#কসবা: দশ দিনের বেশি ধরে করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া চলছিল কসবাতে। প্রতিদিন একশ জনের বেশি ভ্যাকসিন নিয়েছে ওখান থেকে।কোভিসিল্ড নিয়েছে বলে দাবি সকলের। জায়গাটি কসবার নিউ মার্কেটের পাশে রাজডাঙ্গা মেন রোডে। আইএএস অফিসার নিজে তার তত্ত্বাবধানে দিচ্ছিলেন ভ্যাকসিন। কসবা নিউমার্কেটের ব্যবসায়ীরা ওখান থেকে ভ্যাকসিন নিয়েছেন। ভ্যাকসিন নেওয়ার পর কেউই কোনো স্লিপ বা মোবাইলে ম্যাসেজ পায়নি।অফিসার এবং তার সঙ্গীরা জানিয়েছিলেন সব চলে আসবে। গতকাল এই মেসেজ কেন আসছে না? সেই নিয়ে শুরু হয় বাকবিতণ্ডা। তারপর একটু চাপাচাপির পরেই জানতে পারে ব্যাপারটা সম্পূর্ণ ভুয়ো। যে আই এ এস অফিসার পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরের বলে দাবি করছিলেন, তিনি হলেন দেবাঞ্জন দেব। আনন্দপুরের হোসেনপুরের বাসিন্দা। এই দেবাঞ্জন দেব দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় আইএএস অফিসার পরিচয় দিয়ে কাটাচ্ছিলেন। বাবা মনোরঞ্জন দেব অবসরপ্রাপ্ত আবগারি দপ্তরের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার।
কসবার যে বিল্ডিংএ ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছিল তার সামনে যে দোকানগুলো রয়েছে যেমন মিতালী মন্ডল ,সুনিতা সরদাররা, গতকাল গ্রেপ্তারের পর জানতে পেরেছে, উনি ভুয়ো অফিসার ছিলেন। ওরা সবাই ১২ই জুন ভ্যাকসিন নিয়েছিলেন ওখানে।ওটা ভ্যাকসিন ছিল, নাকি অন্য কিছু? সেই নিয়ে রীতিমত ভয়ে রয়েছেন সবাই। এত বড় ঘটনা হয়ে যাওয়ার পরও, স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফ থেকে যারা ভ্যাকসিন নিয়েছেন তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। স্থানীয় মানুষদের হিসাব অনুযায়ী ,এ পর্যন্ত এক হাজারের বেশি মানুষ ভ্যাকসিন নিয়েছেন। যারা ভ্যাকসিন নিয়েছেন তাঁরা জানেন না, তারা কি নিয়েছেন? আতঙ্কে প্রহর কাটাচ্ছেন কসবার ব্যবসায়ীরা এবং যারা সেদিন ভ্যাকসিন নিয়েছিলেন।
ভ্যাকসিনের জায়গাতে গিয়ে দেখা যায়,ওই অফিসের বাইরে কলকাতা মিউনিসিপাল কর্পোরেশনের বোর্ড লাগানো রয়েছে।সঙ্গে দরজাতে কর্পোরেশনের নোটিশ দেওয়া রয়েছে।সবাই জানত, ওটি কলকাতা কর্পোরেশনের অফিস। মানুষের জীবন নিয়ে খেলার প্রতারণা করবে কেউ বুঝত পারেনি। তবে বিষয়টি নিয়ে রীতিমত শোরগোল পড়ে গেছে রাজ্য জুড়ে।
SHANKU SANTRA
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Coronavirus, Fake vaccines, Kasba