অফিসেই পাত পেড়ে গরম খিচুড়ি, পাঁচ মিশালি তরকারির সঙ্গে ডিমের কারি, ধর্মঘটের দিন বিশেষ আয়োজন
- Published by:Elina Datta
- news18 bangla
Last Updated:
খাদ্য ভবনে বিশেষ আয়োজন। ধর্মঘটের দিন যারা কাজে যোগ দিলেন তাদের জন্যে ছিল খাওয়ার ব্যবস্থা। প্রায় ১০০০ জন কর্মী একসঙ্গে খাবার খেলেন?
ABIR GHOSHAL
#কলকাতা: এসো, বসো আহারে....ধর্মঘট বলে কথা। যদিও কড়া নির্দেশ রয়েছে রাজ্য সরকারের। ধর্মঘটে অফিস না আসলে বেতন কাটা যাবে। তাই নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই অফিস চলে এসেছেন অনেকে। কিন্তু অফিস আসলে কি হবে? শুধু কাজ করবেন? সকালে ঠিকঠাক খাওয়া হয়নি। তাড়াতাড়ি বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসতে হয়েছে। তাই খাবার আনাও হয়নি। এমন কর্মীদের জন্যই অভিনব আয়োজন খাদ্য দফতরে। যেখানে খাদ্য দফতরের ভবনের মধ্যে থাকা প্রায় ১০০০ কর্মীদের জন্য ঢালাও খাওয়ানোর আয়োজন করা হল। কর্মচারী সংগঠন যা আয়োজন করেছে।
advertisement
দুপুর একটা থেকে শুরু হয়েছে খাওয়ানো। প্রথমে লম্বা লাইন। তারপর একসঙ্গে বসে সবাই মিলে চলল খাওয়া দাওয়া। মেনুতে ছিল গরম গরম খিচুড়ি, পাঁচ মিশালি তরকারি ও ডিমের কারি। যে যত খুশি পারবে খেতে পারবে। গোটা পরিস্থিতি দেখে অবশ্য সকলে একটা কথাই বললেন কাজও হল আবার সবাই একসঙ্গে পিকনিকও করা হয়ে গেল। পিকনিক অবশ্য মানতে রাজি নয় কর্মচারী সংগঠনের নেতা তথা এই আয়োজনের উদ্যাক্তা সমীরণ রায়। তিনি বলেন, “বনধ বামেদের হোক বা বিজেপির। আমরা বনধ মানিনা। তাই যারা কাজে যোগ দিতে আসেন তাদের জন্যই এই আয়োজন করে থাকি। সবাই কাজটাও করেন আর তাদের পেটপুজোটাও হয়ে যায়।”
advertisement
advertisement
নিউ মার্কেটের খাদ্য ভবনের গেট ঠেলে ঢুকলেই নাকে আসছে খিচুড়ির সুস্বাদু গন্ধ। খাদ্য দফতরের পুরানো ভবনের একতলার বিশাল হলঘরে প্রায় ১০০ জন করে বসার ব্যবস্থা। টোকেন দেখালেই এসে বসা যাবে টেবিলে। তারপর মিলছে গরম গরম খাবার। পরিবেশনের কাজ সামলাচ্ছেন বিভিন্ন দফতরের কর্মীরাই। যদিও বসের ফোন আসলেই ফাইল নিয়ে দৌড়ছেন তারা। খাদ্য ভবনের ক্যান্টিনেই হচ্ছে খাবার তৈরি।
advertisement
অফিস আর তার সঙ্গে এমন জমাটি পিকনিকের ব্যবস্থায় ভীষণ খুশি কর্মীরা। যেমন খাদ্য দফতরের কর্মী জয়িতা দাস বলেন, “অফিসে কাজ করছি। খাবার তো খেতে হবে। কোথায় খাবার পাব বা পাব না তা নিয়ে একটা টেনশন থাকে। এখানে তো আর সেই অসুবিধা নেই। সবাই একসঙ্গে বসে খাবার পেয়ে গেলাম।” জয়িতার কথার রেশ ধরেই এমন আয়োজনের প্রশংসা করলেন ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের দীর্ঘদিনের কর্মী সুভাষ কুন্ডুর। তিনি বলেন, “টিফিন টাইমে কাজ সামলে সবাই এভাবে বসে খাবার খাচ্ছি। অন্যদেরও বলুন আমাদের মতো এমন আয়োজন করতে।” অন্য জায়গায় না হলেও একসাথে বসে খাওয়া হয়েছে মহাকরণেও। এখনও অবধি যে কটা দফতরে কর্মীরা কাজে এসেছেন। তারা ক্যান্টিন থেকে খাবার আনিয়ে সবাই খেয়েছেন। তবে সবার জন্য আলাদা আলাদা মেনু ছিল। তবে হাজিরা ছিল মহাকরণে প্রায় ৯৫ শতাংশ। কলকাতার বিভিন্ন সরকারি দফতরেই অবশ্য এই ছবি দেখা গেছে। তবে রাজ্যের এক মন্ত্রীর কথায়, “খাদ্য ভবনে খাদ্য নিয়ে অসুবিধা হবে তা তো হতে পারেনা।” তাই ধর্মঘটের দিন কাজ এবং পিকনিকের মজা নিল দফতরের কর্মীরা।
কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গের সব লেটেস্ট ব্রেকিং নিউজ পাবেন নিউজ 18 বাংলায় ৷ থাকছে দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের খবরও ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং সব গুরুত্বপূর্ণ খবর নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ এর পাশাপাশি সব খবরের আপডেট পেতে ডাউনলোড করতে পারেন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ ৷ News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে ক্লিক করুন এখানে ৷
Location :
First Published :
January 08, 2020 3:31 PM IST