পোস্তা উড়ালপুল নিয়ে রিপোর্ট জমা পড়ল নবান্নে  

Last Updated:

ইতিমধ্যেই কেএমডিএ, রাইটস'র ইঞ্জিনিয়ারদের সাথে নিয়ে সেতু পরিদর্শন করেছেন বিখ্যাত সেতু বিশেষজ্ঞ ভি কে রায়না।

#কলকাতা: পোস্তা উড়ালপুল ভেঙে ফেলার পক্ষেই সওয়াল। নবান্নে রিপোর্ট জমা দিলেন সেতু বিশেষজ্ঞ ভি কে রায়না। দুর্ঘটনাগ্রস্ত উড়ালপুলের বাকি অংশ ভেঙে ফেলা নাকি মেরামত করে ছোট গাড়ি চালানো। এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে সেতু বিশেষজ্ঞ ভি কে রায়নার সাহায্য নিয়েছিল রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই কেএমডিএ, রাইটস'র ইঞ্জিনিয়ারদের সাথে নিয়ে সেতু পরিদর্শন করেছেন বিখ্যাত সেতু বিশেষজ্ঞ ভি কে রায়না।
প্রসঙ্গত, রায়নার রিপোর্টের ওপর নির্ভর করেই টালা সেতু ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য। তাই বিবেকানন্দ উড়ালপুল নিয়ে রায়নার রিপোর্টের দিকেই চেয়ে ছিল রাজ্য সরকার। তবে স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারদের একটা বড় অংশের মতে রেখে দেওয়া উচিত এই সেতু। সেতু যথাযথ ভাবে সংষ্কার করে এক মুখী ছোট গাড়ি চলাচল করানো হোক। যাতে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের ওপরে কমবে চাপ। কলকাতার রাস্তায় বাড়বে গতি।
advertisement
শনিবার নবান্নে রাজ্যের নগরায়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা ও স্বরাষ্ট্র সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে পোস্তা উড়ালপুলের ভবিষ্যৎ নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়। কেন উড়ালপুল ভেঙে ফেলতে হবে তাএ কারণ জানিয়ে একটি অডিও-ভিডিও প্রেজেন্টেশন দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। ভি কে রায়না, সেতু ভেঙে ফেলার কারণ হিসেবে, অত্যন্ত খারাপ গুণমানের সামগ্রী ব্যবহার ও নকশার ভুলকেই দায়ী করেছেন বলে নবান্ন সূত্রে খবর।
advertisement
advertisement
২০১৬ সালের ৩১ মার্চ আচমকাই ভেঙে পড়ে বিবেকানন্দ উড়ালপুল। ভেঙে পড়ার সময়ে নির্মাণ কাজ শেষ হয়নি পোস্তা উড়ালপুলের। সেতু ভেঙে পড়ার ঘটনায় মৃত্যু হয় ২৬ জনের। সেতু ভেঙে পড়ার কারণ অনুসন্ধানে নেমে যানা যায় একদিকে খারাপ মানের সামগ্রী ব্যবহার। অন্যদিকে সেতুর নকশায় গলদ। আর এই দুইয়ের মিশেলেই ভেঙে পড়ে নির্মীয়মাণ এই সেতু।
advertisement
সেতুর নির্মাণ  সংস্থার এক আধিকারিক জানিয়েছিলেন, তিনি তাদের উচ্চ আধিকারিকদের এই বিষয়ে আগে থেকেই সেতুর নানা সমস্যার কথা জানিয়েছিলেন। যদিও তাদের কথায় কেউ কর্ণপাত করেনি। পরে অবশ্য নির্মাণ সংস্থা এই ধরণের চিঠির বিষয় অস্বীকার করে। গত ৪ বছরের বেশি সময় ধরে চলছে পোস্তা উড়ালপুল নিয়ে টানাপোড়েন। নিয়োগ করা হয় খড়গপুর আইআইটি-সহ একাধিক সেতু বিশেষজ্ঞদের। যদিও সেতু নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো যায়নি। কেন্দ্রীয় বিশেষজ্ঞ সংস্থা রাইটস রিপোর্ট ছিল সেতু ভেঙে ফেলা হোক। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্যে রাজ্য সরকারের মুখ্য সচিবের নেতৃত্বে একটা কমিটি গঠন করা হয়। তারাও একাধিকবার বৈঠক করেন। তবে সেতুর ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা জারি থাকে। এবার সেই জট কাটাতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্য সরকার। তাই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল সেতু বিশেষজ্ঞ ভি কে রায়নাকে।
advertisement
গত দু'সপ্তাহ ধরে তিনি পোস্তা উড়ালপুলের অবস্থা খতিয়ে দেখেন। যার ওপর নির্ভর করেই এই সেতুর ভবিষ্যৎ ভেঙে ফেলা বলে তিনি রিপোর্টে উল্লেখ করেছেন। যদিও সেতু ভেঙে ফেলার পক্ষে সায় নেই একাধিক স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারদের ৷ অন্যতম স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ার বিশ্বজিৎ সোমের বক্তব্য, "গড়ার চেয়ে ভাঙার খরচ অনেক বেশি। তাছাড়া পরিবেশগত দূষণ এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। আশঙ্কা থেকেই যায় সেতু ভাঙার সময়ে ফের দূর্ঘটনা ঘটার।" এক্ষেত্রে তাঁর সাজেশন সেতু রেখে দেওয়া হোক। সেতু রক্ষণাবেক্ষণের পরে ছোট গাড়ি চলাচলের জন্যে খুলে দেওয়া হোক। কারণ হিসেবে তিনি বলছেন, সেতুর নকশা করা হয় ১০ টনের গাড়ির ওজন ধরে। এক্ষেত্রে ছোট গাড়ি চললে কোনও অসুবিধা হবার কথাই নয়৷ তাই না ভেঙে সংস্কারের বিবেচনা করা হোক। এদিন সেতু নিয়ে গঠিত টেকনিক্যাল কমিটির সদস্যরা একটি বৈঠকে বসেন। তার পরে কলকাতা পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের কর্তারা ঘুরে দেখেন পোস্তা সেতু এলাকা। তার পরেই নবান্নে এই সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে।
advertisement
আবীর ঘোষাল
view comments
বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
পোস্তা উড়ালপুল নিয়ে রিপোর্ট জমা পড়ল নবান্নে  
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement