পুজোর মুখে সুখবর! রেল স্টেশনের ফুড প্লাজায় মিলবে এবার বসে খাওয়ার সুযোগ 

Last Updated:

লকডাউন অধ্যায় থেকে বন্ধ ফুডপ্লাজা৷ তার জেরে বিপুল টাকা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে সংস্থা। তেমনই খাবার না পেয়ে সমস্যায় পড়েছেন যাত্রীরা।

#কলকাতা: পুজোর মুখে সুখবর স্টেশনের ফুড প্লাজা, জন আহার, রিটায়ারিং রুম, রেল যাত্রী নিবাস খোলার অনুমতি দিল ভারতীয় রেল বোর্ড। ইতিমধ্যেই সমস্ত জোনের প্রিন্সিপাল চিফ কমারশিয়াল ম্যানেজারদের চিঠি দিয়ে এই কথা জানিয়ে দিয়েছে ভারতীয় রেল। এর ফলে কিছুটা হলেও স্বস্তির নিঃশ্বাস নিতে পারবে ফুড প্লাজার মালিকরা। অন্যান্য বার পুজোর সময়ে যে ফুড প্লাজা গমগম করত যাত্রীদের ভিড়ে, সেই ফুড প্লাজায় এখন মাছি তাড়ানোর জোগাড়। চেনা ছন্দের ফুড প্লাজা দেখলে মনে হবে পরিত্যক্ত কোনও এক বাড়ি।
লকডাউন অধ্যায় থেকে বন্ধ ফুডপ্লাজা৷ তার জেরে বিপুল টাকা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে সংস্থা। তেমনই খাবার না পেয়ে সমস্যায় পড়েছেন যাত্রীরা। হাওড়া ও শিয়ালদহ স্টেশনের ফুড প্লাজাকে তুলনা করা হয় বিমানবন্দরের ফুড লাউঞ্জের সাথে। কারণ একসাথে অনেক যাত্রী এখানে দাঁড়িয়ে বা বসে খেতে পারেন। একই সাথে খাবার নিয়ে তারা যেতেও পারেন। কার্যত এটি টেকওয়ে সিস্টেম। যদি হাওড়া স্টেশনের ফুড প্লাজার কথাই ধরে নেওয়া যায় তাহলে প্রায় ২৭৫ জন বসে ও দাঁড়িয়ে খাবার খেতে পারেন৷ চা, কফি, ফ্রুট জুস থেকে শুরু করে ফিস ফ্রাই, বিরিয়ানি বা ইডলি-ধোসা সবটাই মেলে এখানে। কিন্তু মার্চ মাস থেকে সেই ফুড প্লাজা বন্ধ হয়ে পড়ে আছে। বাসন উল্টে রাখা। ওভেনে বহুদিন না ব্যবহার করার চিহ্ন স্পষ্ট। খাদ্যের তালিকায় ধুলো জমেছে। শুধু জল, কোল্ড ড্রিংক আর চিপস, বিস্কুট ভেন্ডার হুইলে বিক্রি করতে পারছে ফুড প্লাজা।
advertisement
স্টেশনের এই সমস্ত ফুড প্লাজা নিয়ন্ত্রণ করে আই আর সি টি সি। চলতি মাসে তারা ফুড প্লাজা খুলে রাখার অনুমতি দিয়েছে। প্রতিদিন ২০% লাইসেন্স ফি দিয়ে। এছাড়া বসে বা দাঁড়িয়ে ফুড প্লাজায় খাওয়া যাবে না। খাবার নিয়ে চলে যেতে হবে। এই পদ্ধতিতে ফুড প্লাজা চালানো অলাভজনক বলে জানিয়েছে ফুড প্লাজার মালিক। হাওড়া ফুড প্লাজার দায়িত্ব শঙ্কর নাগের হাতে। তিনি জানাচ্ছেন, "বছরের শুরুতেই ছয় কোটি টাকা দিয়েছি ফুড প্লাজা চালাতে। এখন যদি আবার প্রতিদিন ৩০ হাজার করে দিতে হয়, তাহলে আমাদের পক্ষে চালানো মুশকিল। মাসে শুধু ফুড প্লাজা খুলে রাখতেই যদি ৯ লাখ ৩০ হাজার দিতে হয় তাহলে আমাদের যে পরিমাণ টাকার বিক্রি করতে হবে তা এখন সম্ভব নয়। কারণ লোকাল ট্রেন চলছে না।" তাদের মতে হাওড়া স্টেশনের মূল অসুবিধা হল, যাত্রীদের ঢোকা-বেরনোর জন্যে স্টেশনে যে রাস্তা নির্দিষ্ট করা হয়েছে সেখান থেকে ফুড প্লাজা অবধি আসতে দেওয়া হচ্ছে না। ফলে খাবার বিক্রি হবার সুযোগ কম।
advertisement
advertisement
এই অসুবিধার কথা মেনে নিচ্ছে আই আর সি টি সি। সংস্থার গ্রুপ জেনারেল ম্যানেজার দেবাশীষ চন্দ্র জানিয়েছেন, "আমরা রেলকে এই ব্যপারে বলেছিলাম। আগামী কয়েকদিনে আরও কিছু ট্রেন চালু হবে। ফলে যাত্রীদের আনাগোনা বাড়বে। তাদের খাওয়ানোর জন্যে  ফুড প্লাজা অবধি যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়া হচ্ছে।একই সাথে নয়া নিয়মে সুবিধা হবে ফুড প্লাজা অথরিটির।" ফুড প্লাজার কর্মীদের  বক্তব্য ছিল, বাইরে রেস্টুরেন্টে বসে যদি খাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়, তাহলে ফুড প্লাজায় কেন বসে খাওয়া যাবে না। ফুড প্লাজা বন্ধ থাকায় যে বিপুল ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে তারা তাতে আগামী দিনে এর প্রভাব পড়তে পারে কর্মীদের ওপরে। কাঁটছাঁট হতে পারে কর্মী সংখ্যায়। নয়া নিয়মে কোভিড প্রটোকল মেনেই যাত্রীরা ফুড প্লাজায় বসে খাবার খেতে পারবেন। তবে শারীরিক দুরত্ব মেনে বসতে হবে। ২৫ শতাংশের বেশি কাউকে বসে খেতে দেওয়া যাবে না। স্যানিটাইজ হবে নিয়মিত। মাস্ক, গ্লাভস বাধ্যতামূলক।
advertisement
তবে এখন বসে খাবার না পাওয়ায় ব্যাপক সমস্যায় পড়েছেন যাত্রীরা। এমনই এক যাত্রী সঞ্জয় মন্ডল জানাচ্ছেন, "এখান থেকেই খাবার কিনতাম৷ স্টেশনে এসে দেখছি বন্ধ এটি। আমি পাটনা যাব এবার কোথায় খাবার পাব তাই তো বুঝতে পারছি না।" একই ধরণের অভিযোগ অরুণ রায়ের। তিনি জানাচ্ছেন, "দূরপাল্লার ট্রেনে যাওয়ার জন্যে সবাই স্টেশনে এসেই খাবার কেনেন। এখন সেটাও মিলছে না। ফলে আমাদের অসুবিধা চূড়ান্ত।" এই দুইয়ের দ্বন্দের মধ্যে একদিকে ক্ষতি ফুড প্লাজার৷ অন্যদিকে সমস্যায় যাত্রীরাও। নয়া নির্দেশিকায় তা কাটতে চলেছে বলে মনে করছেন ফুড প্লাজার আধিকারিকরা।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
পুজোর মুখে সুখবর! রেল স্টেশনের ফুড প্লাজায় মিলবে এবার বসে খাওয়ার সুযোগ 
Next Article
advertisement
সাউথ ব্লক ছেড়ে নতুন ঠিকানায় প্রধানমন্ত্রীর দফতর! সেন্ট্রাল ভিস্তায় গড়ে উঠল ‘সেবাতীর্থ’ কমপ্লেক্স, অমিত শাহ বললেন 'সোনালি যাত্রাপথ'!
সাউথ ব্লক ছেড়ে নতুন ঠিকানায় প্রধানমন্ত্রীর দফতর! সেন্ট্রাল ভিস্তায় গড়ে উঠল ‘সেবাতীর্থ’
  • প্রধানমন্ত্রীর দফতর সাউথ ব্লক ছেড়ে সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পের নতুন কমপ্লেক্সে যাচ্ছে.

  • সেবাতীর্থ কমপ্লেক্সে থাকবে ক্যাবিনেট সচিবালয় ও NSA অজিত ডোভালের দফতর.

  • সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পের অংশ হিসেবে নতুন প্রশাসনিক পরিকাঠামো গড়ে উঠেছে.

VIEW MORE
advertisement
advertisement