#কলকাতা: মন্ত্রী জাকির হোসেন-সহ আহত দলীয় কর্মীদের দেখে বেরিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, শিউরে উঠছি। তাঁর মত, এই বিস্ফোরণে রিমোট কন্ট্রোল ব্যবহার করা হয়েছিল। এর পাশাপাশি, মমতার ইঙ্গিতবাহী মন্তব্য, জাকিরকে দলত্যাগের জন্য চাপ দেওয়া হয়েছিল, জাকির দায়বদ্ধতার প্রশ্নে এই কাজে রাজি হয়নি। অর্থাৎ বলা চলে বদলার ইঙ্গিতও দিয়ে রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী।
বুধবার রাতে নিমতিতা স্টেশনে মন্ত্রী জাকির হোসেনের উপর যে ভাবে হামলা হল, তাতে এক কথায় ঘুম উড়ে গিয়েছে রাজ্য পুলিশ প্রশাসনের। তদন্তকারীরা প্রাথমিক ভাবে বলছেন সকেট ব্যবহার করে বিস্ফোরণ হতে পারে। কেউ কেউ আবার বলছেন কৌটোবোমা ব্যবহার করা হতে পারে। রিমোট ব্যবহারের তত্ত্বও উড়িয়ে দিচ্ছেন না অনেকে। স্প্রিন্টারের আঘাত ছিল তীব্র, কাজেই খতিয়ে দেখতে হচ্ছে ঠিক কী ধরনের মালমশলা ব্যবহার করা হয়েছিল বিস্ফোরণের জন্য। সিসিটিভি খতিয়ে দেখা হয়েছে।
সূত্রের খবর, সিআইডি, বোম্বস্কোয়াড, রেলের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা এদিন ঘটনাস্থলে গিয়েছে। স্পেশাল টাস্ক ফোর্স , ফরেন্সিক দলও রয়েছে। প্রাথমিক তদন্তের পরিষ্কার, সুনিপুণ পরিকল্পনা করে বোম্ব রাখা হয়।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন ঘটনার বীভৎসতায় রীতিমতো চমকে যান। নিজেই বলেন শিউরে উঠছি। তাঁর অভিযোগ রেল বিষয়টি নিয়ে গা ছাড়া মনোভাব দেখাচ্ছে। এদিন মমতা বিস্ফোরণে গুরুতর আহতদের ৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথাও জানান।
আজ এরপরে মুখ্যমন্ত্রীর সভা রয়েছে দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার পৈলানে। দেখার সেখান থেকে তিনি কী ভাবে সুর চড়ান। রয়েছে নেতাজি ইন্ডোরে বুথকর্মীদের সঙ্গে তাঁর বৈঠকও রয়েছে। সেখানেই আসতে গিয়েই এই পরিণতি হয়েছে জাকির হোসেনের। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের অক্সিজেন দিতে কী বলেন সেদিকে নজর থাকবে গোটা রাজ্যের।