#কলকাতা: স্কুল খুললেও পথে দেখা নেই পুলকারের। যে সমস্ত স্কুলের নিজস্ব বাস রয়েছে সেগুলি চালু থাকলেও পথে পুলকার অমিল। ফলে স্কুলে যাওয়া এবং আসার ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়ছে পড়ুয়ারা। করোনার কারণে দীর্ঘ কুড়ি মাস স্কুল বন্ধ থাকায় পুলকার ব্যবসা কার্যত মুখ থুবড়ে পড়েছে।
পুলকার মালিকদের অভিযোগ, 'লকডাউনের সময় কয়েক মাস ভাড়া দিলেও স্কুল বন্ধ থাকার সময় অধিকাংশ অভিভাবকই মাসের পর মাস ভাড়া দেননি। অথচ পুলকার চালকের মাস মাইনে থেকে শুরু করে মেনটেনেন্সের খরচ আমাদের করে যেতে হয়েছে।'
স্কুল আংশিক খোলার কারণে পর্যাপ্ত পড়ুয়া না হওয়ায় পথে এই মুহূর্তে পুলকার নামানো সম্ভব হচ্ছে না। ফলে চরম আর্থিক সংকটে এই মুহূর্তে পুলকার মালিকরা। স্কুলের সঙ্গে পুলকারের সম্পর্কটা একে অপরের পরিপূরকের মতো। অথচ স্কুল খুলে গেলেও কার্যত ব্রাত্য পুলকার।
আরও পড়ুন- স্টুডেন্টস ডে-তে ২০ হাজার পড়ুয়ার হাতে Student Credit Card? লক্ষ্য রাজ্যের
দীর্ঘ প্রায় দু'বছর ধরে কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার প্রায় চার হাজার পুলকারের চাহিদা না থাকায় সেগুলি বর্তমানে পড়ে পড়ে নষ্ট হতে বসেছে। অনেক পুলকার মালিক গাড়ি বিক্রি করে দিয়েছেন। তেমনই তীব্র অর্থসংকটের জেরে ইএমআই না দিতে পারার জন্য অনেক ফিনান্স কোম্পানি সেই সমস্ত যানবাহন নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে।
এই অবস্থায় রীতিমতো মাথায় হাত পুলকার মালিকদের। দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে অভিভাবকদের কাছ থেকে ভাড়া না পাওয়া সহ নানা সমস্যায় জর্জরিত পুলকারগুলি আজ স্রেফ পড়ে পড়ে নষ্ট হচ্ছে। স্কুল খোলার পর কিছু অভিভাবক যোগাযোগ করচেন বটে। তবে যেহেতু সম্পূর্ণ ক্লাস এখনও শুরু করা হয়নি, তাই পড়ুয়ার সংখ্যা অনেকটাই কম।
করোনার এই সময়ে অনেকেই নিজেদের সন্তানকে নিজস্ব যানবাহন করে স্কুলে পৌঁছে দিচ্ছেন। ফলে পুলকার ব্যবসা কার্যত লাটে ওঠার জোগাড়। এই পরিস্থিতিতে পুলকার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে প্রস্তাব দেওয়া হল, দুয়ারে রেশন প্রকল্পে যদি তাদের পুলকারগুলিকে ব্যবহার করা হয়!
ইতিমধ্যেই অনেক মালিক পুলকার ব্যবসা থেকে সরে এসে পেশা বদল করে ফেলেছেন। এই পরিস্থিতিতে সরকারের কাছে শহরের পুলকার মালিক সংগঠনের আরজি, বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে তাদের পাশে থাকার। দুয়ারে রেশন প্রকল্পে যদি সরকারের তরফে তাদের যানবাহনগুলিকে ব্যবহার করা হয় তা হলে সচল থাকবে গাড়িগুলি।
পুলকার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সুদীপ দত্ত বলেন, জ্বালানির দাম যে হারে বেড়েছে তাতে সামান্য সংখ্যক পড়ুয়াদের স্কুলে নিয়ে গেলে খৎচে পোষাবে না। অন্যান্য খরচ খরচা তো বাদই দিলাম, জ্বালানির খরচের দামটুকুও উঠবে না। সরকারকে আমরা নানাভাবে পুলকারগুলিকে বাঁচাতে আবেদন করেছি। আশা করি সরকার আমাদের সমস্যার কথা শুনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে'।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: School bus, School Opening