কালীপুজোয় দেখা গেল না বাজির দাপট, অন্যান্যবারের তুলনায় দূষণ কম কলকাতায়

Last Updated:

গত ২০ বছরের মধ্যে কালীপুজোয় এত কম বায়ুদূষণ কার্যত দেখা যায়নি

#কলকাতা: কোভিড-কালে হাজারো খারাপ খবরের মধ্যে দারুণের খবর দিয়েছে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে এবার রাজ্য জুড়ে কালীপুজো এবং দিওয়ালিতে নিষিদ্ধ হয়েছিল বাজি পোড়ানো। তার জেরে অন্য বছরের তুলনায় এ বছরে বায়ুদূষণের মাত্রা তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ জানাচ্ছে, গত প্রায় ২০ বছরের মধ্যে কালীপুজোয় এত কম বায়ু দূষণ কার্যত দেখা যায়নি। শুধু বায়ুদূষণই নয়, সাধারণ মানুষ যে ভাবে কালীপুজোতে হাইকোর্টের নির্দেশ এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেছেন, তাতে অদূর ভবিষ্যতে কোভিড সংক্রমণ লাফিয়ে বাড়ার সম্ভাবনা নেই বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা।
পরিবেশবিদেরা এবং দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের সাম্প্রতিক একটি রিপোর্ট জানাচ্ছে, এমনিতেই বাজি পোড়ানোর ফলে এই কালীপুজোর সময়ে বায়ুদূষণের মাত্রা বাড়ে। এ ব্যাপারে সবচেয়ে এগিয়ে থাকে কলকাতা এবং হাওড়া, এই দুই শহর। বর্ষা শেষে এবং শীতের শুরুতে হওয়ার কারণে এই দূষণের মাত্রা আরও বাড়ে। রাত যত বাড়ে এবং তাপমাত্রা যত কমে, তত দূষিত কণা নেমে আসে বায়ুমণ্ডলের নীচের দিকে। যা বায়ুদূষণের মাত্রা আরও বাড়িয়ে তুলতে ইতিবাচক ভূমিকা নেয়।
advertisement
এবারে কিন্তু এর উল্টো ছবি ধরা পড়েছে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের সমীক্ষায়। গত বছর কালীপুজো হয়েছে আরও আগে। বাতাসের তাপমাত্রা ছিল অপেক্ষাকৃত বেশি। তা সত্ত্বেও কলকাতায় বায়ুদূষণের সর্বাধিক সূচক ছাড়িয়েছিল ৮৫০-র চেয়েও বেশি। এ বারে বাতাস ঠান্ডা হওয়া সত্ত্বেও ওই সূচক ২৫০-রও কম থেকেছে। একই চিত্র ধরা পড়েছে হাওড়াতেও। সেখানেও রাতের তাপমাত্রা অনেকটা কমার পরেও দূষণের মাত্রা বাড়েনি কারণ, বাজি পুড়েছে নামমাত্র।
advertisement
advertisement
দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের এমন রিপোর্ট মেলার পরে উজ্জীবিত পরিবেশবিদ থেকে চিকিৎসক, সাধারণ মানুষ সবাই এর পক্ষেই।
পরিবেশবিদ জ্ঞানেন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত বলেন, "কোভিড সংক্রমণ বৃদ্ধিই নয়, বাজি পোড়ানোর পরে যে দূষণ হয়, তাতে পরিবেশের ওপরে আরও অনেক নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। তা থেকে যে আমরা মুক্তি পেয়েছি, তা অত্যন্ত ভাল খবর।"
এটি যে ভাল খবর, তা মানছেন চিকিৎসক শিবপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি বলেন, "দুর্গাপুজোর পরে কোভিড সংক্রমণ বৃদ্ধির হার আশঙ্কার তুলনায় অনেকটাই কম হয়েছে। তার প্রধান কারণ মানুষ সচেতনতার পরিচয় দিয়েছেন। কালীপুজোতেও যে ভাবে মানুষ বাজি বর্জন করায় ইতিবাচক ভূমিকা নিয়েছেন, তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। না হলে সংক্রমণ বৃদ্ধি আটকানো সম্ভব ছিল না।"
advertisement
চাকুরিজীবী প্রদ্যুম্ন মুখোপাধ্যায় বলেন, "কোভিডে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, যাঁদের সিওপিডি বা শ্বাসকষ্টজনিত রোগ আছে, তাঁরা। তাঁদের জন্য বাজির ধোঁয়া থেকে তৈরি দূষণ কার্যত বিষ। কোভিডের সময়ে ওই দূষণ বাড়লে ভয়াবহ আকার নিত। কাজেই সেটা যে কম হয়েছে, তার থেকে ভাল খবর আর কী-ই বা হতে পারে!"
view comments
বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
কালীপুজোয় দেখা গেল না বাজির দাপট, অন্যান্যবারের তুলনায় দূষণ কম কলকাতায়
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement