Mock Drill War: সীমান্ত ঘেরা রাজ্য বাংলা, বড়সড় সঙ্কট নামতে পারে! 'বিশেষ' প্রস্তুতির নির্দেশ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের

Last Updated:

নবান্ন সূত্রে খবর আপাতত রাজ্যের হাতে রয়েছে সাত দিন। সেখানে পরিকাঠামোগত খামতি থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সমস্তই জোগাড় করতে হবে রাজ্যকে।

News18
News18
কলকাতা: কাশ্মীরে জঙ্গি হানার পর দেশজুড়ে যুদ্ধের প্রস্তুতি। এরমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সঙ্গে বৈঠক রাজ্যের। বাংলা ছাড়াও একাধিক রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিবরা উপস্থিত ছিলেন বৈঠকে। বৈঠকে কেন্দ্রে তরফ থেকে বলা হয়েছে, সীমান্ত ঘেরা রাজ্য বাংলা। যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হলে যেকোনো সময় বড়সড় সঙ্কট নেমে আসতে পারে রাজ্যের উপর। তাই রাজ্যকে এই পরিস্থিতিতে সর্বদা প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।
মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের ডাকা বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব গোবিন্দ মোহন ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন এনডিআর এফে-এর ডিজি। রাজ্যের তরফে ছিলেন মুখ্য সচিব মনোজ পন্থ, স্বরাষ্ট্র সচিব নন্দিনী চক্রবর্তী, বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের সচিব রাজেশ সিনহা, ছিলেন ডিজি সিভিল ডিফেন্স জগমোহন।
advertisement
advertisement
বৈঠকে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে, যদি কোন ভাবে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয় তাহলে কিভাবে সামগ্রিকভাবে উদ্ধারকাজ এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে তার জন্য আগামী সাত দিনের মধ্যে নিজেদের প্রস্তুতি নিতে হবে রাজ্যকে। অর্থাৎ মকড্রিল করে দেখতে হবে।
রাজ্যের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, এই মকড্রিলের মাধ্যমে বিভিন্ন জরুরি ব্যবস্থা যেমন অ্যাম্বুলেন্স, অগ্নি নির্বাপন, উদ্ধার কাজ, হাসপাতাল গুলি কতটা প্রস্তুত তা দেখে নেওয়া হবে।
advertisement
কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে রাজ্যের সঙ্গে ১৭ টি জেলাকে অতি স্পর্শকাতর বলা হচ্ছে। কোথায় কোথায় মকড্রিলের করা হবে সবটাই নির্ভর করবে রাজ্য সরকারের উপর। সাত দিনের মধ্যে সামগ্রিক প্রস্তুতি খতিয়ে দেখে নিজেদের যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করতে হবে।
advertisement
প্রশাসনিক সূত্রে খবর, এই মুহূর্তে রাজ্যে জুড়ে একাধিক সাইরেন রয়েছে। শুধু শহর কলকাতায় সাইরেন রয়েছে ৯৫ টি। তবে এর বড় অংশ দীর্ঘদিন অবব্যবহারের ফলে অকেজ হয়ে রয়েছে। সেগুলিকে দ্রুত সারিয়ে কার্যকরী করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও প্রায় প্রত্যেক জেলাতেই ২০ থেকে ২৫ টি সাইরেন রয়েছে। তারমধ্যে প্রত্যেক জেলার হেড কোয়াটারে একটি সাইরেন রয়েছে।
advertisement
সূত্রের খবর, রাজ্যজুড়ে ৬২টি স্যাটেলাইট ফোন রয়েছে। যুদ্ধ পরিস্থিতিতে রাজ্যের সঙ্গে সিভিল ডিফেন্সের যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম হবে এয়ারফোর্স। এয়ারফোর্সের মাধ্যমেই খবর আসবে সিভিল ডিফেন্সের কাছে। এরপর সিভিল ডিফেন্স থেকে অন্যান্য সর্বত্র সেই খবর পৌঁছে দেওয়া হবে। সেই মতো পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে দ্রুত প্রত্যেক জেলা ধরে ধরে কন্ট্রোল রুম তৈরি করার কথা বলা হয়েছে। যেগুলি সারাদিন একটিভ থাকবে। যেহেতু বর্ষার কথা মাথায় রেখে মেয়ে মাস থেকেই রাজ্যে এই ধরনের কন্ট্রোলরুম চালু হয়ে যায়। আপাতত সেগুলিকেই যুদ্ধ হলে উদ্ধার কাজ ও বিপর্যয় মোকাবিলায় ব্যবহার করা হবে। নবান্ন সূত্রে খবর আপাতত রাজ্যের হাতে রয়েছে সাত দিন। সেখানে পরিকাঠামোগত খামতি থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সমস্তই জোগাড় করতে হবে রাজ্যকে।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
Mock Drill War: সীমান্ত ঘেরা রাজ্য বাংলা, বড়সড় সঙ্কট নামতে পারে! 'বিশেষ' প্রস্তুতির নির্দেশ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement