#কলকাতা: প্রয়াত ফ্যাশন ডিজাইনার শর্বরী দত্ত। বৃহস্পতিবার রাত ১১-৩০ নাগাদ বাথরুম থেকে তাঁর মৃত দেহ উদ্ধার হয়। পরিবার সূত্রে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় কড়েনা থানার পুলিশ। পুলিশের গাড়িতেই আসেন পারিবারিক বন্ধু অর্থপেডিক সার্জেন অমল ভট্টাচার্য্য।
পুলিশের অনুমতি নিয়ে দেহ ঘরে আনা হয়। রাত ২-২০ নাগাদ কড়েয়া থানার ওসি আসেন। ৩টে নাগাদ আসেন লালবাজারের হোমিসাইড শাখার আধিকারিকরা। ভোর ৪ টে নাগাদ দেহ ময়না তদন্তের জন্য এন আর এস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
মৃতের ছেলে অমলিন দত্তের দাবি, "মাকে ১৭ তারিখ সারাদিন দেখতে পাইনি। আমরা ভেবেছিলাম উনি বাইরে কোথাও গেছেন। ১৬ তারিখ সারাদিন বাইরে ছিলেন। ১৬ তারিখ রাতের শেষ খাবার নিতে দেখেছি। ১৭ তারিখ রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ বাথরুমে ওনাকে পড়ে থাকতে দেখি। হাউস ফিজিশিয়ানকে খবর দি। তিনি কড়েয়া থানায় খবর দিতে বলেন। পুলিশ এসেছে। কোন অস্বাভাবিক কিছু চোখে পড়ছে না। অনেক ওষুধও খেতেন। আশি বছর বয়স৷ আমাদের প্রায়ই একদিন বা দুদিন দেখা হতো না। যে যার কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকতাম। বিশ্বকর্মা পুজো থাকায় ১৭ তারিখ থাকায় ১৭ তারিখ আমি বাড়ি ছিলাম না। "
যদিও তার দেহের পাশে বাথরুমে রক্ত পড়ে থাকতে দেখেন চিকিৎসক অমল ভট্টাচার্য্য। তিনি বলেন, " আমাকে ওঁর ছেলে খবর দেয়। কোন গাড়ি না থাকায় আমি কড়েয়া থানার গাড়িতে এখানে এসেছি। আমি ওঁদের পারিবারিক বন্ধু অর্থোপেডিক সার্জন। পুলিশ এসেছে, হোমিসাইড শাখার আসার কথা। পুলিশের অনুমতি নিয়ে দেহ ঘরে রাখা হয়েছে। দেহ কতক্ষণ পড়েছিল বলতে পারব না। আমি দেহ ছুঁয়ে দেখিনি। কানের পাশে একটা আঘাতের চিহ্ন আছে বলে শোনা গেছে। উনি একটা হরমোনের ওষুধ খেতেন, যার জন্য উনার রেগুলার পিরিয়ডসের মতো রক্তপাত হত, বাথরুমে তেমনই রক্ত পড়ে আছে বলেই ওঁর পুত্রবধূর দাবি।"
ময়নাতদন্তের পরই মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে বলে জানিয়েছে পুলিশ৷
Debapriya Dutta Majumdar & Sibasish