রোগী 'রেফার' রোগে যাচ্ছে প্রাণ, দুশ্চিন্তায় ভুগছে নবান্ন! ৫ জেলাকে সতর্কবার্তা

Last Updated:

সরকারি হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজগুলি থেকে রোগীদের যাতে অন্য হাসপাতালে রেফার না করা হয় তার জন্য বিশেষভাবে নির্দেশ সম্প্রতি দিয়েছিল নবান্ন। (Patient Refer problem)

নবান্ন
নবান্ন
#কলকাতা: রেফার রোগ আটকাতে কার্যত ব্যর্থ স্বাস্থ্য দফতর? সম্প্রতি স্বাস্থ্য দফতরের তরফে যে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে রাজ্যের ৫ জেলায় রেফার রোগ নিয়ে চিন্তিত খোদ নবান্ন। গত জুলাই মাস জুড়ে সমীক্ষা করে স্বাস্থ্য দফতর যে রিপোর্ট তৈরি করেছে তাতে দেখা যাচ্ছে রাজ্যের পাঁচ জেলায় উদ্বেগজনক পরিসংখ্যান রোগীদের এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে রেফার রোগের।
নবান্ন সূত্রে খবর, বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলা, মালদা, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর ও বীরভূম এই পাঁচ জেলায় রোগীদের সরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালগুলিতে রেফার রোগের সংখ্যা সব থেকে বেশি। নবান্ন সূত্রে খবর, বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলায় ৭.৯১ শতাংশ, মালদা জেলায় ৭.৫৫ শতাংশ,বাঁকুড়া জেলায় ৭.৩৮ শতাংশ, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় ৭.২৪ শতাংশ এবং বীরভূম জেলায় ৬.০১ শতাংশ।
advertisement
আরও পড়ুন: ১৫০ দিনে ৩৫০০ কিলোমিটার! মোদির বিরুদ্ধে ঝড় তুলতে কংগ্রেসের 'ভারত জোড়ো যাত্রা'
নবান্ন সূত্রে খবর, এই  এলাকায় বিশেষভাবে রোগীদের কেন অন্যান্য জায়গায় রেফার করা হচ্ছে তা নিয়ে বিশেষ পর্যালোচনা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদিও পূর্ব মেদিনীপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর,ঝাড়গ্রাম, বিষ্ণুপুর স্বাস্থ্য জেলা ও পুরুলিয়া এই পাঁচ জেলাতে রোগীদের অন্য জায়গায় রেফার করা সংখ্যা খুবই কম। যা কিছুটা আশা জাগিয়েছে নবান্ন ও স্বাস্থ্য দফতরকে। এই পাঁচ জেলাকে বিশেষভাবে সতর্ক করা হয়েছে।
advertisement
advertisement
আরও পড়ুন: নীতীশ-নীতি আর তেজস্বীর তেজে বিহারে মহাবদল? রাজ্যপালের কাছে সময় চাইলেন দুই 'জোটবদ্ধ' নেতা
প্রসঙ্গত, রেফার রোগ আটকানোর জন্য বিভিন্ন মেডিকেল কলেজের সুপার ও মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সম্প্রতি কয়েক দফার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তারপরেও কয়েকটি জেলায় ক্রমবর্ধমান হারে রেফার রোগের সংখ্যা বাড়তে থাকায় বিশেষভাবে উদ্বিগ্ন নবান্নের শীর্ষ মহল। পাশাপাশি রোগীদের চিকিৎসকদের পরামর্শ নিয়েই হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়ার সংখ্যা তো পাঁচ জেলার পরিসংখ্যান উদ্বেগ বাড়িয়েছে নবান্নের। নবান্ন সূত্রে খবর, মালদা, বাঁকুড়া, নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্য জেলা, উত্তর দিনাজপুর ও পশ্চিম বর্ধমান এই ৫ জেলায়  চিকিৎসকদের পরামর্শ নিয়েই রোগীদের ছেড়ে দেওয়ার সংখ্যা সব থেকে বেশি।
advertisement
স্বাস্থ্য দপ্তরে পরিসংখ্যান বলছে মালদা জেলায় ১৩.০৮ শতাংশ,বাঁকুড়া জেলায় ৮.০৪ শতাংশ, নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্য জেলায় ৫.২৩ শতাংশ, উত্তর দিনাজপুর জেলায় ৫.০৩ শতাংশ ও পশ্চিম বর্ধমান জেলায় ৪.৪৪ শতাংশ রোগীদের শুধুমাত্র চিকিৎসকদের পরামর্শ নিয়েই ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে।যা নিয়েও এই পাঁচ জেলাকে বিশেষভাবে সতর্ক করেছেন নবান্ন। তবে এরই পাশাপাশি নদিয়া,বিষ্ণুপুর স্বাস্থ্য জেলা, পূর্ব বর্ধমান,পুরুলিয়া, বীরভূম এই পাঁচ জেলায় চিকিৎসকদের পরামর্শ নিয়ে রোগীদের ছাড়ার সংখ্যা কমে যাওয়ার প্রবণতা আশা জাগিয়েছে স্বাস্থ্য দফতরকে।
advertisement
এরই পাশাপাশি হাসপাতাল থেকে রোগীদের নিখোঁজ হওয়ার সংখ্যাও চিন্তা বাড়াচ্ছে নবান্নের। মুর্শিদাবাদ, পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর দিনাজপুর, নদীয়া, মালদা এই পাঁচ জেলায় হাসপাতাল থেকে রোগীদের নিখোঁজ হবার সংখ্যা সবথেকে বেশি। যেখানে আবার উত্তর ২৪ পরগণা, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, ঝাড়গ্রাম, দার্জিলিং ডায়মন্ড হারবার এর মতো স্বাস্থ্য জেলাগুলির পরিসংখ্যানও আশা জাগিয়েছে স্বাস্থ্য দফতরকে। নবান্ন সূত্রে খবর, গোটা বিষয়টি নিয়ে ফের পর্যালোচনার জন্য উচ্চ স্তরের বৈঠক করতে পারেন মুখ্য সচিব শীঘ্রই।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
রোগী 'রেফার' রোগে যাচ্ছে প্রাণ, দুশ্চিন্তায় ভুগছে নবান্ন! ৫ জেলাকে সতর্কবার্তা
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement