#কলকাতা: নরেন্দ্র মোদির শাসনে দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিপর্যয় নেমে এসেছে৷ এই অপশাসনের বিরুদ্ধে লড়াই জারি রাখতেই তিনি তৃণমূলের প্রস্তাবে রাজি হয়ে রাজ্যসভা নির্বাচনে লড়াই করতে সম্মতি দিয়েছেন বলে দাবি করলেন জহর সরকার৷ তাঁর অভিযোগ, নরেন্দ্র মোদির শাসনে করোনা অতিমারি থেকে শুরু করে দেশের অর্থনীতি, কর্মসংস্থান সবক্ষেত্রেই বিপর্যয় নেমে এসেছে৷ এমন কি মানবাধিকারও দমন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন কেন্দ্রীয় সরকারের এই প্রাক্তন শীর্ষ আমলা৷
রাজ্যসভার নির্বাচনে জহর সরকারকে মনোনীত করেছে তৃণমূল কংগ্রেস৷ এ দিন সকালেই আনুষ্ঠানিক ভাবে তাঁর নাম ঘোষণা করা হয়েছে৷ আগামী ৯ অগাস্ট রাজ্যসভার নির্বাচন৷
নাম ঘোষণার পরই রাজ্যসভার নির্বাচনে জয়ী করবার জন্য সবার কাছে সমর্থন চেয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন তৃণমূল প্রার্থী৷ সেখানে তিনি লিখেছেন, 'মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ২০১৬ সালে আমি প্রসার ভারতীর সিইও পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলাম৷ কারণ প্রধানমন্ত্রী মোদি যেভাবে হিন্দুত্ববাদের, একনায়কের মতো শাসন ব্যবস্থা পরিচালনা এবং অর্থনীতিকে ধরাশায়ী করে দিচ্ছিলেন, তার সঙ্গে আমি মানিয়ে নিতে পারছিলাম না৷'
জহর সরকার আরও লিখেছেন, 'ইস্তফা দেওয়ার পর থেকেই ধারাবাহিক ভাবে এনডিএ-র বিরুদ্ধে তীক্ষ্ণ আক্রমণ করে গিয়েছি৷ কিন্তু সমালোচনার কারণও যুক্তি দিয়ে ব্যাখ্যা করেছি৷ আমি এই মনোনয়নের প্রস্তাব গ্রহণ করেছি কারণ যেভাবে দানবীয় শক্তি ব্যবহার করে মানবাধিকারকে দমনের চেষ্টা, সাম্প্রদায়িকতা, করোনা, মু্দ্রাস্ফীতি, অর্থনীতির দুর্দশা, বেকারত্ব সামলাতে গিয়ে মোদি যেভাবে বিপর্যয় ডেকে আনছেন তার বিরুদ্ধে আমি নিজের লড়াই জারি রাখতে পারব৷ তাই সবার সমর্থন প্রার্থনা করছি৷ '
নিজের এই বার্তায় জহর সরকার অবশ্য পরিষ্কার করে দিয়েছেন, শুধু বিজেপি বিধায়করাই নন, বিধানসভায় আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির সমর্থনও তিনি পাবেন না বলেই ধরে নিয়েছেন৷ জহর সরকার বরাবরই নরেন্দ্র মোদির কড়া সমালোচক হিসেবে পরিচিত৷ প্রাক্তন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বদলি ইস্যুতেও কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনায় সরব হয়েছিলেন তিনি৷
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Jawhar Sircar, Narendra Modi, TMC