হোম /খবর /কলকাতা /
ফের মামলার জটে ডিএ || ভোটের আগে সরকারি কর্মীদের ডিএ প্রাপ্তি কার্যত অসম্ভব

ফের মামলার জটে ডিএ || ভোটের আগে সরকারি কর্মীদের ডিএ প্রাপ্তি কার্যত অসম্ভব

বিধানসভা ভোটের আগে বকেয়া ডিএ প্রাপ্তি অসম্ভব মনে করছে সরকারি কর্মচারী সংগঠনগুলি।

  • Last Updated :
  • Share this:

#কলকাতা: বিধানসভা ভোটের আগে বকেয়া ডিএ পাচ্ছেন না রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। হাইকোর্টে স্যাট রায় চ্যালেঞ্জ করল রাজ্য। ডিভিশন বেঞ্চে আপিল মামলার শুনানি ৩ ডিসেম্বর।২৩ সেপ্টেম্বর স্যাট রাজ্যের পুনর্বিবেচনা আবেদন খারিজ করে দেয়। সেই নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে ফের আইনি লড়াই হাইকোর্টে নিয়ে গেল রাজ্য। বিধানসভা ভোটের আগে বকেয়া ডিএ প্রাপ্তি অসম্ভব মনে করছে সরকারি কর্মচারী সংগঠনগুলি।

সরকারি কর্মচারীদের তরফে আইনজীবী ফিরদৌস শামিম জানান, "২৩ সেপ্টেম্বর, রাজ্য সরকারের আবেদন খারিজ করে দেয় স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল (স্যাট)। জানায়, রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ দিতেই হবে। এখন করোনা পরিস্থিতির জন্য ডিএ দেওয়া সমস্যা বলে রাজ্যের পক্ষে জানানো হলে স্যাট জানায় এনিয়ে ভাবনাচিন্তা করে দেখা হবে।"

স্যাটের বিচারপতি রঞ্জিতকুমার বাগ ও প্রশাসনিক সদস্য সুবেশকুমার দাস এই রায় দেন। ষষ্ঠ বেতন কমিশন চালু হলেও ডিএ নিয়ে স্পষ্ট কোনও গা ছিলনা সরকারের। ২০১৯ সালের ২৬ জুলাই রাজ্য সরকারকে স্যাট নির্দেশ দিয়েছিল, পরবর্তী ছ’মাসের মধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ দিতে হবে। রাজ্য সরকার তা না-দেওয়ায় সরকারি কর্মীদের সংগঠন স্যাটে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করে। রাজ্য পুনরায় স্যাটে রিভিউ পিটিশন দায়ের করে। গত ৩ মার্চ২০২০, রিভিউ পিটিশনের শুনানি শেষ হয়। এদিন রায় ঘোষণা হল।

কেন্দ্রীয় হারে ডিএ বা মহার্ঘ ভাতার দাবি তুলে স্যাটে মামলা করেছিল কংগ্রেস সমর্থিত ‘কনফেডারেশন অব স্টেট গভর্মেন্ট এমপ্লয়িজ়’ছাড়াও আরও দু’টি সরকারি কর্মীদের সংগঠন। উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে স্যাট যে রায় দিয়েছিল তাতে বলা হয়, ডিএ দেওয়া বা না -দেওয়া রাজ্যের ইচ্ছার উপরে নির্ভর করে। স্যাটের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ২০১৭ সালের ৩০ মার্চ কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় সরকারি কর্মচারিদের সংগঠন। এর পরে ২০১৮ সালের ৩১ অগস্ট কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাশিস করগুপ্ত ও বিচারপতি শেখর ববি শরাফের ডিভিশন বেঞ্চ রায়ে বলে, ডিএ সরকারি কর্মীদের অধিকার। একই সঙ্গে মামলাটি পুনরায় স্যাটে ফিরিয়ে দিয়ে ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, ডিএ কীভাবে ও কী হারে দেওয়া হবে, তা বিচার করে স্যাট তিন মাসের মধ্যে জানাবে।

এর পরেই রাজ্য সরকার ওই রায় পুনর্বিবেচনা করে দেখার জন্য একটি রিভিউ পিটিশন দাখিল করে ডিভিশন বেঞ্চে। গত বছরের ৭ মার্চ হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশ টন্ডন ও বিচারপতি শেখর ববি শরাফের ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যের দায়ের করা রিভিউ পিটিশন খারিজ করে দেয়। এই মামলায় বারবারই হারতে হয়েছে রাজ্য সরকারকে। ফের একবার স্যাট জানিয়ে দিল, রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ দিতে হবে।

Published by:Arka Deb
First published:

Tags: DA, High Court