#কলকাতা: কন্যাশ্রী-র পর ফের রাষ্ট্রসঙ্ঘের বিশ্বসেরা পুরস্কার পেল বাংলার 'সবুজ সাথী প্রকল্প'৷ রাষ্ট্রসঙ্ঘের অনুমোদিত সংস্থা ওয়ার্ল্ড সামিট অন দ্য ইনফরমেশন সোসাইটি-র এই প্রতিযোগিতা হয়।
১৬২ টি দেশ এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। মোট ১৬০০টি প্রকল্প জমা পড়ে সারা পৃথিবী থেকে। এর মধ্যে বিশ্বসেরা হয় সবুজ সাথী। সেরার শিরোপা পায় উৎকর্ষ বাংলা৷ রাজ্য সরকারের পক্ষে ব্যাকওয়ার্ড ক্লাসেস ওয়েলফেয়ার ডিপার্টমেন্টের ওএসডি সঞ্জয় থারে এই পুরস্কার গ্রহণ করেন। এক ভার্চুয়াল সমাবেশে এই পুরস্কার নেন থারে। পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে সবুজ সাথীকে 'হুইলস ফর চেঞ্জ' বলে আখ্যা দেওয়া হয়েছে রাষ্ট্র সঙ্ঘের ওই অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে।
২০১৫ সালে রাজ্যে জঙ্গলমহলের ছাত্রীদের মধ্যে সাইকেল বিলি দিয়ে শুরু হয় 'সবুজ সাথী' প্রকল্প। পরবর্তীকালে ছাত্র ও ছাত্রী নির্বিশেষে রাজ্য জুড়ে প্রায় ৮৪ লক্ষেরও বেশি সাইকেল ইতিমধ্যে বিলি করা হয়েছে। প্রতিটি প্রশাসনিক সভাতেই মুখ্যমন্ত্রীর গুরুত্বের তালিকায় থাকে এই প্রকল্প। এবার এই প্রকল্পের বিশ্ব স্বীকৃতি নিয়ে উচ্ছ্বসিত রাজ্য সরকার। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই স্বীকৃতি রাজ্য সরকারের মুকুটে আরেকটি পালক যুক্ত করল বলেই মত সংশ্লিষ্ঠ মহলের।
২০১৭ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কন্যাশ্রী প্রকল্পকে সেরার শিরোপা দিয়েছিল রাষ্ট্রসঙ্ঘ। শুধু বাংলাই নয়, গোটা দেশের সরকারি পরিষেবায় তৈরি হয় এক নতুন মাইলফলক। ২০১৩ সালে এই প্রকল্প শুরু হওয়ার পর বাংলার ছবিটাই বদলে যায়। বাল্য বিবাহ, মেয়েদের স্কুল ড্রপ আউটের সংখ্যা নেমে যায় এক ধাক্কায়। বহু জাতীয়, আন্তর্জাতিক পুরস্কারের পর রাষ্ট্রসঙ্ঘের পাবলিক সার্ভিস ফোরামের মঞ্চেও কন্যাশ্রী স্বীকৃতি পায়।
রাষ্ট্রসঙ্ঘের আমন্ত্রণে নেদারল্যান্ডস সফরে গিয়ে হেগ-এ বিশ্বজন পরিষেবা ফোরামে জনকল্যাণমূলক প্রকল্পে বাংলার সাফল্যের কাহিনি তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
SOURAV GUHA