#কলকাতা: এড়িয়ে যাচ্ছিলেন রাজ্য মন্ত্রীসভার বৈঠক। পরে অবশ্য মন্ত্রী পদ থেকেই ইস্তফা দিলেন রাজীব বন্দোপাধ্যায়। তবে এখনও আছেন তৃণমূল কংগ্রেসে। বিধায়কও রয়েছেন তিনি। তবে বিধানসভার চলতি অধিবেশনে অনুপস্থিত থাকলেন রাজীব বন্দোপাধ্যায়।
এর পাশাপাশি অনুপস্থিত থাকলেন রাজীব ঘনিষ্ঠ উত্তরপাড়ার বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল। মন্ত্রীত্ব ও দলীয় পদ ছেড়ে দিলেও এখনও বিধায়ক রয়েছেন লক্ষীরতন শুক্ল। তিনিও অনুপস্থিত থাকলেন অধিবেশনে। এই সমস্ত বিধায়কদের নিয়ে জল্পনা বৃদ্ধি পেয়েছে রাজনৈতিক মহলে। বেশ কিছুদিন ধরেই বেসুরো গাইছেন রাজ্য শাসক দলের এই সব বিধায়করা। প্রায় প্রতিদিন নানা ইস্যুতে তাঁরা দলের অন্দরের সমালোচনা করে যাচ্ছেন।
এবার তাঁদের একযোগে অনুপস্থিতি জল্পনা বাড়িয়ে দিল তাঁদের রাজনৈতিক অবস্থান ঘিরেও। যদিও এদিনের অধিবেশনে যোগ দেওয়ার জন্য দলের তরফ থেকে হুইপ পাঠানো হয়েছিল। অসুস্থতা ছাড়া আর অন্য কোনও কারণ দেখিয়ে বিধানসভায় অনুপস্থিত থাকা যাবে না। তৃণমূল বিধায়কদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
তার পরেও এই সব বিধায়করা অনুপস্থিত থাকায় পরিষদীয় দল জবাব চাইবে বলে সূত্রের খবর। এর পাশাপাশি এদিন বিধানসভায় দেখা যায়নি বহিষ্কৃত তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়াকেও। অসুস্থতার কারণে অনুপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী অরুপ রায়। যদিও বেসুরো বিধায়কদের নিয়ে মুখ খোলেননি মমতা বন্দোপাধ্যায়। তবে ঘনিষ্ঠ মহলে তিনি জানিয়েছেন, প্রবীর ঘোষালের থেকে তিনি এটা আশা করেননি৷
বেসুরো বিধায়কদের নিয়ে অবশ্য দলের তরফেও আর কোনও বাক্য খরচ করা হয়নি। এদিন বিধানসভায় একাধিক বিধায়ক দেখা করতে যান মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সঙ্গে। মমতা বন্দোপাধ্যায় কথা বলেন বিধায়ক ফিরোজা বিবির সঙ্গে।
বিধানসভা ভোটের আগে অবশ্য দলকে চাঙ্গা করতে আগামীকাল বৈঠক করছেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। সেখানে কোর কমিটির সদস্যদের নিয়ে তিনি আলোচনা করবেন। সূত্রের খবর, এই বৈঠকে নির্বাচনী কমিটি তৈরি নিয়ে আলোচনা হবে। এছাড়া একের পর এক নেতা দল ছাড়ছেন। এই অবস্থায় দলকে তিনি কী বার্তা দেন সেদিকেই চেয়ে সকলে।