#কলকাতা: শুধু বিপর্যয় না, একে বলা চলে পুরোপুরি ভেঙে পড়া। বাংলার শেষ বিধানসভা নির্বাচনে বামেদের অবস্থা এমনই দাঁড়িয়েছে। বিধায়ক নেই একজনও। কংগ্রেস, আইএসএফ-এর সঙ্গে জোট করে উল্টে নিজেদের ভোটই তলানিতে নেমেছে লাল শিবিরের। অপরদিকে, বিজেপিকে রুখে দিয়ে তৃতীয় বারের জন্য বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। আর তারপর থেকেই বিজেপি বিরোধী প্রধান মুখ হয়ে উঠেছেন তিনি। আর ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদিকে উৎখাত করার জন্য এখন থেকেই সলতে পাকাতে শুরু করেছেন তৃণমূল নেত্রী। শীঘ্রই সমস্ত বিজেপি বিরোধী শক্তিকে একজোট হওয়ার বার্তা দিয়েছেন বার্তা দিয়েছেন। সেই কাজ আরও তরান্বিত করতে সোমবারই পাঁচ দিনের সফরে দিল্লি যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তৃণমূল নেত্রীর ডাকা জোটবার্তায় কি সামিল হবে বামেরা? দীর্ঘদিনের 'শত্রুতা' কি ঘুঁচে যাবে বিজেপিকে পরাস্ত করার লক্ষ্যে? এবার স্পষ্ট করে জবাব দিয়ে দিলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু (Biman Bose)।
সোমবার যখন দিল্লি উড়ে যাচ্ছেন মমতা, তার আগে রবিবার বিমান বসু বলেন, 'সর্বভারতীয় স্তরে কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারিকা, কোহিমা পর্যন্ত বিজেপি বিরোধী আন্দোলনের ক্ষেত্রে যে কারও সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত আমরা।' তৃণমূলের নাম আলাদা করে মুখে না আনলেও তাঁর কাছে প্রশ্ন ছিল, সেই আন্দোলনে তৃণমূল থাকলেও কি আপনারা যোগ দেবেন তাতে? বিমানের উত্তর, 'বিজেপি বিরোধী যে থাকবে, তাঁদের সকলের সঙ্গেই বামেরা কাজ করতে প্রস্তুত।' রাজনৈতিক মহলের মতে, এতদিন সন্দিহান থাকলেও ২০২৪-এ তৃণমূল, সিপিএম হাত ধরাধরি করে চললেও অবাক হওয়ার কিছু নেই।
তবে, সর্বভারতীয় স্তরে যে কংগ্রেসকে বাদ রেখে সোচ্চার বিজেপি বিরোধিতা সম্ভব নয়, তা বুঝেছেন বাকি বিরোধীরা। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সফরেই কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধির সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন তৃণমূল নেত্রী, সূত্রের খবর এমনটাই। আর কংগ্রেসও যে ক্রমেই তৃণমূলে নরম হচ্ছে, তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে রবিবার কংগ্রেসের ট্যুইটার হ্যান্ডেল থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি প্রকাশ ও পেগাসাস ইস্যুতে তাঁর পাশে দাঁড়ানো থেকেই।
অর্থাৎ, এখন থেকেই ২৪-এর সলতে পাকাতে শুরু করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু একদিকে যেমন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু বুঝিয়ে দিচ্ছেন তৃণমূল আর তাঁদের কাছে অচ্ছুৎ নয়, ঠিক তখনই তৃণমূলের প্রতি কংগ্রেসের নরম মনোভাবকে কটাক্ষ করেছেন সিপিএমের রাজ্যসভার সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। তাঁর কথায়,'পেগাসাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তৃণমূলকে সঙ্গী করে কংগ্রেস এগানোর সিদ্ধান্ত নিলে বুঝতে হবে তারা ভবিষ্যতের করব খুঁড়ছে। কারণ পেগাসাসের সাহায্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের ফোনে আড়ি পাতার কাজটা সাফল্যের সঙ্গে এ রাজ্যে করছে তৃণমূল।'
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Biman Bose