক সনিয়ার
  • মনরেগা প্রকল্পের নাম বদল নিয়ে এবার মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সরব সোনিয়া গান্ধি

  • কংগ্রেসে নেত্রীর দাবি, মনরেগা প্রকল্পকে কার্যত ধ্বংস করে দিল বিজেপি

  • প্রকল্পকে বদলের আইনকে ‘কালো আইন (ব্ল্যাক ল)’ বলে উল্লেখ্য সোনিয়ার৷

VIEW MORE
advertisement
advertisement