#কলকাতা: একদিকে যখন তৃণমূল কংগ্রেস সর্বভারতীয় স্তরে সংগঠন বিস্তার করতে চাইছে তখন যোগী রাজ্য উত্তর প্রদেশ এবং মোদি রাজ্য গুজরাট ছাড়াও এবার তৃণমূল কংগ্রেস পার হতে চলেছে মহারাষ্ট্রেও। মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা তথা আরটিআই অ্যাক্টিভিস্ট সাকেত গোখলে বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে তৃণমূলে যোগ দিলেন।
প্রাক্তন সাংবাদিক ও আরটিআই অ্যাক্টিভিস্ট সাকেত জানিয়েছেন, "অদূর ভবিষ্যতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গোটা দেশে বিরোধী শিবিরকে নেতৃত্ব দিতে চলেছেন। যদিও প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে দেখা যাবে কি না তা ঠিক করবে বিরোধী শিবির। কিন্তু এ কথা বলা যেতে পারে গোটা দেশে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত লড়াকু নেত্রী অত্যন্ত কম।"
সাকেত এদিন আরও জানিয়েছেন, "রাজধানী দিল্লিতে আমার দীর্ঘদিন ধরে যাতায়াত। বহু রাজনৈতিক দলকে খুব কাছ থেকে দেখেছি। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লড়াই আমাকে প্রভাবিত করেছে। সংসদের অন্দরে তৃণমূল সাংসদের জেদি মনোভাব এবং এককাট্টা হয়ে দাবি আদায়ের মনোভাব দেখেছি। যা অন্য কোন রাজনৈতিক দলে আমি দেখিনি।"
এ দিন দিল্লির সাউথ এভিনিউতে তৃণমূল কংগ্রেসের তিন নেতা সৌগত রায়, ডেরেক ও'ব্রায়েন এবং যশবন্ত সিনহার উপস্থিতিতে তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা হাতে তুলে নেন সাকেত।
তারপর একান্ত সাক্ষাৎকারে বলেছেন, দেশের রাজনীতি সম্পর্কে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল তিনি। অতীতে ৩৪ বছরের বাম সরকারকে পরাস্ত করে যেভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মা-মাটি-মানুষের সরকার প্রতিষ্ঠা করেছেন, তা গোটা দেশের কাছে নজির। এরপর গত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির অর্থবল, লোকবল, কেন্দ্রীয় এজেন্সির অপপ্রয়োগ এবং সামগ্রিক একতরফা আক্রমণ সত্বেও তুড়ি মেরে বিজেপিকে পরাস্ত করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যা দেখেই তৃণমূল কংগ্রেসের যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত সাত বছরে মোদি সরকার কে বারবার বিরম্বনায় ফেলেছেন এই আরটিআই অ্যাক্টিভিস্ট। নানা বিষয়ে অপ্রিয় প্রশ্ন করে সরকারের চক্ষুশূল হয়েছিলেন তিনি। প্রাক্তন এই সাংবাদিক দেশের হয়ে বহু আন্তর্জাতিক ইভেন্টে অংশ নিয়েছেন। সংবাদমাধ্যমের হয়ে কভার করেছেন। নির্বাচন কমিশন সম্পর্কিত সাক্ষাতের আরটিআই সর্বজনবিদিত।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Saket Gokhle, TMC