#কলকাতা: নারদকাণ্ডে হাইকোর্টের বিচারপতিদের প্রশ্নে অস্বস্তিতে ম্যাথু স্যামুয়েল। ভারপ্রাপ্ত বিচারপতিদের ডিভিশন বেঞ্চের মত, ভিডিও দেখে বোঝা যাচ্ছে না টাকা নেওয়া অবৈধ। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের অস্থায়ী বিচারপতি গিরিশ গুপ্ত ও অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ এই মন্তব্য করে।
একইসঙ্গে, নারদা স্টিং অপারেশনের প্রেক্ষাপট কী? তা নিয়েও ৪ নভেম্বরের মধ্যে আদালতে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত। শুধু তাই নয়, ম্যাথু স্যামুয়েলের হাতে কীভাবে টাকা এল তা হলফনামায় জানাতে বলেছে আদালত। কীভাবে তিনি ছক করেন সেকথাও উল্লেখ করতে বলা হচ্ছে। নারদাকাণ্ডে অস্বস্তিতে পড়তেই স্যামুয়েলের টাকার উৎস নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এবার সেই প্রশ্ন তুলে দিল আদালতও।
নারদ মামলায় আদালতের নতুন নির্দেশে প্রবল অস্বস্তিতে পড়েছেন ম্যাথু স্যামুয়েল ৷ শুক্রবার মামলার শুনানির সময় বিভিন্ন সওয়াল-জবাব শোনার পর ভারপ্রাপ্ত বিচারপতিদের ডিভিশন বেঞ্চ নারদ কর্তা ম্যাথুকে স্টিং অপারেশনের বিস্তারিত তথ্য জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন ৷ এদিন আদালতে অস্থায়ী প্রধান বিচারপতি গিরিশ গুপ্ত সওয়াল শোনার পর বলেন, ‘এটা কখনই পুরো গল্প নয় ৷ পুরো গল্প না শুনে তদন্তের প্রয়োজনীয়তা বোঝা কঠিন ৷’ একইসঙ্গে বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ বলেন, ‘ভিডিও দেখে বোঝা যাচ্ছে না টাকা নেওয়া অবৈধ ৷ টাকা নেওয়াটা ক্লাইম্যাক্স ৷ তাই পুরো গল্পটা জানতে হবে ৷
অন্যদিকে, অ্যাডভোকেট জেনারেলের মন্তব্যেও তৈরি হয় বির্তক ৷ আদালতে তিনি বলেন, ‘ল্যাপটপ ও আইফোনে কিছুই পাওয়া যায়নি ৷’ এর তীব্র প্রতিবাদ করে ম্যাথুর আইনজীবী বলেন, ‘ল্যাবের রিপোর্টে ভিডিও ফুটেজের সত্যতা স্বীকার করা হয়েছে ৷’
তবে কোর্টের এদিনের নির্দেশে বেকায়দায় পড়েছেন নারদ ডট কমের কর্ণধার ৷ এর আগে নারদ স্টিং কাণ্ডে ব্যবহৃত টাকার উৎস নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল তৃণমূল কংগ্রেস ৷
এমনকী নারদ কাণ্ডের তদন্তকারী কলকাতা পুলিশের বিশেষ টিমও জানায়, নারদ কর্তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বিশাল অঙ্কের টাকা লেনদেনের তথ্যপ্রমাণ পেয়েছেন গোয়েন্দারা ৷ নারদ স্টিংয়ের ঠিক আগে ম্যাথুর সঙ্গে কোটি কোটি লেনদেন হয় ৷
লোকসভা ভোটের আগে নারদকর্তা ম্যাথু স্যামুয়েলের সঙ্গে বড় অঙ্কের আর্থিক লেনদেন। উত্তরপ্রদেশ থেকে ম্যাথুর দিল্লির অ্যাকাউন্টে টাকা ট্রান্সফার হয়েছিল। এই লেনদেনের পিছনে ভিনরাজ্যের এক রাজনীতিবিদ-ব্যবসায়ী রয়েছেন বলে জানতে পারে কলকাতা পুলিশের সিট।
প্রথম থেকেই এই স্টিংকাণ্ডকে বিরোধীদের ষড়যন্ত্র বলে অভিযোগ করে আসছে শাসক দল ৷ গত মার্চ ১৪, নির্বাচনের প্রথম দফার বিজ্ঞপ্তি জারির দিন বিজেপি পার্টি অফিসে শাসক দল তৃণমূলের ১১ জন শীর্ষ নেতা- নেত্রীদের ঘুষ নেওয়ার বিস্ফোরক ক্লিপটি দেখানোর পর উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক মহল ৷ এই ক্লিপ নিয়েই ভোটের আগে তৈরি হয় প্রবল বিতর্ক ৷ শাসক দলের বিরুদ্ধে একযোগে আক্রমণ শানান বিরোধীরা ৷
দক্ষিণের সংবাদ সংস্থা নারদ ডট কম দাবি করেন, এই ভিডিও একদম খাঁটি ৷ ২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনের আগে এই স্টিং অপারেশনটি তারা করেছিলেন বলে দাবি করেন সংস্থার কর্ণধার ম্যাথু স্যামুয়েল ৷
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Bengali News, Calcutta High Court, ETV News Bangla, Mathaw Samuel, Narada Case, Narada CEO, Narada Sting Investigation, Narada Sting Operation