R G Kar: মর্গের মেঝেতে শোয়ানো তরুণীর মৃতদেহ...এ কী ভাবে হচ্ছে ময়না তদন্ত! ভিডিও ভাইরাল হতেই আরজি কর নিয়ে ফের নিন্দের ঝড়

Last Updated:

R G Kar: ফের শিরোনামে আরজি কর। সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে হাসপাতালের দুটি ভিডিও।

মর্গের মেঝেতে শোয়ানো তরুণীর মৃতদেহ...এ কী ভাবে হচ্ছে ময়না তদন্ত! ভিডিও ভাইরাল হতেই আরজি কর নিয়ে ফের নিন্দের ঝড়
মর্গের মেঝেতে শোয়ানো তরুণীর মৃতদেহ...এ কী ভাবে হচ্ছে ময়না তদন্ত! ভিডিও ভাইরাল হতেই আরজি কর নিয়ে ফের নিন্দের ঝড়
কলকাতা: ফের শিরোনামে আরজি কর। সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে হাসপাতালের দুটি ভিডিও ((যার সত্যতা যাচাই করেনি নিউজ 18 বাংলা)। মর্গের মেঝেতে শোয়ানো এক তরুণীর মৃতদেহের ময়না তদন্ত হচ্ছে। প্রশ্ন উঠেছে ময়না তদন্তের পদ্ধতি নিয়ে। ভাইরাল ভিডিও দেখে নিন্দার ঝড় হাসপাতালের ময়না তদন্তের পদ্ধতি নিয়ে।
প্রথম ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, মর্গের মেঝেতে শোয়ানো এক তরুণীর মৃতদেহ। গলায় কাপড়ের ফাঁস দিয়ে মৃত্যু হয়েছে। সেই ফাঁস এবং দেহের বাইরের বিভিন্ন চিহ্ন পরীক্ষা করছেন দু’জন যুবক। তাঁদের সামনে দাঁড়িয়ে জিজ্ঞাসা করে বিভিন্ন তথ্য নথিভুক্ত করছেন আরও এক জন। দ্বিতীয় ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, মর্গের অফিসে টেবিলের সামনে অ‍্যাপ্রন পরে দাঁড়িয়ে এক ব‍্যাক্তি। সামনে চিরকুট হাতে এক যুবক। তাঁর থেকে ময়না তদন্ত হওয়া এক মৃতের ওজন, মাথায় কোথায় কী আঘাত সমস্ত কিছু শুনে নথিভুক্ত করছেন ওই ব্যক্তি। লেখা শেষ হতেই তিনি বেরিয়ে গেলেন।
advertisement
advertisement
অভিযোগ, দিনের পর দিন এই ভাবে ওই মর্গে তৈরি হয়েছে ময়না তদন্তের রিপোর্ট। কিন্তু প্রকাশিত ভিডিয়োর ওই দু’টি দৃশ্যে যাঁদের দেখা গেল, তাঁরা কারা? খোঁজখবর নিয়ে জানা যাচ্ছে, তরুণীর দেহ পরীক্ষা করা দুই যুবক পেশায় ডোম। তাঁদের থেকে জেনে কাগজে লিখতে থাকা এবং চিরকুট দেখে তথ্য নথিভুক্ত করানো যুবক আর জি কর মর্গের হেড ডোম সন্তোষ মল্লিক। আর, ডোমের কথা শুনে যিনি ময়না তদন্তের রিপোর্ট লিখলেন, অ‍্যাপ্রন পরা সেই ব্যক্তি ফরেন্সিক মেডিসিনের বিভাগীয় প্রধান প্রবীর চক্রবর্তী। সেই কারণে এই ভিডিয়ো দেখে প্রশ্ন উঠেছে, কী ভাবে এক জন ডোমের উপরে ভরসা করে ময়না তদন্তের রিপোর্ট তৈরি করতে পারেন এক জন সিনিয়র চিকিৎসক?দিনের পর দিন এই অনিয়ম চললেও তার কিছুই কী জানতে পারেননি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ? না কি সব জেনেও চুপ থাকতেন? ভিডিও ভাইরাল হতেই উঠছে একাধিক প্রশ্ন।
advertisement
নিয়মানুযায়ী যে কোনও মৃতদেহের ব্যবচ্ছেদের আগে তাঁর শরীরের বাইরের আঘাতের চিহ্ন-সহ অন্যান্য বিষয় পরীক্ষা করে লিপিবদ্ধ করতে হয় অটোপ্সি সার্জনকে। আবার, দেহ ব্যবচ্ছেদ করে শরীরের ভিতরের আঘাত, পরিবর্তন-সহ সমস্ত কিছুই পরীক্ষা করতে হয় ওই চিকিৎসককেই। গোটা প্রক্রিয়ায় দেহ ময়না তদন্তের টেবিলে নিয়ে আসা, ব্যবচ্ছেদ করার যন্ত্রপাতি এগিয়ে দেওয়া, সেলাই করার কাজ করেন মর্গের ডোমেরা।
advertisement
আর জি করে খুন ও ধর্ষণের ঘটনার পরে, সেখানকার মর্গ নিয়ে বিভিন্ন দুর্নীতি ও বেনিয়মের অভিযোগ বার বার সামনে এসেছে। সেই অভিযোগ এতটাই জোরালো যে সিবিআইয়ের আধিকারিকরাও বেশ কয়েক বার আর জি করের মর্গে গিয়ে সব কিছু খতিয়ে দেখেছেন। সংগ্রহ করেছেন সিসি ক্যামেরার বিভিন্ন ফুটেজ।
সূত্রের খবর, সেখানেও ডোমের উপরে নির্ভর করে ময়না তদন্তের রিপোর্ট তৈরির মতো ছবি তদন্তকারীদের সামনে এসেছিল। কী ভাবে এক জন ডোম এত ক্ষমতাবান হয়ে উঠল, তা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাও খতিয়ে দেখছে বলে খবর। জানা যাচ্ছে, সন্দীপ ঘোষ অধ্যক্ষ থাকার সময়ে এই সন্তোষকে উত্তরবঙ্গ থেকে তড়িঘড়ি আর জি করে নিয়ে এসে মর্গের দায়িত্ব দিয়েছিলেন।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
R G Kar: মর্গের মেঝেতে শোয়ানো তরুণীর মৃতদেহ...এ কী ভাবে হচ্ছে ময়না তদন্ত! ভিডিও ভাইরাল হতেই আরজি কর নিয়ে ফের নিন্দের ঝড়
Next Article
advertisement
'কেন Gen Z তাঁর কথা শুনবে...?' বিহারের যুবসমাজের উপর রাহুলের প্রভাব, নস্যাৎ করলেন প্রশান্ত কিশোর
'কেন Gen Z তাঁর কথা শুনবে...?' বিহারের যুবসমাজের উপর রাহুলের প্রভাব নস্যাৎ করলেন পিকে
  • 'যখন বিহারের মানুষই রাহুল গান্ধির কথা শুনছেন না, তখন Gen Z -রা কেন তার কথা শুনবেন?' বিহার নির্বাচনী আবহে রবিবার লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধিকে তীব্র আক্রমণ করলেন প্রশান্ত কিশোর

VIEW MORE
advertisement
advertisement